মোস্তফা কামাল
প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:৫৬ এএম
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:২৯ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

চব্বিশে ভোটের চল্লিশ ধামাকা

চব্বিশে ভোটের চল্লিশ ধামাকা

শুরুটা ৭ জানুয়ারিতে ১৭ কোটি জনগণের বাংলাদেশ দিয়েই হয়েছে। এদিনের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে টানা চতুর্থ দফায় চলছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের মধুচন্দ্রিমা। এর এক মাসের মধ্যে ৮ ফেব্রুয়ারি অন্তত সাত পুলিশ সদস্য নিহতসহ বিচ্ছিন্ন সহিংসতায় ভোট হলো পাকিস্তানে। নতুন এক আবহে ২৪ কোটি মানুষের দেশটিতে এবারের নির্বাচনে ২৬৬ আসনে লড়েছেন অন্তত পাঁচ হাজার প্রার্থী। কারাবন্দি থাকায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি পিটিআই নেতা ইমরান খান। তবে কারাগার থেকেই ভোট দেন তিনি। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও সহিংসতা বিবেচনায় পাকিস্তানে ভোটের দিন সকাল থেকেই বন্ধ ছিল ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন সেবা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন সার্ভিস বন্ধ রেখে ভোটে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানে। এরপর রয়েছে আরেক জনবহুল মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ার নির্বাচন। মে মাসে আফ্রিকার সবচেয়ে শিল্পোন্নত দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন। ১৯৯৪ সালে বর্ণবৈষম্যের অবসানের পর থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন হিসেবে দেখা হচ্ছে এটিকে। আফ্রিকার অন্যান্য দেশের মধ্যে আলজেরিয়া, বতসোয়ানা, চাদ, কোমোরোস, ঘানা, মৌরিতানিয়া, মরিশাস, মোজাম্বিক, নামিবিয়া, রুয়ান্ডা, সেনেগাল, সোমালিল্যান্ড, দক্ষিণ সুদান, তিউনিসিয়া ও টোগোতে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন।

কিছু দেশে নির্বাচন নিছক আনুষ্ঠানিকতা হলেও কোনো কোনো দেশের নির্বাচন গোটা বিশ্বের জন্যই ঘটনা। বাংলাদেশের জন্য শত্রুরাষ্ট্র পাকিস্তান আর বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্ববহ। এপ্রিল-মে মাসে হতে যাওয়া নির্বাচনের আগেই কারচুপির প্রস্তুতির অভিযোগ উঠে গেছে ভারতে। বিপুল জয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের দৃঢ় আশা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সরকারের মেয়াদপূর্তি ও লোকসভা নির্বাচনের আগে বাজেট অধিবেশনে পার্লামেন্টে শেষ ভাষণে এ আশাবাদের কথা জানান তিনি। সেইসঙ্গে বিরোধী দল কংগ্রেসে পরিবারতন্ত্রের সমালোচনা করেন নরেন্দ্র মোদি। কটাক্ষ করেন অধিবেশনে থাকা কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে নিয়ে। দৃঢ় আত্মবিশ্বাসী মোদির দাবি, লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে কমপক্ষে ৪০০টিতে জিতবে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট এনডিএ। এতে শুধু বিজেপির পক্ষেই যাবে ৩৭০টি আসন। মোদির এ আত্মবিশ্বাসে ষড়যন্ত্রের সন্দেহ জানান কংগ্রেস নেতা অধির। বলেন, অহংকারের উত্তাপে জনগণ কাকে ভোট দেবে সেই পরোয়া করছেন না মোদি। অধিরের দাবি, ইভিএমে কারসাজির প্রস্তুতি না থাকলে এতগুলো আসনে জয়ের বিষয়ে এতটা নিশ্চিত থাকা অসম্ভব। মোদির ভাষণের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও ইন্দিরা গান্ধীর সমালোচনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়গেসহ কংগ্রেস শীর্ষ নেতারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে ‘হ্যাশট্যাগ বাই বাই মোদি’ আন্দোলন।

প্রতিবেশী বা এশীয় আশপাশ ছাড়াও ২০২৪ সালে বিশ্বের অন্তত ৪০টি দেশে নির্বাচন। আয়তন বিচারে তা বিশ্বের প্রায় অর্ধেক। ভোটার ৪০০ কোটি প্রায়। বিশ্বের টপ সুপার পাওয়ার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৬০তম চতুর্থ বার্ষিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এ বছরের শেষদিকে ৫ নভেম্বর। বিশ্বময় ভোটের ভালো-মন্দের সনদ দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের এ নির্বাচনে জো বাইডেন ক্ষমতায় এলে মেয়াদপূর্তিতে তার বয়স দাঁড়াবে ৮৬ বছর। হাল ছাড়ছেন না সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। ৭৭ বছর বয়সী ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিক ফৌজদারি মামলাসহ বিভিন্ন প্রতিকূলতায় হাবুডুবু খাচ্ছেন। একাধিক ফৌজদারি অপরাধ, আর্থিক কেলেঙ্কারি, কারসাজি ও যৌন হয়রানির মতো বেশ কিছু অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। তা সত্ত্বেও, রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে ট্রাম্পই ‘ফেভারিট’ হিসেবে বিবেচিত। এরই মধ্যে রিপাবলিকানদের নেতৃত্বাধীন হাউস অব রিপ্রেজেন্টিটিভস বাইডেনকে অভিশংসনের আওতায় আনতে তদন্তের প্রস্তাব এনেছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সরকারে ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকার সময় বাইডেন তার ছেলে ‘হান্টার বাইডেনের’ ব্যবসা থেকে অনৈতিকভাবে মুনাফা করেছিলেন—এ অভিযোগ সত্য কি না, তা খতিয়ে দেখতেই এ তদন্ত।

