মোস্তফা কামাল
প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৪ এএম
আপডেট : ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৯ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

কুকিতে কুকাণ্ড: কেএনএফ কে পালে?

কুকিতে কুকাণ্ড: কেএনএফ কে পালে?

ব্যাংক লুট, ম্যানেজারকে অপহরণ, পুলিশ-বিজিবি-সেনাবাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলাসহ বান্দরবানের সিরিজ কাণ্ডকীর্তিকে ঘটনা মনে না করলে কোনো ঘটনা নয়। বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে উড়িয়ে দিলেই-বা কি? ম্যানেজার নেজাম তো উদ্ধার হয়েই গেছেন। যেখানে খোদ বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বড় বড় ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বেহাত-তছরুপ হয়ে যায়, সেখানে বান্দরবানে ব্যাংকের ছোটখাটো শাখা থেকে লুট হয়েছে মাত্র লাখ কয়েক টাকা। এ আর তেমন কী? এমনভাবে ভাবনা-বিশ্লেষণের স্বাধীনতা তো আছেই। একই সঙ্গে দেশের নিরাপত্তা, সীমান্তবর্তী ঘটনা বিবেচনায় উদ্বেগেরও বিষয়। দুই ভাবনা-চিন্তাই যার যার স্বাধীনতা।

রমজান, ঈদ, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাকাসহ সারা দেশ নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে দাবি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। এই চাদর ঢাকার মধ্যেই বান্দরবানে কুকি-চিন কেএনএফ কাণ্ড। বান্দরবান নিশ্চয়ই বাংলাদেশের বাইরে নয়। আবার ঢাকাই বাংলাদেশ নয়। এ অবস্থায় ঢাকনা দেওয়া নিরাপত্তার চাদরটার কী দশা? চাদর নিয়ে টানাটানি, টেনে আনতে ছিঁড়ে যায় ধরনের কিছু কথা বাঙালি সমাজে চালু বহু বছর ধরে। বান্দরবানকে ঘিরে এর একটা দৃষ্টান্ত এখন দৃশ্যমান। কিন্তু ভেতরগত তথ্য এখনো দুর্বোধ্য। তথ্য নিয়ে কিছু লুকোচুরিও আছে। গণমাধ্যমে আসা খবরাদি অনেকটা একতরফা। বেশিরভাগই কারও না কারও বরাত দেওয়া। তিনি বলেছেন, তাদের ধারণা, জানিয়েছেন, আরও বলেছেন—ইত্যাদি বরাত দেওয়া তথ্যের ওপর ভর করে গণমাধ্যমে আসছে খবরগুলো।

ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনের মুক্তি তার পরিবারের জন্য বিশাল সুসংবাদ। বাকিদের জন্য কেবল সংবাদ। আর নানা বিশ্লেষণের খোরাক। র‌্যাবের মধ্যস্থতায় তিনি মুক্তি পেয়েছেন—এতটুকু খাসখবর। কীভাবে, কোন সোর্সে, কার দেনদরবারে, কত টাকায় মুক্তিটি মিলেছে তা ধোঁয়াশা হয়েই থাকবে। একসময় শান্তিবাহিনীর অপহরণের পরও এমন হতো। প্রথমে বলা হয়েছিল, মঙ্গলবার রাতে নেজাম উদ্দিনকে অপহরণের পর বুধবার তার পরিবারের কাছে ফোন করে মুক্তিপণ চাওয়া হয়। মুক্তির পর পুলিশের একাধিক সূত্র বলেছে, ‘পণের বিনিময়েই’ মুক্তি মিলেছে। মুক্তিপণ চাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন রুমা উপজেলার ইউএনও দিদারুল আলম ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম) মাহফুজুর রহমান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রুমা বাজারের বেথেলপাড়া থেকে উদ্ধার করা হয়েছে—এ মর্মে খবর জানানোর পর পণের বিষয়টি আরেকদিকে চলে যায়। নেজামের ভাই তার ভাইকে উদ্ধারে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন। তিনিই নেগোসিয়েশন করেছেন অপহরণকারীদের সঙ্গে। এসআই মিজানুর রহমান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি থানায় কর্মরত। ভাইয়ের অপহরণের খবর পেয়ে তিনি সেখান থেকে চলে যান বান্দরবান।

