বার্ট্রান্ড বদ্রি
প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:১৪ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

অস্তিত্বের সংকটে বিশ্বায়ন

অস্তিত্বের সংকটে বিশ্বায়ন

স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালে ১৯৮৫ সালের নভেম্বর মাসে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশগ্রহণে যে শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, তার বিষয়বস্তু ছিল আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্পর্ক ও অস্ত্র প্রতিযোগিতা। আলোচনার দরুন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান ও সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচভ একপর্যায়ে বৈঠক থেকে বের হয়ে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আলাপচারিতা করেন। তাদের এ কথোপকথনের উদ্দেশ্য বা ফলাফল কী ছিল, সেটা তখনই উপলব্ধি করা যায়নি। কিন্তু বহু বছর পরে জানা যায়, তাদের আলোচনায় রিগ্যান একটি বিস্ময়কর এবং অদ্ভুত প্রশ্ন করেছিলেন গর্বাচভকে।

সাংবাদিক চার্লি রোজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গর্বাচভ জানিয়েছিলেন, রিগ্যান তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘যদি হঠাৎ বহির্জাগতিক কোনো শক্তি যুক্তরাষ্ট্রকে আক্রমণ করে, তবে সোভিয়েত ইউনিয়ন কী করবে? আপনারা কি আমাদের সাহায্য করবেন?’ এ প্রশ্নের উত্তরে গর্বাচভ নির্দ্বিধায় বলেছিলেন, ‘অবশ্যই করব।’ রিগ্যান তখন বলেন, ‘তাহলে জেনে রাখুন, সোভিয়েত ইউনিয়ন যদি কখনো এরকম কোনো পরিস্থিতিতে পড়ে, তবে আমরাও আপনাদের সম্পূর্ণ সহযোগিতা করব।’ স্নায়ুযুদ্ধ যখন তুঙ্গে, অগ্নিগর্ভ মুহূর্তে বিশ্বের দুটি পরাশক্তি যখন ইউরোপ জুড়ে মুখোমুখি অবস্থান নিচ্ছিল, সেই কঠিন মুহূর্তে এই পরস্পর বিশ্বস্ততার কারণেই একটি কাল্পনিক অস্তিত্বসংকটের মুখে তারা একত্র হওয়ার কল্পনা করতে পেরেছিলেন।

চার দশক পরে, মানবজাতি আবারও একবার অস্ত্র প্রতিযোগিতায় আবদ্ধ হতে চলেছে। স্টকহোম আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা কেন্দ্রের তথ্যমতে, ২০২৪ সাল নাগাদ বৈশ্বিক প্রতিরক্ষা ব্যয় ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের বছরের তুলনায় মূল্যস্ফীতি সমন্বয় করে ৯.৪ শতাংশ বেশি। টানা ৯ বছর ধরে বিশ্বব্যাপী এ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়ের পরিমাণ বাড়তে দেখা গেছে, যা অভূতপূর্ব। ভবিষ্যতেও অস্ত্র নির্মাণে ব্যয় সীমিত করার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীন বাদেও অনেক দেশ সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করে চলেছে। আর যাদের অস্ত্র নির্মাণের সামর্থ্য নেই, তারা প্রতিরক্ষা খাতে দীর্ঘমেয়াদি বাজেট বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছে।

এ পরিবর্তনের পেছনে বহু কারণ রয়েছে। তার মধ্যে কিছু কারণ যুক্তিসংগতও বটে। রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধ, পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা, সাইবার ও মহাকাশ নিরাপত্তায় দুর্বলতাÑসবই এর অংশ। বৈশ্বিক এ পরিবর্তনটা উপলব্ধি করতে হলে আন্তর্জাতিক রাজনীতির গভীরে যেতে হবে। আর সেখানে গেলে দেখা যাবে যে, এ অস্ত্র উৎপাদনের প্রবণতা আসলে আমাদের পরিচিত বিশ ও একুশ শতকের বিশ্বায়নের নীতির অবসানকে প্রতিফলিত করছে। বিশ্বায়নের নীতি বস্তুত দাঁড়িয়ে ছিল বহুপক্ষীয় সহযোগিতা, উন্মুক্ত বাণিজ্য এবং নিয়মতান্ত্রিক শৃঙ্খলার ওপর। ভবিষ্যতে এর পরিবর্তে যে নীতি চর্চা করা হবে, তার ভিত্তি কী হবে, সেটা কেউ বলতে পারে না।