নির্বাচনী বছরের রেকর্ডের এ হাতছানির মধ্যে আরেক সুপার পাওয়ার রাশিয়াও ভোটের দামামা। দুই বছর ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধে শক্ত অবস্থানে থাকা ভ্লাদিমির পুতিন প্রেসিডেন্ট পদে আছেন ২৪ বছর ধরে। আগামী মাসে হতে যাওয়া নির্বাচনে জিতে আরও ছয় বছর এ পদে থাকার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী তিনি। আত্মবিশ্বাসের জোরে তিনি আর কোনো দলের না থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে যাওয়ার রসিকতা করেছেন। সংবিধান সংশোধন করে ২০৩৬ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার পথ সুগম করেই রেখেছেন পুতিন। এবার নির্বাচিত হলে রুশ কিংবদন্তি নেতা জোসেফ স্ট্যালিনের শাসনামলকে ছাড়িয়ে যাবে পুতিন-রাজত্ব। বাস্তবে পুতিনের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। তার মূল ও একমাত্র গ্রহণযোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যালেক্সেই নাভালনি ১৯ বছরের কারাদণ্ডাদেশ নিয়ে কারাগারে রয়েছেন।

জুনে আরেকটি বড় ও উল্লেখযোগ্য হলো ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচন। বিভিন্ন ইস্যুতে চ্যালেঞ্জে থাকা এ জোটের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করার দিকে বিশ্বের নজর। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচনে ডানপন্থিদের জনপ্রিয়তার এই বহুজাতিক নির্বাচনে ভোটার ইউরোপের ৪০ কোটি মানুষ। এই ভোট কট্টর ডানপন্থি, ‘পপুলিস্ট’ নেতাদের জন্য একটি অগ্নিপরীক্ষা। বছরের শেষদিকে নভেম্বরে রয়েছে ডাচ নির্বাচন। এতে গ্রিট ওয়াইল্ডারের ইসলামবিরোধী ও ইউরোপীয় ইউনিয়নবিরোধী পিভিভি ফ্রিডম পার্টি এবং গত বছর ইতালিতে জর্জিয়া মেলোনির কট্টর ডানপন্থি ব্রাদার্স অব ইতালির বিজয় ডানপন্থিদের পালে হাওয়া দিলেও, এ নির্বাচনেই তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই হবে।

জুনে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়বেন দুই নারী। যার ফলে যুগ যুগ ধরে চলে আসা পুরুষতান্ত্রিক ক্ষমতা অবকাঠামোয় আসতে যাচ্ছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। একদিকে আছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস মানুয়েল লোপেজ ওবরাদরের মোরেনা পার্টির প্রার্থী ক্লদিয়া শেইনবম। তিনি রাজধানী মেক্সিকো সিটির সাবেক মেয়র। অন্যদিকে আছেন দেশটির ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধি জোচিল গালভেজ। তিনি বিরোধীদলীয় জোট ‘ব্রড ফ্রন্ট ফর মেক্সিকোর’ পক্ষ থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী।

এশিয়া মহাদেশের দেশ তাইওয়ান ও ভুটানে নির্বাচন হওয়ার কথা বছরের মাঝামাঝিতে। আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ সুদান, দক্ষিণ আফ্রিকা, তিউনিসিয়া, মাদাগাস্কার ও ঘানায়ও বাজছে ভোটের ঢোল। দি ইকোনমিস্টের মতে, ব্রাজিল ও তুরস্কের মতো কিছু জায়গায় সাধারণ নির্বাচন হবে না তবে স্থানীয় বা পৌরসভা নির্বাচন হবে যেখানে পুরো দেশ অংশগ্রহণ করবে। যে দেশগুলো নির্বাচনে যাচ্ছে তাদের মধ্যে অনেকে জি২০ ও জি৭-এর মতো শক্তিশালী জোটের সদস্য। এ কারণে নির্বাচনগুলোতে ভূরাজনৈতিক প্রভাব থাকতে পারে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও আসতে পারে পরিবর্তন। ভূরাজনীতির উত্তেজনা আগে থেকেই বিশ্ব অর্থনীতিতে জেঁকে বসে আছে। এর সঙ্গে যোগ হবে দেশে দেশে নির্বাচনের প্রভাব। ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাষ্ট্র ও ২৭ সদস্যের ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচন গোটা বিশ্বে না হলেও কোনো কোনো দেশের রাজনীতির বাঁক বদলে দিতে পারে। অনেক দেশেই সরকারের বিরুদ্ধে অবিশ্বাস বাড়ছে। আবার নিজের অবস্থান ও কর্তৃত্ব আরও শক্ত-পোক্ত করে নিয়েছে কোনো কোনো দেশের সরকার। তবে অর্থনৈতিকভাবে সুখে নেই কোনো দেশই। যে যেভাবে পারছে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করছে। নিশ্চল আয়, জীবনযাত্রার মানের অবনতি ও ক্রমেই প্রকট হওয়া বৈষম্যের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশ্বায়নের বিষয়ে সন্দেহ-অবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলেছে।

