মোস্তফা কামাল
প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:০২ এএম
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৩২ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

বিজিপি ফেরতেই আপদ শেষ?

বিজিপি ফেরতেই আপদ শেষ?

একজন রোহিঙ্গাকেও এখনতক ফেরত পাঠানো যায়নি। তবে আদরে-সমাদরে ফেরত পাঠানো গেছে মিয়ানমার সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী-বিজিপি সদস্যসহ ৩৩০ জনকে। প্রায় একই আপদে আক্রান্ত ভারত কিন্তু এত সাদামাটা তা করেনি। ওখানে আশ্রিতদের ফেরত পাঠানোর আগে জবানবন্দিসহ যাবতীয় তথ্যাদি নিয়ে রেখেছে তারা। বাংলাদেশ কি তবে কোনো তথ্য-সাবুদ আদায় না করে বিজিপি সদস্যদের প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে একটি খুচরা বোকামি করে ফেলেছে? নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের তাগিদ ছিল ফেরত পাঠানোর আগে বিজিপি সদস্যদের কাছ থেকে জান্তাদের তথ্য নিয়ে রাখার। কারণ ঘটনাচক্রে তাদের কাছ থেকে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর নানা অপকর্মের তথ্য তালাশের একটি সুযোগ তৈরি হয়েছিল।

সংঘাত বা অভ্যন্তরীণ যুদ্ধটি মিয়ানমারের। বাংলাদেশ এর শরিক নয়, ধারেকাছেও নয়। কিন্তু আক্রান্ত। অথচ মিয়ানমারের ছোড়া গোলা ও শেলে লাশ হয়েছে বাংলাদেশের মানুষ। এবার বাংলাদেশের স্পষ্ট ঘোষণা ছিল—মিয়ানমারের আর একজনকেও বাংলাদেশে ঢুকতে বা অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। কিন্তু ঘটনার অনিবার্যতায় দিতে হয়েছে। তাও রোহিঙ্গাদের মতো নিরস্ত্র-নিরন্ন গোবেচারা কাউকে নয়। একেবারে অস্ত্রধারীদের। আরাকান আর্মির ধাওয়ায় প্রাণে বাঁচতে পালিয়ে আসা জান্তা সদস্যদের মধ্যে মূলত বার্মিজ সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিপি সদস্যই সর্বাধিক। এই বিজিপিসহ পুরো বাহিনীটাই বার্মিজ সামরিক জান্তার অধীন এবং জান্তা দ্বারা পরিচালিত। এরা সম্মিলিতভাবেই অংশ নিয়েছিল রোহিঙ্গা নিধনে। সেইসঙ্গে চালিয়েছিল গণহত্যা। ২০১৭ সালে তাদের ক্রিয়াকর্মের জেরেই বাংলাদেশের ঘাড়ে চেপে আছে দশ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। নিরীহ বলা হলেও সেই রোহিঙ্গারা কতটা নিরীহ, মাঝেমধ্যেই ক্যাম্পে ও ক্যাম্পের আশপাশে তারা তা দেখিয়ে দিচ্ছে। এই রোহিঙ্গারা মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি পাসপোর্টে চম্পট দেওয়ার দৃষ্টান্ত দেখিয়েছে। আটলান্টিকের ওপারে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টের কাছে পর্যন্ত চলে যাওয়ার হতবাক করা ঘটনা পর্যন্ত ঘটিয়েছে। ঘটনার পরম্পরায় এবার ধেয়ে আসা দেশটির ফৌজি সদস্যরা তখন রোহিঙ্গা হত্যা ও নিধনে কে কতটুকু জড়িত ছিল তা শনাক্তের একটি মোক্ষম সুযোগ তৈরি হয়। তাদের মধ্যে লুকিয়ে থাকতে পারে বার্মিজ সামরিক জান্তার গুপ্তচরও। যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন কাজ করে আসছে। তা খতিয়ে দেখার প্রশ্নও রয়েছে। তাই তাদের কোনো ইন্টারোগেশন করার একটি বিষয় ছিল। ভারত ঠিকই তা করেছে।

