কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৫ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

জুলাই ঝুলিয়ে হ্যাঁ-না জটিলতা

মোস্তফা কামাল
জুলাই ঝুলিয়ে হ্যাঁ-না জটিলতা

প্রাসঙ্গিক নির্বাচনকে অপ্রাসঙ্গিক, বিএনপির নিশ্চিত ক্ষমতাকে অনিশ্চিত করাসহ রাজনীতির ময়দান ঠেসে যাচ্ছে ব্ল্যাকমেইলে। যে যাকে যেভাবে পারছে করছে। এর বেশি শিকার বিএনপি। জেনে-বুঝেও পারছে না শক্ত অবস্থান নিতে। সমঝে চলতে চলতে, ছাড় দিতে দিতে বুক মাটিতে লেগে গেলেও কাঁতরাতে পারছে না কঠিন এক বাস্তবতার তোড়ে। সরকারসহ এক সময়ের মিত্র দলগুলোর ভূমিকাও কোনো না কোনোভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে। হালে একদিকে বিএনপি কিছুটা মোচড় দেওয়ার পথে। অন্যদিকে একেক সময় চরম অবস্থানে চলে যাচ্ছে একেক দল। প্রকারান্তরে তা জুলাই চেতনাকে ঝুলিয়ে দিচ্ছে। তা ফ্যাসাদে পেঁচিয়ে ফেলছে নির্বাচনকে। গণভোটকেও। সেখানে প্রতিনিয়তই ধোঁয়াশা-কুয়াশার ঘনঘটা। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও তুঙ্গে।

আল্লাহ ছাড়া কেউ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে পারে না বলে প্রত্যয় আছে সরকারের দিক থেকে। আবার প্রকাশ করা হয়েছে মহাগণ্ডগোলের শঙ্কাও। তাও স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টার বরাতে। ‘নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হচ্ছে, হঠাৎ আক্রমণ আসতে পারে’—আনুষ্ঠানিক ব্রিফ করে তার এমন শঙ্কার জানান দিয়েছেন প্রেস সচিব। সেখানে আইন উপদেষ্টা বলছেন, যত কিছুই হোক, যে যত কথাই বলুক; ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবেই। এতে প্রশ্ন ও শঙ্কা আরও জোরালো হচ্ছে। সাধারণ বুঝজ্ঞানের মানুষও প্রশ্নবিদ্ধ—কেন এত বেশি বেশি করে নির্বাচনের গ্যারান্টি দেওয়া হচ্ছে? নির্বাচনের গ্যারান্টি নেই বলেই?

মুখের ভাষার সঙ্গে কাজকর্মেও জুলাইবিরোধী তৎপরতা স্পষ্ট। রীতিমতো জুলাই ব্যবসা। অনেকটা আওয়ামী লীগের একাত্তরের নামে একাত্তরবিরোধী ক্রিয়াকর্মের মতো। এর মধ্য দিয়ে একদিকে জুলাই ঝুলে গেছে। এখন নির্বাচন, সংস্কারসহ সামনের রাজনীতিও ঝুলতে বসার উপক্রম। অগণতান্ত্রিক দাবিকে জনপ্রিয় করতে গিয়ে অন্যের নামে কুৎসা রটনার কদাকার দৃশ্য অহরহ। ন্যারেটিভ পলিটিকস মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। নমুনা বলছে, এর উদ্দেশ্য বিভক্তকরণ ও ধোঁকায় ফেলা। এর ঢোলের বাড়িতে ক্ষুদ্র লাভে যুক্ত হয়ে যাচ্ছে মেধাবী দল। অভ্যুত্থানের দলটি মেধাবীদের থেকে ভিন্ন কিছু চাইলেও ভাষা ও চাওয়ার ভঙ্গিতে আলাদা নিয়ত গোপন থাকছে না। যেটার কোনো দরকারই নেই, সেটা নিয়েও ঝড় তোলার নমুনা তা খোলাসা করে দিচ্ছে। নির্বাচন ছাড়া এমনি এমনি খাবলে খাওয়ার আলাদা মজা থাকলেও, তা বেশি দিন টেকসই হবে না, তাও স্পষ্ট।

