গত ১০ সেপ্টেম্বর ‘জুলাই জাতীয় সনদ’র চূড়ান্ত ভাষ্য প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, ভৌগোলিক অবস্থান ও যাতায়াতের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কুমিল্লা ও ফরিদপুর নামে দুটি বিভাগ গঠন করা হবে। যার প্রেক্ষিতে উক্ত বৈষম্যমূলক প্রস্তাবনাটি জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং সংবিধান ও ন্যায় বিচারের পরিপন্থী উল্লেখ করে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঐকমত্য কমিশনকে নোটিশ ডিমান্ডিং জাস্টিস প্রদান করেছেন নোয়াখালীর বাসিন্দা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ।
তিনি নোটিশে উল্লেখ করেন, বিভাগ আন্দোলন বলতে মূলত নোয়াখালী বিভাগের দাবিটিই মুখ্য থাকা সত্ত্বেও বৃহত্তর নোয়াখালীর প্রায় ৮০ লাখ মানুষের কোনো প্রকার বক্তব্য না শুনে, কোনো প্রকার গণশুনানি না করে এবং কোনো প্রকার আলোচনা বা মতবিনিময় সভা না করে এমন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া ন্যাচারাল জাস্টিসের পরিপন্থী। এর ফলে সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রের জনগণকে যে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে তার প্রতি সন্মান প্রদর্শন করা হয়নি। এমনকি বিভাগের জন্য জুলাই বিপ্লব হয়নি এবং জুলাই সনদে একপাক্ষিকভাবে বিভাগের বিষয়টি বৈষম্যমূলক আচরণেরই বহিঃপ্রকাশ।
তিনি ৭ দিনের মধ্যে উক্ত বিষয়টি প্রত্যাহার এবং আইনজীবী, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে দক্ষ প্যানেল প্রস্তুতপূর্বক গণশুনানি করে নোয়াখালী অঞ্চলে নতুন বিভাগ গঠন বিষয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন।
মন্তব্য করুন