ফেরত পাঠানো এই বিজিপি সদস্যরা রোহিঙ্গা নিধন ও তাড়ানোতে শরিক ছিল। অথবা সবাই ওই কুকর্মে না থাকলেও তারা জানত কারা অংশ নিয়েছিল ওই গণহত্যা ও নিধনে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা এ বিষয়গুলোকে খুব গুরুত্ব দিচ্ছিলেন। তাগিদ দিচ্ছিলেন ফেরত পাঠানোর আগে তাদের কাছ থেকে কিছু তথ্য-সাবুদ আদায় করে রাখার; তাদের ২০১৭ সালের ২৪ ও ২৫ আগস্টের ভূমিকা খতিয়ে দেখে নোট রাখা, যা সরকার প্রয়োজনে জাতিসংঘ অথবা আইসিজে বা আইসিসির কাছে হস্তান্তর করতে পারে। রাখাইন রাজ্যটির নিয়ন্ত্রণ এখন আরাকান আর্মির হাতে। তারা কারও বিবেচনায় বিদ্রোহী, কারও কাছে স্বাধীনতাকামী। বিদ্রোহী বা স্বাধীনতাকামী যেটাই হোক তা মিয়ানমারের বিষয়। নিজ স্বার্থে বাংলাদেশ এখানে একটি সাবধানি ও কৌশলী পদক্ষেপ নিতে পারত। ঘটনার ভয়াবহতায় স্বল্পমেয়াদে এখন বাংলাদেশের খুব বেশি কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার নেই। বিজিবির হেফাজতে থাকার সময় মিয়ানমারের এই জান্তা সম্প্রদায়ের শরিক বিজিপি সদস্যদের কাছ থেকে ডকুমেন্টারি তথ্য নেওয়ার সুযোগটি হাতছাড়া হয়ে গেল। কিন্তু সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার না করে তাদের ফেরত পাঠানোর আলোচনাই মুখ্য করে ফেলা হয়। তাই পালিয়ে আসা বিজিপি সদস্যদের আমাদের বিজিবির হেফাজতে রেখে কিছুদিন পর ফেরত পাঠানোর মাধ্যমে প্রকারান্তরে সুযোগ হাতছাড়া করা হয়েছে।

বলার অপেক্ষা রাখছে না, চরম এবং দীর্ঘস্থায়ী অস্থিতিশীলতার দিকে ধাবমান মিয়ানমার। উখিয়ার রহমতবিল সীমান্ত দিয়ে দেশটির বিজিপি সদস্যসহ যারা ঢুকেছে, তাদের কারও কারও হাতে রাইফেল-এসএমজি ছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। এর সত্য-মিথ্যা নির্ণয় হয়নি। আলোচনাও ঢেকে গেছে। সত্য হয়ে থাকলে সেই অস্ত্রগুলো কোথায়? তাদের মধ্যে পরাজিত সেনাসদস্য ছাড়াও বিদ্রোহী গ্রুপ আরসা ও আরএস কর্মীও কি ছিল? তাদের শনাক্ত করাও হয়নি। ২০১৭ সালে সীমান্ত খুলে দেওয়ার ঘটনায় জাতিসংঘসহ সারা পৃথিবী বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রীর মানবতার প্রশংসা করেছে। এবারের গোটা বাস্তবতাই ভিন্ন। তাই অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত পাঠানোতে সমস্যার সমাধান হলো না সমস্যা আরও পাকলো। মিয়ানমারে গণমাধ্যম বলতে কার্যকরভাবে কিছু নেই। দেশটির অভ্যন্তরে কী হচ্ছে বা হতে যাচ্ছে—এ বিষয়ক তথ্য আমাদের কাছে ঠিকভাবে আসে না। বিচ্ছিন্ন বা খণ্ডিত কিছু তথ্যই ভরসা। বিপদে পড়ে আমাদের এখানে আশ্রিত বিজিপি সদস্যদের কাছে তথ্য ছিল অনেক বেশি।

