একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটলেও এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কটি প্রশস্তকরণের কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ চোখে পড়েনি। যদিও দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে সড়কটি ছয় লেনে উন্নতিকরণের দাবি জানিয়ে আসছিল স্থানীয় নাগরিকেরা। মহাসড়ক সরু ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে, ঝরে যাচ্ছে প্রাণ। মহাসড়কটি ছয় লেনে উন্নতিকরণের দাবিতে গত ৬ এপ্রিল নগরীর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের পর প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল।
এরপর ১১ এপ্রিল অন্তর্বর্তী সরকারের সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের কাছেও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। কিন্তু দিন মাস সময় গড়ালেও মহাসড়কটি ছয় লেনে উন্নয়নে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরের চেরাগি পাহাড় মোড়ে এ কর্মসূচি পলিত হয়।
মানববন্ধন থেকে দ্রুত সময়ে মহাসড়ক ছয়লেন করার পদক্ষেপ না নিলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ছয় লেন বাস্তবায়ন পরিষদের সমন্বয়ক মিনহাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন দৈনিক আমাদের সময়ের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান হামিদ উল্লাহ, বিয়াজ উদ্দীন বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, পরিষদের সমন্বয়ক শফিকুল আলম, মুজিবুল হক, রুনা আনসারী, আইনজীবী জিয়াউর রহমান, আবু বক্কর সাবিত, ইফতেখার নূর তিশন, মিজানুর রহমান ও সাইমুম আল মুরাদসহ অনেকে।
মহাসড়কটি এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশের অন্যতম ব্যস্ত এ সড়কটি অনেক জায়গায় পাড়ার গলির চেয়েও সরু। জাঙ্গালিয়ার মতো কিছু অংশ ঢালু ও আঁকাবাঁকা। আবার রাতে লবণের গাড়ি চলাচলের কারণে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যায়। প্রতিটি দুর্ঘটনার পর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সড়ক প্রশস্ত করার আশ্বাস মিললেও বাস্তবে কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। মহাসড়কটি আজ মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই ঘটছে ঘটনা দুর্ঘটনা।
বক্তারা আরও বলেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কের উন্নয়নের দাবি জানাচ্ছেন। কিন্তু সরকার কেবল আশ্বাস দিলেও কাজের অগ্রগতি দৃশ্যমান নয়। এ অবস্থায় দ্রুত ছয় লেনের কাজ শুরু না হলে তারা আরও বড় আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।
মন্তব্য করুন