জামায়াত কোনোদিনও বিএনপির প্রতিপক্ষ হওয়ার মতো সামর্থ্যবান নয়। কিন্তু হতে চায়। তা চাইতে গিয়ে ভজঘট পাকিয়ে ফেলছে। সবাই রাজনীতি না করলেও রাজনীতি ও রাজনীতিক বিষয়ে সাধারণ মানুষের একটা বুঝ আছে। তারা হাড়ে হাড়ে চিনছে সবাইকে। সরকারকেও চিনছে, যা চেনার বাকি ছিল, তা গত কদিনে আরেকটু ঝালিয়ে নিয়েছে। একটা কমন প্রশ্ন—৮৪টা পয়েন্ট আর ৭টা অঙ্গীকারের ওপর গণভোট হয় কী করে? সাধারণ মানুষ জানে, ৮৪টা পয়েন্ট আর ৭টা অঙ্গীকারে কী আছে? শিক্ষিতসচেতন মানুষের কত শতাংশ জানে? সুতরাং তারা কীসের ভিত্তিতে ভোট দেবে? তা ছাড়া যে সনদের অনেক পয়েন্টের ওপরই দলগুলোর আপত্তি বা নোট অব ডিসেন্ট আছে, সেগুলোর ওপর গণভোট হয় কী করে? অথচ জুলাই সনদ একটা গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলিল। এর বাস্তবায়ন হতেই হবে। তা গণভোটে হোক আর সংসদে হোক। মনোজাগতিকভাবে বিতাড়িতরা ছাড়া সবাই চায় জুলাইয়ের আইনি, সাংবিধানিক, সামাজিকসহ যাবতীয় স্বীকৃতি। কিন্তু চাওয়ার ফের ও মতবিরোধটা একেবারেই রাজনৈতিক। যে কারণে ক্রমেই এটি ঐক্যের দলিল না হয়ে বিভেদের নতুন দলিলের দিকে ছুটছে। জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়া তৈরির সময়েই বলা হয়েছিল, ‘বিদ্যমান সংবিধান বা অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর কিছু থাকলে সেই ক্ষেত্রে এ সনদের বিধান/প্রস্তাব/সুপারিশ প্রাধান্য পাবে।’

শুরু থেকেই বিষয়টি সমালোচনার জন্ম দেয়। দেশের সংবিধানও যেখানে প্রশ্নের ঊর্ধ্বে নয়, সেখানে একটি সনদ বা রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকার কী করে সংবিধানের ঊর্ধ্বে স্থান পেতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। সমালোচনার মুখে এ অঙ্গীকারটি জুলাই সনদ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, এই সনদ এখন আর সংবিধানের ওপরে নয়। কিন্তু সনদের অঙ্গীকারে এও বলা হয়েছে, এ সনদ আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না। কেউ যদি সনদের কোনো বিধান সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক দাবি করে এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করতে চান, সেই সুযোগ রাখা হয়নি। অবশ্য চূড়ান্ত খসড়ায় বলা ছিল, এই সনদের কোনো বিধান, প্রস্তাব বা সুপারিশের ব্যাখ্যাসংক্রান্ত যে কোনো প্রশ্নের চূড়ান্ত মীমাংসার এখতিয়ার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ওপর ন্যস্ত থাকবে। কিন্তু এখন যে সনদটি স্বাক্ষরের জন্য তৈরি করা হয়েছে, সেখানে এ বিধানটি বাদ দিয়ে লেখা হয়েছে—‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এর বৈধতা ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কোনো আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করব না, উপরন্তু উক্ত সনদ বাস্তবায়নের প্রতিটি ধাপে আইনি ও সাংবিধানিক সুরক্ষা নিশ্চিত করব।’ কঠিন এক বাস্তবতায় জুলাই সনদের অনেক ধারার বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য গড়ে ওঠেনি।