কারও সঙ্গে আগ বাড়িয়ে যুদ্ধে না জড়ানো বাংলাদেশের কূটনীতি। কিন্তু যোগাযোগ ও তথ্য সংগ্রহ অবশ্যই কাম্য। বাংলাদেশ চীনের সহায়তা বা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বলে জানানো হয়েছে সরকার থেকে। বিষয়টি জাতিসংঘসহ বিশ্বসভার গুরুত্বপূর্ণদের জানানোও জরুরি। মিয়ানমারের দুপক্ষের মধ্যে জাতিসংঘ অবস্থান নিলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের একটি নতুন সুযোগ তৈরি করা যেত বলে ধারণা কারও কারও। মিয়ানমারের একসময় নাম ছিল বার্মা আর রাজধানী রেঙ্গুন। ১৯৮৯ সালে দেশটির সামরিক সরকার বার্মার নতুন নাম দেয় মিয়ানমার। রাজধানী রেঙ্গুনের নতুন নাম রাখা হয় ‘ইয়াঙ্গুন’। ২০০৫ সালে ইয়াঙ্গুন দেশের রাজধানীর মর্যাদা হারায়। বর্তমানে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদো এবং ইয়াঙ্গুন তাদের দেশের প্রধান শহর। মিয়ানমার ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে ছিল ১৮২৪ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত টানা ১২৪ বছর। শুরুতে বার্মাকে ভারতের একটি প্রদেশ ধরা হতো। ১৯৩৭ সালে ব্রিটিশরা বার্মা প্রদেশকে আলাদা রাষ্ট্র ঘোষণা করে। ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে বেরিয়ে আসার পর বার্মা প্রথমবারের মতো স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এর মাঝে তিন বছর ১৯৪২ থেকে ১৯৪৫ পর্যন্ত বার্মা জাপানিদের দখলে ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বার্মায় জাপানিদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শক্তি।

১৯৪২ সালে জাপানিদের তত্ত্বাবধানেও প্রশিক্ষণে তৈরি হয়েছিল বার্মা ইনডিপেনডেন্ট আর্মি। তৎকালীন বার্মার জেনারেল, নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী অং সান সু চির বাবা অং সান এই বার্মা ইনডিপেনডেন্ট আর্মি তৈরি করেছিলেন। এই আর্মি তৈরির উদ্দেশ্য ছিল বার্মা থেকে ব্রিটিশ ও জাপানি শাসন উৎখাত করা। বার্মা পরে স্বাধীন হয়েছে ঠিকই, তবে অং সানের মৃত্যুর পর। ২০১৫ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয় তার মেয়ে অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন বিরোধী এনএলডি। তবে দলটি নিজেদের মতো দেশ চালাতে পারেনি। সময়ের পরিক্রমায় সেই বার্মা আজকের মিয়ানমার আরেক যুগসন্ধিক্ষণে। ইতিহাসের এক নতুন বাঁকে। এই বার্মাকে একসময় মগের মুল্লুকও বলা হতো। ২০২২ সাল থেকে সেখানে ঘুরছে যুক্তরাষ্ট্রের বহুল আলোচিত বার্মা অ্যাক্ট।