অর্থনীতিবিদদের কেউ কেউ বর্তমান অবস্থার সঙ্গে ১৯৭০ দশকের পরিস্থিতির তুলনা করেন। আবার ১৯৩০ দশকের সঙ্গে তুলনাও আছে। সে সময়ের অস্থির রাজনীতি ও আর্থিক অসাম্য জনতুষ্টিবাদ উসকে দিয়েছিল। হতে যাওয়া নির্বাচনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষের নির্বাচন হবে ভারতে। এটি এই মুহূর্তে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধির অর্থনীতি, চীনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশটি বিশ্বের উৎপাদন কেন্দ্র হতে চায়। অন্যদিকে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে এ যাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ নির্বাচন এরই মধ্যে নীতিনির্ধারণে ভূমিকা রাখা শুরু করেছে। গত সপ্তাহে ইউরোপের ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম এবং মার্কিন হুইস্কি ও মোটরসাইকেলের শুল্ক নিয়ে আলোচনা আগামী নির্বাচনের পর করার বিষয়ে ওয়াশিংটন ও ব্রাসেলস একমত হয়েছে। সবকিছুর মধ্যেই রাজনীতির চেয়ে অর্থনীতির হিসাব বেশি।

প্রধান অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে ভূরাজনৈতিক ও ভূ-অর্থনৈতিক সম্পর্কে অব্যাহত অস্থিরতা সরকারি ও বেসরকারি খাতের জন্য মূল উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের বেশিরভাগ অঞ্চলেরই প্রবৃদ্ধি শ্লথ। অনেক দেশ ঋণ পরিশোধে নাস্তানাবুদ। কেনাকাটায়ও সবাই সুবিধাবাদী। যার যেখানে রাজনৈতিক-কূটনৈতিক-লাভ সেখানেই ছুটছে। রাশিয়ার তেল, গ্যাস ও কয়লা আরও বেশি পরিমাণে কিনছে চীন, ভারত ও তুরস্ক। ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর ইউরোপ রুশ জ্বালানি কেনা ব্যাপকভাবে কমিয়ে দিয়েছিল। এ সময়ই চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা বাড়লে ওয়াশিংটন বিদ্যুৎচালিত গাড়ি, সেমিকন্ডাক্টর ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় বলে বিবেচিত অনেক খাতে বিপুল পরিমাণ প্রণোদনা দিতে শুরু করে। লোহিত সাগরে জাহাজের ওপর ইরান-সমর্থিত হুতি গোষ্ঠীর ড্রোন ও মিসাইল হামলা বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে বিভক্তির চিত্রটি আরও পরিষ্কার করেছে। এমন একটা সময়ে অর্ধেক বিশ্বে বসেছে নির্বাচনের নামে ক্ষমতা আর অর্থের হাট।

লেখক: ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কেন এত সময় লাগছে অনুসন্ধানে

টানা চারটি লিগ জয়ীদের এলিট ক্লাবে ম্যানসিটি

হেলিকপ্টার পাওয়ার বিষয়ে যা জানাল রেড ক্রিসেন্ট

রাইসির সঙ্গে হেলিকপ্টারে আর যারা ছিলেন

উন্নয়নের নামে রাতের আঁধারে শাহবাগে গাছ কাটার অভিযোগ

সবশেষ বিহারে ছিলেন এমপি আনার

‘অভিবাসী কর্মীদের জন্য আরও টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করছে সরকার’

ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিখোঁজ, যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র

স্বামীর মোটরসাইকেলের চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে নারীর মৃত্যু

তবুও প্রার্থী হলেন সেই নাছিমা মুকাই 

১০

গাজীপুরে কারখানার ১০ তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে নারী শ্রমিকের মৃত্যু

১১

রাজশাহীতে আগুনে পুড়ে ছাই ১০ বিঘার পানের বরজ

১২

বিয়েবাড়ি থেকে কনের পিতাকে তুলে নিয়ে টাকা দাবি

১৩

ঠাকুরগাঁওয়ে নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর , এলাকায় উত্তেজনা

১৪

ঈশ্বরদীতে ফেনসিডিলসহ রেল নিরাপত্তা বাহিনীর সিপাহি আটক

১৫

এমপি আনোয়ার খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ওসিকে নির্দেশ

১৬

উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১১৬ কোটিপতি প্রার্থী : টিআইবি

১৭

রাইসির জন্য দোয়ার আহ্বান

১৮

‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুদৃঢ় হয়েছে’ 

১৯

প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা সিটির কাছেই থাকল

২০
X