জুলাইকে নিজের মতো বিশ্লেষণ করে নিজের ঘরে ফল নিতে চাচ্ছে দলগুলো। এখানে কে খেলোয়াড়? কে রেফারি—বোঝা মুশকিল। সংবিধান, আইসভা, বিচার বিভাগ, পুলিশ, প্রশাসনসহ নানা ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য জুলাই সনদে ৮৪টি বিষয় রয়েছে। সনদের ৭ নম্বরে সংবিধানের মূলনীতি লেখা হয়েছে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি। সনদের ১৪ ও ১৫ নম্বরে প্রধানমন্ত্রীর পদের মেয়াদ এবং একই ব্যক্তির প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান না থাকার বিধান রাখা হয়েছে। বলা হয়েছে, একজন ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী পদে যত মেয়াদ বা যতবারই হোক সর্বোচ্চ ১০ (দশ) বছর থাকতে পারবেন। এজন্য সংবিধানের সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদসমূহের প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে। সেইসঙ্গে সংবিধানে এরূপ যুক্ত করা হবে যে, প্রধানমন্ত্রী পদে বা আসীন ব্যক্তি একই সঙ্গে দলীয় প্রধানের পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন না। জুলাই সনদ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান ফিরিয়ে আনার বিষয়ে প্রস্তাব করেছে এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অংশ নেওয়া সবগুলো দল এ বিষয়ে একমত হয়েছে। অর্থাৎ, যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করার মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটের শুরু বলে মনে করা হয়, সেই বিধান ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সবাই একমত।

জুলাই সনদের একটি বড় আলোচনার জায়গা দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ। বাংলাদেশের বর্তমান আইনসভা এক কক্ষবিশিষ্ট। এটিকে উচ্চ ও নিম্নকক্ষে ভাগ করার প্রস্তাব করা হয়েছে এবং ২৫টি রাজনৈতিক দল এ বিষয়ে একমত হয়েছে। পাঁচটি দল নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে বলেছে, বাংলাদেশের বিদ্যমান বাস্তবতায় উচ্চকক্ষের প্রয়োজন নেই। কিছু অমত-দ্বিমত শেষে এখন শুধুই বিরোধ। ঝড়ের মতো চাতুরী-প্রতারণার বিষয়ও চলে এসেছে। বৃহৎ দল বিএনপির জন্য তা অনেকটা কুমিল্লার আঞ্চলিক শ্লোক ‘দেখাইছে মুর্গি, খাওয়াইছে ডাইল’-এর মতো। এর মাঝেই নানা আলোচনা ও নাটকীয় ঘটনার পর দিনটিতেই অবশেষে নির্বাচন কমিশনের সংরক্ষিত নির্বাচনী প্রতীকের তালিকায় যুক্ত হয়েছে ‘শাপলা কলি’। এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। শাপলা প্রতীকের ব্যাপারে আপসহীন দলটির মুখ্য সংগঠক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, বিএনপিকে বাড়তি সুবিধা দিতে নির্বাচন কমিশনের এমন অপচেষ্টা। কমিশন এবং এনসিপির রশি টানাটানির মধ্যে ফের কেবল শাপলা নয়; নির্বাচন, সনদ, ঐকমত্য কমিশন সবকিছুতেই ভর করেছে অনিশ্চয়তার বোঝা। কথা এবং দোষারোপে কেউ কাউকে একটুও ছাড়ছে না। বিএনপি-জামায়াত মিলে দেশকে সংকটের মধ্যে ফেলছে বলেও অভিযোগ ছোড়া হয়েছে এনসিপি থেকে। গণভোট আগে না পরে? এটিকে বিএনপি-জামায়াতের কুতর্ক মন্তব্য করে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, তারা এ কুতর্কে যাবেন না। কিছু শঙ্কা-সন্দেহ-কানাঘুষা থাকলেও নির্বাচনের মাস তিনেক আগে এমন একটা অবস্থা কাম্য ছিল না। টানা না হলেও মাঝেমধ্যে বিরতি দিয়ে ২৭০ দিন আলোচনার পরও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এক চরম অনৈক্য।