মুক্তিপণের ফোনের বিষয়টি তিনি স্বীকার করলেও, মুক্তিপণ দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেননি। তিনি তার ভাইকে অক্ষত ফিরে পেয়েছেন—এটাই তার ও পরিবারে জন্য বিশাল প্রাপ্তি, এর বাইরে কোনো কথা বা প্রশ্ন তাদের জন্য অবশ্যই বিরক্তিকর। আবার বিষয়টিকে খুচরা বা নিম্নমানের ড্রামা ভাবার অবকাশও আর নেই। রুমায় সোনালী ব্যাংকে লুটপাটের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই থানচিতে আরও দুটি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা সরল বিষয় ভাবা যায় না। এর পূর্বাপর অনেক ঘটনা। কুকি-চিন, কেএনএফ যারাই পয়দা করুক—এ বিষফোড়ায় কাতরাতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত নাথান বম কুকি-চিন ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন-কেএনডিও সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন ২০০৮ সালে। ২০১৯ সালের দিকে এই নাম পাল্টে করা হয় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট। সংগঠনটি রাঙামাটি ও বান্দরবানের ৯টি উপজেলা রুমা, থানচি, লামা, রোয়াংছড়ি, আলীকদম সাজেক উপত্যকা, বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি নিয়ে স্বায়ত্তশাসিত রাজ্য গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। তাদের চাওয়া বান্দরবান জেলার স্বায়ত্তশাসিত রাজ্যে থাকতে পারবে শুধু পাঁচটি সম্প্রদায়—বম, খুমি, খিয়াং, পাংখোয়া ও লুসাই। এই রাজ্যে মারমা, চাকমা, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী বসবাস করতে পারবে না। এখানে তঞ্চঙ্গ্যাদের চাকমা হিসেবে ধরে নেওয়া হয়েছে। তাই তঞ্চঙ্গ্যা জাতির নাম উল্লেখ নেই। তখনই কেএনএফ তাদের সাংগঠনিক প্রধান হিসেবে নাথান বমের নাম ঘোষণা করে।

বমের বাড়ি বান্দরবান। কেএনএফ প্রথম আলোচনায় আসে ২০২২ সালের ২১ জুন। সেদিন রাঙামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার ৪ নম্বর বড়থলি ইউনিয়ন ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাইজামপাড়া গ্রামে এক দল কেএনএফ সদস্যের ব্রাশফায়ারে তিনজন নিহত হন। এ সময় দুই শিশু গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনার পর থেকে কেএনএফ আলোচনায় উঠে আসে। স্থানীয়ভাবে কুকি-চিন ‘বম পার্টি’ নামে পরিচিত। তাদের সামরিক শাখার নাম কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি-কেএনএ। সংগঠনটির প্রধান নাথান বম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন। একবার আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতেও চেয়েছিলেন। নাথান বম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ঢাকা মহানগর শাখা ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাট চুকিয়ে ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের রাজনীতি ছেড়ে দিয়ে ২০০৮ সালে বম, লুসাই, পাংখোয়া, খিয়াং, খুমি, ম্রো প্রভৃতি জনগোষ্ঠীর তথাকথিত অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে কুকি-চিন ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজশন নামে একটি সাম্প্রদায়িক সংগঠন গঠন করেন। তিনি এ সংগঠনের সভাপতি ও ভাঙচুনলিয়ান বম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