মিয়ানমার পরিস্থিতি নতুন করে অস্থিতিশীল করে তুলেছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোকেও। ভারত তাই মিয়ানমার প্রশ্নে বেশ সাবধানি। অসামরিক ও সামরিক শরণার্থীর স্রোত বন্ধ করতে মিয়ানমার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘ভারত ১৬৪৩ কিলোমিটার বিস্তৃত এই সীমান্তটির সুরক্ষা ঠিক সেভাবে করবে, যেভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্তের বেড়া দিয়ে করে এসেছে, যা এর দ্বিগুণ দীর্ঘ।’ মিয়ানমারের এ সমস্যা অচিরেই সমাধানের লক্ষণ নেই। এর প্রভাব পড়তে পারে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পূর্ব-এশিয়ায়। চীনের রহস্যময়তা ওপেন সিক্রেট হয়ে গেছে। তারা জান্তা সরকারের সঙ্গে প্রকাশ্যে আছে। আবার বিদ্রোহী আরাকান আর্মিকে অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সহায়তাও করছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এ ব্যাপারে বেশ তৎপর। যুক্তরাষ্ট্রের বার্মা অ্যাক্ট আর ভারতের ইস্ট অ্যাক্টও (পূর্বে চলো) এখানে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। ভারতের পূর্বে চলো নীতিমালায় পালেতওয়া ও সিত্তের অবস্থান কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মূলত এ দুই শহর কেন্দ্র করে ভারতের অর্থায়নে বাস্তবায়ন হচ্ছে উচ্চাভিলাষী কালাদান মাল্টি-মোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট। বাংলাদেশ সীমান্তের ২০ কিলোমিটার দূরে চিন প্রদেশের পালেতওয়া পূর্ণরূপে দখল করে নেওয়ার কথা জানায় আরাকান আর্মি। কিছুদিন আগে রাখাইনের রাজধানী সিত্তের নিকটবর্তী পাউকতাওয়ে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার খবর প্রকাশ হয়। এগুলো শনির বার্তা বাংলাদেশ-ভারত উভয়ের জন্যই। ভারতের একসময় অভিযোগ ছিল, সেভেন সিস্টারের আত্মনিয়ন্ত্রণের যুদ্ধ চালিয়ে যেতে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করা হয়েছে। অনেক দিন ধরে সেই অভিযোগ নেই। কিন্তু সেভেন সিস্টারের বহুল আলোচিত উলফার নেতা পরেশ বড়ুয়া চীনের ইউনানে বসবাস করছেন বলে প্রচারণা আছে। বর্তমান স্নায়ুযুদ্ধের সময় নতুন পরিস্থিতিতে পরেশ বড়ুয়া নতুন করে কোমর বাঁধেন কি না, তা নিয়ে ভারত সার্বক্ষণিক সতর্ক। পরেশ বড়ুয়ার আপদমুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু রোহিঙ্গা-আরসাসহ নানা ব্যাধিমুক্ত নয় বাংলাদেশ। তাই প্রেক্ষিত বিবেচনায় মিয়ানমার বর্ডার গার্ড-বিজিপি, জান্তা বাহিনী, শুল্ক কর্মকর্তাসহ ৩৩০ জনকে ইনানী নৌবাহিনীর জেটিঘাট দিয়ে জাহাজে তুলে দেওয়াই আপদ শেষ ভাবা যায় না। সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার, জনবল বাড়ানো আর মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অ কিউ মোয়ের ঢাকা-নেপিদো সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর জানান দেওয়াও নেহায়েত শিষ্টাচার মাত্র। রাশিয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন চায় জানিয়ে দেশটির ঢাকার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মন্টিটস্কির হালনাগাদ মন্তব্যের মধ্যে রয়েছে কিছু বিশেষ এবং তিক্ত তথ্য। নিজেরা লাভবান হতে কয়েকটি দেশ রোহিঙ্গা ও মিয়ানমার সমস্যা তৈরি করেছে বলে প্রকাশ্যে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি।

লেখক: ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাইসির সঙ্গে হেলিকপ্টারে আর যারা ছিলেন

উন্নয়নের নামে রাতের আঁধারে শাহবাগে গাছ কাটার অভিযোগ

সবশেষ বিহারে ছিলেন এমপি আনার

‘অভিবাসী কর্মীদের জন্য আরও টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করছে সরকার’

ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিখোঁজ, যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র

স্বামীর মোটরসাইকেলের চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে নারীর মৃত্যু

তবুও প্রার্থী হলেন সেই নাছিমা মুকাই 

গাজীপুরে কারখানার ১০ তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে নারী শ্রমিকের মৃত্যু

রাজশাহীতে আগুনে পুড়ে ছাই ১০ বিঘার পানের বরজ

বিয়েবাড়ি থেকে কনের পিতাকে তুলে নিয়ে টাকা দাবি

১০

ঠাকুরগাঁওয়ে নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর , এলাকায় উত্তেজনা

১১

ঈশ্বরদীতে ফেনসিডিলসহ রেল নিরাপত্তা বাহিনীর সিপাহি আটক

১২

এমপি আনোয়ার খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ওসিকে নির্দেশ

১৩

উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১১৬ কোটিপতি প্রার্থী : টিআইবি

১৪

রাইসির জন্য দোয়ার আহ্বান

১৫

‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুদৃঢ় হয়েছে’ 

১৬

প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা সিটির কাছেই থাকল

১৭

বাংলাদেশকে লক্কড়ঝক্কড় দেশে পরিণত করেছে আ.লীগ : প্রিন্স

১৮

২০৩০ সালে সাড়ে ৫২ লাখ যাত্রী বহন করবে মেট্রোরেল  

১৯

পেনিনসুলা স্টিলের এমডিসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

২০
X