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের প্রথম প্রতিশ্রুতি ছিল—দলগুলো যেসব পয়েন্টে একমত হবে, শুধু সেগুলো নিয়ে সরকার এগিয়ে যাবে। কিন্তু দলগুলো একমত হয়নি এমন বিষয়েও কমিশনের চাপাচাপি বিএনপিকে আহত করছে। বিএনপি যেসব বিষয়ে নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে, সে বিষয়ে আগেই বলে দিয়েছিল, এগুলো বাস্তবায়নের দায়বদ্ধতা তাদের থাকবে না। তারপরও ঐকমত্য কমিশন কেন এগুলো জুলাই সনদে ঢুকিয়েছে—এ প্রশ্নে তারা ঠকবাজি দেখছে। কেওয়াজ বেশি বেধেছে গণভোট নিয়ে। তার ওপর ঐকমত্য কমিশন ঠিক করেছে, আগে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ। তারপর গণভোট এবং ২৭০ দিনের মধ্যে তা কার্যকর না হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধান সংশোধন হয়ে যাবে। এমন সুপারিশ পৃথিবীর কোনো সংবিধান, কোনো আইন, কোনো রাষ্ট্রবিজ্ঞান অ্যালাউ করে না। এ বিধানের অর্থ হলো সংসদ বা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সিদ্ধান্ত বা মতামতকে উপেক্ষা করে গণভোটের মতো একটি বিতর্কিত বিধানকে অগ্রাধিকার দেওয়া। বাংলাদেশে অতীতের তিনটি গণভোটে (১৯৭৭, ১৯৮৫, ১৯৯১) কী হয়েছে; কতজন মানুষ ওইসব ভোটে অংশ নিয়েছে—এ নিয়ে অনেক কথা রয়েছে। জনগণের মতামতের বদলে ওইসব গণভোটে ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে। কাগজে-কলমে ৮০ থেকে ৯৮ শতাংশ ভোট পড়লেও বাস্তবে ২০ শতাংশ মানুষও যে ভোটকেন্দ্রে যায়নি, সেই তথ্য বিভিন্ন বইপত্রে আছে। এখন একই ইস্যুতে জাতীয় নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের দিনই গণভোট বিতর্কে গ্যাঞ্জাম পোক্ত হয়ে তা বিষফোঁড়ার অবস্থা করেছে।

লেখক: সাংবাদিক-কলামিস্ট; ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কেন অপু বিশ্বাসের সঙ্গে কাজ বন্ধ করেছেন গৌতম সাহা?

৯ মাস পর খুলেছে সেন্টমার্টিন, ছাড়েনি কোনো জাহাজ

ফের লঘুচাপের শঙ্কা, টানা ৫ দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস

ভেনিজুয়েলায় হামলার পরিকল্পনা অস্বীকার ট্রাম্পের

ছবিতে প্রথমে কী দেখলেন, আপনার উত্তরই বলে দেবে আপনি কেমন মানুষ

বনশ্রীতে “সুলতান হান্ডি এন্ড কাবাব রেস্টুরেন্ট”-এর জমকালো উদ্বোধন

ধবলধোলাইয়ের পর ক্লান্তি ও চাপকেই দায় দিলেন লিটন

১১ বছর পর মুখোমুখি হচ্ছেন চীন-দক্ষিণ কোরিয়ার নেতারা

ফুলকোর্ট সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি

দ্বিতীয় দিনের মতো প্রচারে অপু

১০

মুরগির তেলেই রান্না করুন চিকেন রোস্ট

১১

‘ভুয়া, ভুয়া’ স্লোগান শুনে মন খারাপ স্যামির

১২

রোহিত-কোহলিকে পেছনে ফেলে টি-টোয়েন্টিতে বাবরের ইতিহাস

১৩

বাংলাদেশ ক্রিকেটে শেষ হতে চলছে গামিনি অধ্যায়

১৪

বসতঘর থেকে গোখরা সাপের বাচ্চা উদ্ধার

১৫

কিডনির ওপর অতিরিক্ত লবণের প্রভাব জানালেন চিকিৎসক

১৬

ঢাকার বাতাস আজ সহনীয়

১৭

৩০ দিন ভাত-রুটি ছাড়লে যে পরিবর্তন আসবে

১৮

দুর্বল শাসনব্যবস্থা বাংলাদেশে সরকার পতনের কারণ : অজিত দোভাল

১৯

জাটকা শিকারে আজ থেকে নিষেধাজ্ঞা শুরু

২০
X