স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৫৭ পিএম
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:০২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মারুফার উদ্দেশে ভারতীয় ক্রিকেটারের বার্তা

মারুফা আক্তার ও জেমিমা রদ্রিগেজ। ছবি : সংগৃহীত
মারুফা আক্তার ও জেমিমা রদ্রিগেজ। ছবি : সংগৃহীত

মুম্বাইয়ের উজ্জ্বল সন্ধ্যায় ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে লেখা হলো এক নতুন অধ্যায়। নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৩৩৮ রানের বিশাল লক্ষ্য—যেখানে হারের আতঙ্ক ছাপিয়ে গিয়েছিল ইতিহাসের ভার—সেই অসম্ভবটাকেই সম্ভব করে দেখালেন জেমিমা রদ্রিগেজ। ১৩৪ বলে অপরাজিত ১২৭ রানে দলকে টেনে নিয়ে গেলেন ফাইনালে। আর ম্যাচ শেষে, শুধু ভারত নয়—সম্মোহিত হলো গোটা ক্রিকেটবিশ্ব।

এই জয়ের পর সামাজিক মাধ্যমে এক ব্যতিক্রমী দৃশ্য দেখা গেল। বাংলাদেশের তরুণ পেস সেনসেশন মারুফা আক্তার তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখলেন এক হৃদয়ছোঁয়া বার্তা— ‘জেমি দিদি, আপনি আমাদের অসাধারণ একটি ম্যাচ উপহার দিয়েছেন। সত্যি, ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আমি সবসময় আপনার জন্য প্রার্থনা করব যেন আপনি আপনার দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। ফাইনালের জন্য শুভকামনা ও দোয়া।’

বাংলাদেশি এক তরুণীর এমন আন্তরিক বার্তায় আবেগাপ্লুত জেমিমা নিজেও থেমে থাকেননি। মন্তব্যের ঘরে তিনি লিখলেন, ‘ধন্যবাদ, মারুফা। তুমি নিজেই একজন অনুপ্রেরণা। তুমি যা করেছো তা বাংলাদেশ ও বিশ্বের অনেক নারীকেই অনুপ্রাণিত করেছে।’

একজন প্রতিষ্ঠিত তারকা এবং এক উদীয়মান প্রতিভার এই সৌজন্য বিনিময় যেন ক্রিকেটের মাঠ ছাড়িয়ে ছুঁয়ে গেল মানবিকতার গভীর স্তর। কারণ মারুফা শুধু একজন বোলার নন, তিনি এক গল্পের নাম—যেখানে আছে সংগ্রাম, সমাজের বাঁকা মন্তব্য, এবং এক অনমনীয় আত্মবিশ্বাস। আইসিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, কীভাবে দরিদ্রতা ও কুসংস্কার পেরিয়ে ক্রিকেট হাতে তুলে নিয়েছিলেন।

এই মেয়েটির সেই লড়াই, যা একসময় কেবল স্বপ্ন মনে হয়েছিল, আজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পৌঁছে গেছে অনুপ্রেরণার প্রতীকে। তাই হয়তো জেমিমার এই বাক্য—“তুমি নিজেই এক অনুপ্রেরণা”—শুধু প্রশংসা নয়, এক প্রজন্মের মেয়েদের জন্য মাইলফলক হয়ে রইল।

অন্যদিকে, এ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল যতটা না জ্বলে উঠেছে ফলাফলে, তার চেয়ে বেশি আলো কুড়িয়েছে মারুফার পারফরম্যান্সে। গতির সঙ্গে সুইং মিলিয়ে বারবার বিপদে ফেলেছেন প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের। তাকে প্রশংসা করেছেন শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি লাসিথ মালিঙ্গাও।

ক্রিকেটের জয় পরাজয়ের ঊর্ধ্বে এই মুহূর্তটি যেন দেখিয়ে দিল—খেলার মঞ্চে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও হৃদয়ের জায়গায় এখনও জায়গা আছে মানবিকতার।

জেমিমা জিতেছেন ম্যাচ, কিন্তু হৃদয় জিতে নিয়েছেন দু’জনই—জেমিমা আর মারুফা। একে অপরের চোখে অনুপ্রেরণা হয়ে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মোবাইল ফোন চুরি বা হারালে ব্লক করার প্রক্রিয়া

গণভোট নয়, জনগণ সরকার গঠন করবে ব্যালটে : জুয়েল

হাওরে জাল ফেলে নিখোঁজ কৃষকের লাশ উদ্ধার

বিক্ষোভে উত্তাল ইসরায়েল

প্যান্টের পকেটে লুকানো ছিল স্বর্ণের ৬ বার

জাতীয় নির্বাচনের তপশিল কবে, জানালেন ইসি আনোয়ারুল

ক্যাটরিনার ছবি নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে    

ক্যানসারের কাছে হার মানলেন হাইমচর থানার ওসি সুমন

দুই ব্যক্তি খুন করেছিল সুশান্তকে, দাবি বোনের 

শেষ সিনেমায় জুবিনকে বিশেষ শ্রদ্ধা আসামবাসীর 

১০

ওমরাহ ভিসার মেয়াদ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিল সৌদি

১১

ইসলামী ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিতের দাবি চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাদের

১২

ক্যারিবীয়দের কাছে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

১৩

একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠী নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে : মামুন

১৪

ফাতেমা রানীর তীর্থোৎসবে আলোকিত গারো পাহাড়

১৫

যুক্তরাষ্ট্রকে ভণ্ড বলে কটাক্ষ করল ইরান

১৬

জুলাইবিরোধী অবস্থান / ইবির ৩০ শিক্ষক-কর্মকর্তা বরখাস্ত, ৩৩ শিক্ষার্থীর সনদ বাতিল

১৭

স্মরণীয় মুসলিম মনীষী / মাওলানা হুসাইন আহমাদ মাদানি (রহ.)

১৮

হাদিসের বাণী ও শিক্ষা / রাগ থেকে বাঁচার উপায়

১৯

কোরআনের বাণী ও শিক্ষা / ধৈর্য ও তাকওয়ার গুরুত্ব

২০
X