

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩-০ হোয়াইটওয়াশে শেষ হলো বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। চট্টগ্রামে শেষ ম্যাচেও হার এলো পাঁচ উইকেটে, এবং সিরিজ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাসের কণ্ঠে ছিল না কোনো আতঙ্ক—বরং বাস্তবতার স্বীকারোক্তি ও আত্মবিশ্বাসের প্রতিশ্রুতি। লিটনের ভাষায়, দলের ব্যর্থতার পেছনে বড় কারণ ছিল ‘ক্লান্তি ও মানসিক চাপ’, যা কাটিয়ে উঠতে সময় ও বিশ্রাম দরকার।
‘আমি আগেও বলেছিলাম, কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলতে চাই। এই সিরিজে তারা আমাদের সবদিক থেকেই চাপে ফেলেছে। বোলিং দারুণ করেছে, আমাদের ব্যাটিংও ভালো হয়নি,’ ম্যাচ শেষে বললেন লিটন।
‘তবে সব সময় খারাপ সময় চলতে পারে না। যেটা দরকার, সেটা হলো আত্মবিশ্বাস ধরে রাখা। চিন্তা বেশি করলে নেতিবাচক ভাবনাই মাথায় আসে।”
গত মে মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩-০ হারের পর এই প্রথম বাংলাদেশ আরেকটি হোয়াইটওয়াশের স্বাদ পেল। অথচ এর আগে চারটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজে জয়ের ধারা ছিল। তাই এই ধাক্কায় ভেঙে পড়তে নারাজ লিটন দাস। তার মতে, এটি মূলত অতিরিক্ত খেলার চাপের ফল।
‘অনেক সময় আপনি চেষ্টা করেও পারফর্ম করতে পারেন না,’ বললেন তিনি। ‘খেলোয়াড়রা অনেক দিন ধরে ধারাবাহিক ক্রিকেট খেলছে। একটু বিরতি দরকার। এই সিরিজ শেষ হয়ে এখন কমপক্ষে ১০ দিনের বিশ্রাম পাবে সবাই। এরপর আয়ারল্যান্ড সিরিজের আগে নতুন করে অনুশীলনে ফিরবে। তখন সবাই মানসিকভাবে আরও প্রস্তুত থাকবে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চিন্তার জায়গা ছিল ব্যাটিং। তবে লিটন বড় ধরনের বদলের পক্ষপাতী নন। তাঁর বিশ্বাস, যারা দলের মূল ভরসা, তাদের উপরই আস্থা রাখতে হবে।
‘যারা এখন খেলছে, সবাই পরীক্ষিত ক্রিকেটার,’ তিনি বলেন। ‘একটা-দুটো সিরিজ খারাপ গেলে বা কয়েক ম্যাচে রান না পেলে সেটা দিয়ে কাউকে ব্যর্থ বলা যায় না। নিজেরা জানে কোথায় উন্নতি করতে হবে। ব্যাটিং কোচের সঙ্গে আলোচনা করে নিশ্চয়ই ঠিক পথে ফিরবে।’
মন্তব্য করুন