মোস্তফা কামাল
প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৪, ০২:৪০ এএম
আপডেট : ০৪ মে ২০২৪, ০৮:২১ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

শিক্ষায়ও ছেলেখেলার হাইকোর্ট দর্শন

শিক্ষায়ও ছেলেখেলার হাইকোর্ট দর্শন

বাঙালকে হাইকোর্ট দেখানো মর্মে একটা প্রবাদ আছে। এর সাধারণ অর্থ হচ্ছে—বোকা বানানো বা ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা। এর পেছনে নানা গল্প। একটি হচ্ছে এমন—এক বাঙালি ছেলে ব্রিটেনে পড়াশোনা করতে গিয়ে ওখানকার এক মেয়ের সঙ্গে বেশ সম্পর্ক পাতে। মেয়েটিকে পটাতে বাংলাদেশ হাইকোর্টের ছবি দেখিয়ে বলে এটা তার বিশাল বাড়ি। পটিয়ে-পাটিয়ে ওই মেয়েকে বিয়ে করে দেশে নিয়ে আসে। একদিন হাইকোর্টের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় মেয়েটি হাইকোর্ট দেখে চেঁচামেচি শুরু করে ও সবাইকে এ ঘটনা জানিয়ে দেয়। আরেকটি ভার্সন এমন—কলকাতার হাইকোর্টটি ছিল পরাধীন ভারতের বাঙাল প্রদেশের হাইকোর্ট। তখন বাংলা বলতে বোঝাত আজকের উভয় বঙ্গকেই। পূর্ববাংলার লোকেরা মামলাবাজি বেশি করত। মামলা-মোকদ্দমার তারিখে তারিখে তাদের কলকাতায় যেতে হতো। এ ওসিলায় কলকাতার আর কিছু চিনুক না চিনুক, হাইকোর্টটি ভালোমতো চিনত তারা।

সত্য-বানোয়াট বা কল্পকাহিনি যাই হোক, ঘটনে-অঘটনে ‘বাঙালকে হাইকোর্ট দেখানো’ প্রবাদ বাক্যের রূপ নিয়েছে পাকাপোক্তভাবে। রমজানে বা গরমে ক্লাস কতদিন চলবে, ছাত্ররাজনীতি চলবে কি না, এ ধরনের বিষয়েও শিক্ষার্থীদের হাইকোর্ট দেখতে হচ্ছে। হলে সিট ফেরত দেওয়া নিয়েও হাইকোর্টের নির্দেশনা। তা বহিষ্কারাদেশের বৈধতা, একাডেমিক পরীক্ষার ফল, শিক্ষা শেষে পরীক্ষা বা নিয়োগ পরীক্ষা নিয়েও। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ, পরিচালনা কমিটি নিয়ে তো আছেই। তা দুভাবেই হচ্ছে। হয় কোনো না কোনো পক্ষ ছুটে যাচ্ছে হাইকোর্টে, নইলে হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়েও করছেন। আদালতের ভাষায় যাকে বলে সুয়োমুটো। ওই স্বপ্রণোদনা বা বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনার পেছনেও থাকছে কারও না কারও মেহনত। এসব কসরত-মেহনত বিফলে যাচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের হাইকোর্ট দেখিয়ে ছাড়া হচ্ছে।

সদ্য বিদায়ী রমজানে হাইকোর্ট দেখতে হয়েছে খুদে বা শিশু শিক্ষার্থীদেরও। যে বয়সে ও সময়ে তাদের দেখানো যেত অন্য কিছু। কিন্তু দেখল হাইকোর্ট। গরমে তাদের আবারও হাইকোর্ট দর্শন। নতুনত্ব হলো, গরমের তীব্রতায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী। শুধু চটেনইনি, হাইকোর্টের আদেশ আপিল বিভাগে নিয়ে যাওয়ার কথাও জানান তিনি। এ বয়সেই কী জানল-বুঝল কোমলমতি শিক্ষার্থীরা? শুধু হাইকোর্ট নয়, জানল পরের ধাপ আপিল সম্পর্কেও। বোনাসের মতো এর বাইরে বিচার বিভাগের সঙ্গে রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগের বিরোধের এক ঝলক দেখল।

সবকিছুতে হাইকোর্ট দেখানোর ভালোমন্দ নিয়ে মাঝেমধ্যেই ঘটনাদৃষ্টে কথা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত বা আক্রান্ত মহল তখন জ্ঞানী কথা বেশি বলেন। সৌজন্যতার নমুনা দেখিয়ে বলেন, সবকিছুতে আদালতে ছুটে যাওয়া ঠিক নয়। আর প্রতিপক্ষ দেখান আইনের যুক্তি। প্রশ্ন ছোড়েন—আদালত কি দেশের বাইরের কেউ? কখনো কখনো হাইকোর্টকেও এ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করতে শোনা যায়। বিব্রত হতেও দেখা যায়। কিছু নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়, নিজেরা নিজেরা মিটমাট বা ঠিকঠাক করে নিতে। তা ক্রমেই শিক্ষা খাতেও বাড়বাড়ন্ত। বলার অপেক্ষা রাখে না, শিক্ষা বিষয়টি ভিন্ন ও স্পর্শকাতর। এ নিয়ে ছেলেখেলা মানায় না। কিন্তু মানিয়ে ছাড়ানোর এক প্রবণতা লক্ষণীয়। শিক্ষা শুধু কিছু বই-খাতা আর চুল-টেবিল নয়। এটি বিশালত্ব অনেক।