মাত্র এক দশক আগেও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের রূপরেখা কেমন ছিল, তা হয়তো এখনকার নেতারা ভুলে গেছেন। বিশ্বায়নের চূড়ান্ত মুহূর্ত ছিল ২০১৫ সাল, যখন বিশ্বনেতারা তিনটি ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেনÑউন্নয়ন অর্থায়নে আদ্দিস আবাবা অ্যাকশন এজেন্ডা, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং প্যারিস জলবায়ু চুক্তি। যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার করমর্দন অনেককেই এ ইঙ্গিত দিয়েছিল যে, টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্থিতিশীল বিশ্বায়নের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে যাচ্ছে। কিন্তু সেই আশা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। পরবর্তী কয়েক বছরের মধ্যেই বাণিজ্যযুদ্ধ, জাতীয়তাবাদী ও সংকীর্ণ রাজনীতি এবং ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা আগের ঐকমত্যকে ক্ষয় করতে শুরু করে।

আজকের পৃথিবীতে শুল্ক, ভর্তুকি, শিল্পনীতি, শরণার্থী সংকট, নতুন অস্ত্র প্রতিযোগিতা—সবই এ ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, সহযোগিতার আলো ম্লান হয়ে গেছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনায় টমাস মোর, উইলিয়াম হেগেল ও ফ্রান্সিস ফুকুয়ামার মতো পন্ডিতরা ‘ইতিহাসের সমাপ্তি’ তত্ত্বের পক্ষে যুক্তি দিয়েছিলেন, যেখানে তারা আলোচনা করেছিলেন যে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক যখন ধীরে ধীরে শক্ত হতে থাকবে, তখন বিশ্বব্যাপী দ্বন্দ্ব ও সংঘর্ষের মাত্রাও কমতে থাকবে। রাষ্ট্র ও সরকারগুলোর মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা গেলে বিশ্বের কোথাও আর যুদ্ধের সম্ভাবনা থাকবে না। কিন্তু ফরাসি ইতিহাসবিদ আর্নো ওরাইন বলেছিলেন, এভাবে ইতিহাসের অবসান ঘোষণা করা সম্ভব নয়, সংঘর্ষ মানবসমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এ শঙ্কার বাস্তবিক রূপ বর্তমান বিশ্বে দেখা যাচ্ছে।

যে অস্তিত্বসংকট রোনাল্ড রিগ্যানকে সেই কল্পনামূলক প্রশ্ন তুলতে উদ্বুদ্ধ করেছিল, সেই সংকটগুলো এখনো বর্তমান এবং আগের চেয়ে জরুরি। আমাদের সম্মিলিত ভবিষ্যৎকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন, প্রতিবেশ ব্যবস্থার পতন, সামাজিক বৈষম্যের বিস্তার ইত্যাদি। এর প্রমাণগুলো সুস্পষ্ট, কৌশল প্রণীত এবং পরামর্শপত্রে ভরপুর। তবুও এগুলোকে বরাবরের মতো গৌণ করে রাখা হচ্ছে প্রতিবেশী বা প্রতিদ্বন্দ্বীর সম্ভাব্য আগ্রাসনের ভয়ে।