কেএনএফের সশস্ত্র শাখায় দেড় হাজারের মতো সদস্য রয়েছে। সশস্ত্র সদস্যদের সন্ত্রসীরাও এ সশস্ত্র শাখার সদস্য। বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি ও ম্যানেজার অপহরণের পর নতুন করে আলোচনায় পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ। বছর দুয়েক আগে পার্বত্য এলাকায় তারা নানা তৎপরতা শুরু করে। চাঁদার দাবিতে অনেককে জিম্মিও করে। পাহাড়ে তাদের আস্তানায় জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্যদের অর্থের বিনিময়ে প্রশিক্ষণের কথাও শোনা গেছে। বছরখানেক আগে, গহিন জঙ্গলে কেএনএফের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে তাদের এবং শারক্বীয়ার বেশ কিছু সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে ‘শান্তি প্রতিষ্ঠা’ কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সঙ্গে গত ৫ মার্চ দ্বিতীয় দফা বৈঠক হয় বেথেলপাড়ায়। কিন্তু শান্তি আলোচনা চলার মাঝপথে কেএনএফ হঠাৎ কেন চরমপন্থা বেছে নেয়। কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে ৭ এপ্রিল শুক্রবারও একটি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই নতুন গোলমাল।

শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার নেতৃত্বে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতাদের নিয়ে ২০২৩ সালের জুন মাসে ১৮ সদস্যের শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠন করা হয়। এরপর থেকে দফায় দফায় দুপক্ষে বৈঠক হয়েছে। কিছুটা আশার আলো দেখা যেতে থাকে। এর মাঝেই হঠাৎ ছন্দপতন তথা চরমপন্থা কেএনএফের। গত বছরও এপ্রিল মাসে রক্তাক্ত হয়েছিল বান্দরবান। ৭ এপ্রিল রোয়াংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের খামতাংপাড়া এলাকায় একসঙ্গে পড়েছিল আট লাশ। পাহাড়ের দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ও ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক) মধ্যে গোলাগুলিতে রক্তাক্ত হয় পাহাড়ি জনপদ। ঘটনার পর কেএনএফ তাদের ভাটি কুকি নামে ফেসবুক পেজে দাবি করেছে, নিহত আটজনের মধ্যে সাতজন তাদের দলের সদস্য। নিহত ছয়জন উপজেলার জুরভারাংপাড়া এবং একজন পানখিয়াংপাড়ার বাসিন্দা। এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি-কেএনএ’ নামে ফেসবুক পেজ থেকে গত ১২ মার্চ করা এক পোস্টে বলা হয়, ‘চুক্তি ভঙ্গ করে বম সম্প্রদায়ের নিরীহ জনগণ লালমুয়ানওম বম (গিলগাল বা অবচলিতপাড়া) এবং রামনুয়াম বমকে (দুনিবারপাড়া) আটক করেছে। এর ফল খুব সুন্দরভাবে ফিডব্যাক দেওয়া হবে নিরীহ জনগণকে হয়রানি বন্ধ করা না হলে।’

ওই হুমকির পরই ডাকাতির ঘটনা। একাধিক সূত্র বলছে, ইদানীং বেশ অর্থকষ্টে ভুগছে কেএনএফ। মানি ফ্লো কমে যাওয়ায় তারা অনেকটা দিগ্বিদিক হারা। তাই বলে শান্তি প্রক্রিয়া চলার সময় এভাবে বিগড়ে যাওয়া? শান্তি সংলাপ চলাকালে কেএনএফ কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়াতে পারবে না, চাঁদাবাজি করবে না, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালাবে না, ঘরবাড়ি ছাড়া বমরা তাদের ভিটামাটিতে ফিরে আসবে—এ ধরনের কিছু শর্ত ছিল। সব ঠিকঠাক মতোই এগোচ্ছিল। অবশ্য তা নাথান বমকে বাদ দিয়ে। কেএনএফের সঙ্গে দুটি বৈঠকের কোনোটিতে নাথান বম ছিলেন না। প্রতিনিধিত্ব করিয়েছেন, তার ব্যক্তিগত সহকারী ভাপুওয়াল ও সংগঠনের সেকেন্ড-ইন কমান্ড মইয়াকে দিয়ে। মইয়া নিজেকে কথিত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ও ভাপুওয়াল ‘কর্নেল’ হিসেবে পরিচয় দেন।