মোটা দাগে শিক্ষার তিনটি পক্ষ—ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক। এর বাইরে একটা ব্যবস্থা বা কর্তৃপক্ষ। শিক্ষা কী—তার পুরোটা ছাত্রের বোঝার কথা নয়। অভিভাবকেরও নয় সেভাবে, কারণ শিক্ষা বুঝে কেউ সন্তান জন্ম দেন না। শিক্ষার একটা বড় অংশ বোঝেন শিক্ষকরা। কিন্তু তাদের কেউ হয়ে গেছেন চাকুরে। কেউ মত্ত সরাসরি রাজনীতিতে। শিক্ষা রেখে জাতীয়তাবাদ, মানবাধিকার, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, পরিবেশ, পুঁজিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, ক্ষুধা, দারিদ্র্য, যুদ্ধ ইত্যাদি নিয়ে যারপরনাই ব্যস্ত তারা। নিজের ঘর শিক্ষার বিষয়ে তাদের ভাবার সময়ইবা কই? রাজনীতির মাঠের বড় দু’দলের ঘুঁটি হতে গিয়ে দুটি উচিত কথা বলার অবস্থান তারা বরবাদ করে দিয়েছেন। তা শিশুশ্রেণি থেকে উচ্চশিক্ষার স্তরে স্তরেও। এর মাঝ দিয়েই শিক্ষার মান পৃথিবীর মধ্যে তলানিতে পৌঁছে যায়। আর তখন সেখানকার আউটপুট নিয়ে জাতীয়তাবাদ, মানবাধিকার, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, পরিবেশ, পুঁজিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, ক্ষুধা, দারিদ্র্য, যুদ্ধ কোনো আলাপই করা যায় না। দগদগে পুঁজ-রক্ত-বমি গায়ে-পায়ে মাড়িয়েও তারা তা দেখেন না। এসবের অনিবার্য পরিণতিতে শিক্ষা নিয়ে নানা উৎকট-বীভৎস কর্মকাণ্ড নাগরিক শ্লীলতার সীমা অতিক্রম করতে তেমন বাকি নেই।

এবারের গরমের ব্যাপকতা রেকর্ড ভাঙা। তাপমাত্রা কোথাও কোথাও ৪৩ ডিগ্রিতে উঠেছে। তাপপ্রবাহে পুড়ছে মাঠঘাট, পথপ্রান্তর। তার ওপর বিদ্যুতের লোডশেডিং। হিটস্ট্রোকে একাধিক শিক্ষকের মৃত্যু। বহু শিক্ষার্থী আক্রান্ত। রাজধানীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাকা বিল্ডিংয়ে হলেও মফস্বল শহর ও গ্রামগঞ্জের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার বেশিরভাগ বিল্ডিং সেমিপাকা ঘর। ওপরে টিনের প্রচণ্ড গরমে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অস্থির অবস্থা। এ তাপপ্রবাহের মধ্যেই খুলে দেওয়া হয় স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা। এমন পরিস্থিতিতে হাইকোর্টের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা। এর জবাবে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে এক ধরনের মানসিকতা তৈরি হচ্ছে। সবকিছুতেই কেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আদালতের নির্দেশনা নিয়ে আসতে হবে—এ প্রশ্নও করেন তিনি? জেদাজেদি বা ছেলেখেলার বিষয় নয় এটি। হাইকোর্ট আর মন্ত্রণালয়ও ঠুনকা বিষয় নয়। কোনোটাকেই অমান্য করার জো নেই। আবার মান্য করার বাস্তবতাও নেই। কী এক বিতিকিচ্ছিরি দশা। নানান ফের। একেক জায়গার একেক নির্দেশ।

রোদ-গরমের তীব্রতায় বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে বিটুমিন গলতে থাকায় এখন বলা হচ্ছে, এগুলোতে ব্যবহার করা বিটুমিনে গোলমাল ছিল, যা তীব্র গরম সহ্য করার উপযোগী নয়। তার আগপর্যন্ত এগুলোর গুণমানের প্রশংসা ছিল। উন্নয়নের তাল-তবলা তো বাজছিলই। তাপপ্রবাহ এখন একটা ভেজাল লাগিয়ে দিয়েছে। গরমের এ ভয়াবহতা না নামলে তা কোনো ব্যাপারই ছিল না। বিটুমিনের গলদও থেকে যেত অজানা। গরমের তোড়ে কয়েকজন শিক্ষকের মৃত্যু, শিক্ষার্থীর কাহিল দশার পর সার্কাসের মতো ধরা পড়ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ-খোলার মতো সিদ্ধান্তে অসারতা ও চিন্তার দৈন্য। পুরোটাই এ সেক্টরের মহোদয়দের মনমর্জি। কেন বন্ধ, কেন খোলা, কেনইবা খুলে আবার আংশিক বন্ধ-খোলার কানামাছি? এত প্যাঁচ-প্যাঁচাল কি জরুরি ছিল?

তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বন্ধ করে দেওয়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়ার শিডিউল তারিখ ২৮ এপ্রিল রোববার। এর আগের দিন শনিবার দুই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরগুলোর পক্ষ থেকে পৃথকভাবে এ শিডিউলের কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে, বন্ধ ঘোষণার সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রথমে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেমব্লি বন্ধের ঘোষণা দেয়। কিছুক্ষণ পর আলাদা বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। জানায়, চলমান তাপপ্রবাহে শিশুশিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় ২১ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশুকল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে। যথারীতি ২৮ এপ্রিল শুরু হয় শিক্ষা কার্যক্রম। পরিবর্তিত রোটায় সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের আনাগোনায় মুখর হয়ে ওঠে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। কারও হাতে পানির বোতল, কারও হাতে তরল খাবার। সেগুলো সঙ্গে নিয়েই তীব্র গরমের মধ্যে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার তোড়জোড় ছিল সবার। কিন্তু এক দিন ক্লাসের পর রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ঢাকাসহ দেশের পাঁচটি জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোমবার বন্ধ ঘোষণা জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ঢাকা ছাড়া বাকি জেলাগুলো হলো চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্তের বিশেষ অংশে বলা হয়, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ (এসি) ব্যবস্থা আছে এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রাখা যাবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে পরামর্শ করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপর রাতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আরেকটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নেই। যেহেতু প্রাথমিকের সব ক্লাস সকালে হবে, তাই প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলাই থাকবে।

নির্দেশনার এমন রকমফের এবং আদালতের বাইরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা অধিদপ্তর, মাউশিসহ কত কী? স্থানীয় প্রশাসন তো আছেই। এত ফেরের জেরে মন্ত্রণালয়ের দেওয়া পাঁচ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনাটি কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মেনেছে, কোনো কোনোটি মানেনি। অনেক প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শোকজও করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা বা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে নীতিনির্ধারকদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ও বিশৃঙ্খলার মাঝেই আসে হাইকোর্টের রুলিং। শিক্ষার্থী আর অভিভাবকরা এখানে আস্ত বলির পাঁঠা। তাদের প্রশ্ন করার সুযোগ নেই—দেশে কয়টা স্কুলের ক্লাসরুমে এসি দূরে থাক, বৈদ্যুতিক পাখাও আছে? কয়টিতে ভবনের ওপর রড-সুরকিতে ঢালাই করা ছাদ আছে? সরকারের কি জানার বাইরে, দেশে টিনের চালের তলে বৈদ্যুতিক পাখাবিহীন পাঠশালায় লাখ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে? সেই টিনের চাল উত্তপ্ত হলে ক্লাসঘরগুলো যে আস্ত একেকটা লোহা গলানো রি-রোলিং মিল হয়ে ওঠে। কোনো শিক্ষার্থী বা শিক্ষক হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার ব্যবস্থার প্রশ্ন করা তো গর্হিত।

লেখক: সাংবাদিক-কলামিস্ট;

ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ব্যস্ত সূচিতে নিজেকে ফিট রাখাই চ্যালেঞ্জ মেসির

ইউপিডিএফের ২ কর্মীকে গুলি করে হত্যা

তীব্র দাবদাহেও থেমে নেই জীবন যুদ্ধ

ইউজিসির অনাপত্তিপত্র ছাড়াই শেকৃবিতে নিয়োগ

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন নিয়ন্ত্রণে

অস্তিত্ব জানান দিতেই লিফলেট বিতরণ বিএনপির : কাদের

রাতে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, সকালে মিলল স্বামীর মরদেহ

টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

বন্ধু হারাচ্ছে ইসরায়েল, চাপে নেতানিয়াহু

রাজধানীতে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন

১০

সৌদি পৌঁছেছেন ২৭ হাজারের বেশি হজযাত্রী

১১

ধান কাটা নিয়ে দ্বন্দ্ব, নিহত ১

১২

হাদিসের প্রভাষক পদে উত্তীর্ণ সুধা রানী, যে ব্যাখ্যা দিল এনটিআরসিএ

১৩

৬ তলার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু

১৪

ঝালকাঠিতে নির্বাচনী সহিংসতায় আহত ৭

১৫

গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে রাজধানীতে স্বস্তি

১৬

একাদশে ভর্তি / নটর ডেমে আবেদন ২৫ মে শুরু হয়ে চলবে ৩০ মে পর্যন্ত

১৭

বাংলাদেশি সমর্থকদের বিশ্বকাপ উপভোগে বাধা ‘টাইম জোন’!

১৮

ছুটির দিনে ঢাকার বাতাস কেমন?

১৯

সাতক্ষীরায় ধান বোঝায় ট্রাক উলটে নিহত ২

২০
X