ভবিষ্যতে আদৌ ইতিহাসবিদ পেশাটা টিকে থাকবে কি না, বলা যায় না। কিন্তু যদি থাকে তবে ভবিষ্যতের ইতিহাসবিদরা হয়তো এটা স্মরণ করে বিস্মিত হবেন যে, ২০২০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে যখন বৈশ্বিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে মানুষের একত্র হওয়ার প্রয়োজন ছিল, তখন কেন যেন তারা নজিরবিহীন সম্পদ ঢেলে নিজেদের মধ্যে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ প্রস্তুতির আর্থিক ব্যয় বছরে প্রায় তিন ট্রিলিয়ন ডলার, যা দিয়ে জলবায়ু অভিযোজন, কার্বনমুক্ত অর্থনীতি এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের এক বিরাট অংশের অর্থায়ন করা সম্ভব।

বৈশ্বিক সহযোগিতার পরিকল্পনাকে প্রসারিত করার পরিবর্তে, আমরা আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার পুনর্গঠন করছি কড়া ভিসানীতি, উচ্চ শুল্ক আর অনিয়ন্ত্রিত অস্ত্রায়নের মাধ্যমে। একে এক কথায় বলা যায়, ‘কাঁটাতারের বিশ্বায়ন’। এ ব্যবস্থায় মানবজাতি আত্মনির্ভরশীল থাকবে ঠিকই, কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন রাষ্ট্র, সরকার ও জনপদের মধ্যে সম্পর্কগুলো পরিচালিত হবে প্রভাব বলয়ের মাধ্যমে, যৌথ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নয়। বৈশ্বিক মনোভাব ধীরে ধীরে রাজনৈতিক চেতনার চরম প্রান্তের দিকে সরে যাচ্ছে।

ভূরাজনৈতিক ক্ষমতার আপেক্ষিক হিসাব কষতে গিয়ে বিশ্বনেতারা যুদ্ধের আশঙ্কাকে উপেক্ষা করছেন। তারা এ সত্যটা মানতে চাচ্ছেন না যে, টিকে থাকার যুদ্ধে যদি কোনো আশার আলো থেকে থাকে, তবে সেটা সমগ্র গ্রহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মধ্যে নিহিত। আমাদের একমাত্র আবাসস্থল, পৃথিবীকে টিকিয়ে রাখার স্বীকৃতি বাকি সবকিছুর পূর্বশর্ত। অথচ দুঃখজনক ব্যাপার হলো, বিশ্বব্যাপী ক্ষমতাসীন সরকারগুলোর বর্তমান নীতি হলো, ‘যেই জিনিসটা আমার, সেটা কেবল আমারই। আর যেই জিনিসটা তোমার, সেটার মালিকানা আলোচনা সাপেক্ষ।’

চলতি বছরে মহাসাগরে প্লাস্টিক সংকট মোকাবিলা-সংক্রান্ত আলোচনার হতাশাজনক ফলাফল আমাদের সতর্কবার্তা দিচ্ছে। ব্রাজিলের বেলেম শহরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতিসংঘের পরবর্তী জলবায়ু সম্মেলন। এ ছাড়া ২০২৬ সালে আয়োজন করা হবে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সম্মেলনের, যেখানে বৈশ্বায়নের নীতি পুনরায় উত্থাপনের সুযোগ রয়েছে। অনেকে হয়তো মনে করছেন যে, ভবিষ্যৎ এতটাও অন্ধকার নয়। মানবসভ্যতা বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের অভূতপূর্ব যুগ পার করছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জৈবপ্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং উন্নত উৎপাদন ব্যবস্থার সাফল্য হয়তো পথ দেখাতে পারে।

কিন্তু এর বিপরীতে যে পাল্টা যুক্তি রয়েছে, তার ভিত্তিও বেশ শক্ত। এক শতাব্দী আগে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও চিকিৎসাশাস্ত্রে বৈপ্লবিক আবিষ্কারও সোনালি ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। অথচ সেগুলো আমাদের নিয়ে গিয়েছিল মহামন্দা, ফ্যাসিবাদ এবং দুটো বিধ্বংসী বিশ্বযুদ্ধের দিকে। পারমাণবিক শক্তির বেসামরিক ব্যবহার শুরু হওয়ার আগেই ম্যানহাটন প্রকল্প পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করে ফেলেছিল। যে বিজ্ঞান আমাদের আধুনিক সার দিয়েছে, সে বিজ্ঞানই আবার রাসায়নিক অস্ত্র প্রস্তুত করে দিয়েছে।