তাদের একটি আচানক দাবি ছিল—পার্বত্য এলাকায় কয়েকটি উপজেলা মিলে ‘টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল’ গঠন। এ কাউন্সিলে বাংলাদেশ সরকারের কোনো কর্তৃত্ব থাকবে না। কোনো মন্ত্রণালয়, জেলা পরিষদের আওতাধীন থাকবে না কাউন্সিল। সেখানে কেএনএফের নিজস্ব একটি ব্যাটালিয়ন থাকবে, যা প্রকারান্তরে স্বায়ত্তশাসনই। এ নিয়ে একটি নতুন বিভ্রান্তি জন্ম নেয়। এ ছাড়া সাধারণ বম সম্প্রদায়ের অনেকে কেএনএফের এ দাবির সঙ্গে নেই। তারা আদতে গোবেচারা ধরনের। কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়ায় না। তাদের সশস্ত্র গ্রুপ কুকি ন্যাশনাল আর্মি-কেএনএর অনেকে সাধারণ বমদের বিশ্বাস করে না। তারা মনে করে, বমদের মধ্যে অনেকে বাংলাদেশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ‘চর’ হিসেবে কাজ করে। এ কারণে একাধিক বমকে অপহরণ করে হত্যা করেছিল কেএনএ। এ নিয়েও নিজেদের মধ্যে বিরোধ ও অবিশ্বাস কাজ করছে। মিয়ানমারের চিন প্রদেশের চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট এবং পার্শ্ববর্তী আরেকটি দেশের কুকিদের সঙ্গে কেএনএফের যোগাযোগ নিয়েও সন্দেহ আছে তাদের মধ্যে। এরকম অবস্থায় কুকি-চিন বা কেএনএফের নতুন করে সশস্ত্র হয়ে ওঠার পেছনে কার মদদ তাও নতুন প্রশ্ন।

লেখক: সাংবাদিক-কলামিস্ট; ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইরানের প্রেসিডেন্টের দুর্ঘটনাস্থল থেকে মিলল সংকেত

কেন এত সময় লাগছে অনুসন্ধানে

টানা চারটি লিগ জয়ীদের এলিট ক্লাবে ম্যানসিটি

হেলিকপ্টার পাওয়ার বিষয়ে যা জানাল রেড ক্রিসেন্ট

রাইসির সঙ্গে হেলিকপ্টারে আর যারা ছিলেন

উন্নয়নের নামে রাতের আঁধারে শাহবাগে গাছ কাটার অভিযোগ

সবশেষ বিহারে ছিলেন এমপি আনার

‘অভিবাসী কর্মীদের জন্য আরও টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করছে সরকার’

ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিখোঁজ, যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র

স্বামীর মোটরসাইকেলের চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে নারীর মৃত্যু

১০

তবুও প্রার্থী হলেন সেই নাছিমা মুকাই 

১১

গাজীপুরে কারখানার ১০ তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে নারী শ্রমিকের মৃত্যু

১২

রাজশাহীতে আগুনে পুড়ে ছাই ১০ বিঘার পানের বরজ

১৩

বিয়েবাড়ি থেকে কনের পিতাকে তুলে নিয়ে টাকা দাবি

১৪

ঠাকুরগাঁওয়ে নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর , এলাকায় উত্তেজনা

১৫

ঈশ্বরদীতে ফেনসিডিলসহ রেল নিরাপত্তা বাহিনীর সিপাহি আটক

১৬

এমপি আনোয়ার খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ওসিকে নির্দেশ

১৭

উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১১৬ কোটিপতি প্রার্থী : টিআইবি

১৮

রাইসির জন্য দোয়ার আহ্বান

১৯

‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুদৃঢ় হয়েছে’ 

২০
X