বিশ শতকের সেই ঝুঁকি আজও বিরাজমান রয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও অন্যান্য বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি সমাজকে রূপান্তরিত করতে পারে ঠিকই, তবে ইতিহাস সাক্ষী যে, নতুন বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনকে বেসামরিক ক্ষেত্রে ব্যবহার করার আগেই তাকে সামরিক ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়। তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিরক্ষা বাজেট জলবায়ু বিনিয়োগকে বহুগুণে ছাড়িয়ে গেছে। নতুন প্রযুক্তির ব্যর্থতা আসল বিপদ নয়; বিপদ হলো, দ্বন্দ্ব-সংঘাতে বিদ্যমান প্রযুক্তির অপব্যবহার।

বর্তমানের সময়টা ইতিহাসের অন্যান্য সন্ধিক্ষণের মতো নয়। এবার আর দ্বিতীয় সুযোগ নেই। এখন বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হলে তা সমগ্র মানবজাতিকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে সক্ষম। প্রাকৃতিক সম্পদ সীমিত, কার্বন বাজেট দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে, এর মধ্যে আবার আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় ফাটল ধরতে শুরু করেছে। আমাদের সামনে তাই দুটো রাস্তা এখন সুস্পষ্ট। হয় সামরিক ও চরমপন্থি রাজনীতির উত্থানকে মেনে নিয়ে বাণিজ্যযুদ্ধ, সংস্কৃতিযুদ্ধ ও সরাসরি যুদ্ধে সব সম্পদ নিঃশেষ করে দিতে হবে, নয়তো পৃথিবীটাকে সংরক্ষণের লক্ষ্যে নতুন করে বিশ্বায়নকে বেছে নিতে হবে। সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকতে চাইলে সম্মিলিত উদ্যোগে টিকে থাকার কোনো বিকল্প নেই।

লেখক: অর্থনীতিবিদ, বিশ্বব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ‘প্রজেক্ট সিন্ডিকেট’ গণমাধ্যমের উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান। নিবন্ধটি আরব নিউজের মতামত বিভাগ থেকে অনুবাদ করেছেন অ্যালেক্স শেখ

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাকায় কখন হতে পারে বজ্রবৃষ্টি, জানাল আবহাওয়া অফিস

৪৫তম বিসিএস মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ

বোমা মেরে ভেনেজুয়েলার মাদকবাহী নৌকা গুঁড়িয়ে দিল যুক্তরাষ্ট্র, নিহত ৩

বায়ুদূষণে চ্যাম্পিয়ন কিনশাসা, ঢাকার অবস্থান কত

হঠাৎ স্কুলে ‘মামা’ পরিচয়ে শিক্ষার্থীদের পেটালেন যুবক, আহত ১২ 

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

ডে কেয়ার সুবিধাসহ চাকরি দিচ্ছে ব্র্যাক

বাংলাদেশের ম্যাচসহ টিভিতে আজকের যত খেলা

১৬ সেপ্টেম্বর : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১০

১৬ সেপ্টেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১১

টানা ৫ দিন বৃষ্টির আভাস

১২

ভোজ্যতেল আমদানির খরচ বাড়াল সরকার

১৩

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তায় প্রেভেইল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ 

১৪

‘যারা ফ্যাসিস্ট তাদের আমরা আইনের আওতায় আনব’

১৫

কর কর্মকর্তা মাসুদুর রহমানকে বরখাস্ত

১৬

নুরের ওপর হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে রাজধানীতে মশাল মিছিল  

১৭

হংকংকে বিদায় করে সুপার ফোরে এক পা লঙ্কানদের

১৮

প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন দূতাবাসে বদলি

১৯

মতামত ছাড়া বিভাগের প্রস্তাবনা, ঐকমত্য কমিশনকে লিগ্যাল নোটিশ 

২০
X