স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৫৩ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

নতুন রানি পাচ্ছে ইউএস ওপেন

নতুন রানি পাচ্ছে ইউএস ওপেন

আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করেছিলেন কোকো গফ। কঠিন লড়াইয়ের পর শিরোপা নির্ধারণ মঞ্চে পা রাখলেন এরিনা সাবালেঙ্কা। দুজনের কেউ ইউএস ওপেন জেতেননি।

মার্কিন-বেলারুশ লড়াইয়ে জয় যারই হোক, নতুন চ্যাম্পিয়ন পাচ্ছে বছরের শেষ গ্র্যান্ডস্লাম।

অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ী সাবালেঙ্কা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ের দ্বিতীয় স্থানে আছেন। ফরাসি ওপেন ও উইম্বলডনের সেমিফাইনালিস্ট ২৫ বছর বয়সী এ তারকার সামনে প্রথম ইউএস ওপেন জয়ের হাতছানি। এ পর্যায়ে উঠে আসার পথে সেমিফাইনালে বেশ ঘাম ঝরাতে হয়েছে। ২৮ বছর বয়সী মার্কিন মেডিসন কেইজের বিপক্ষে খেলা গড়িয়েছে তিন সেটে। প্রথমটি ৬-০ ব্যবধানে হেরে বসেন সাবালেঙ্কা। পরের দুটি জিতলেও টাইব্রেকারের আশ্রয় নিতে হয়েছে। ম্যাচের স্কোরলাইন দাঁড়াল ৬-০, ৭-৬ ও ৭-৬। সে তুলনায় কোকো গফের ফাইনাল মঞ্চে উঠে আসাটা ছিল বেশ মসৃণ। ফরাসি ওপেন ফাইনালিস্ট ক্যারোলিনা মুকোভাকে সরাসরি ৬-৪ ও ৭-৫ গেমে হারিয়েছেন স্বাগতিক তরুণ তারকা।

হার্ড কোর্টে গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের অভিজ্ঞতার কারণে ফাইনালে সাবালেঙ্কাকে হয়তো এগিয়ে রাখা হবে। কিন্তু ১৯ বছর বয়সী মার্কিনি কোকো গফকে মোটেও হেলায় ফেলার সুযোগ নেই। গত বছর ফরাসি ওপেনের ফাইনাল খেলা এ তারকা এবার নিশ্চয় শূন্য হাতে ফিরতে চাইবেন না। দুইয়ের যোগফলে জমজমাট এক লড়াইয়ের অপেক্ষায় টেনিস বিশ্ব। সেমিফাইনালে কঠিন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের বিষয়কে সৌভাগ্যের ছোঁয়া বললেন এরিনা সাবালেঙ্কা, ‘কঠিন পরিস্থিতিতে আপনাকে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। লড়াইয়ের মঞ্চে নিজেকে ধরে রাখা জরুরি। পরিস্থিতি বদলাতে আপনাকে পাল্টা আক্রমণও করতে হবে।’ ৬ ফুট উচ্চতার এ তারকা যোগ করেন, ‘আমি ভাগ্যবতী। জাদুর মতো করে সবকিছু বদলে গেছে। আমি বলতে পারব না, সবকিছু কীভাবে পাল্টে গেছে। এটা ঠিক যে, ম্যাচের গতিপ্রকৃতি বদলে দেওয়ার সামর্থ্য আমার ছিল।’

সোমবার ঘোষিত র্যাঙ্কিংয়ে সাবালেঙ্কার নাম্বার ওয়ান পজিশনে বসাটা নিশ্চিত। ম্যাচটা হেরে গেলেও এ জায়গায় পরিবর্তন আসত না। সেমিফাইনালের শুরুতে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়বেন ভাবেননি ১৭তম বাছাই মেডিসন কেইজও। মিসিসিপি নদীতীরবর্তী রক দ্বীপে জন্ম নেওয়া এ খেলোয়াড়ের কথায়, ‘আমার সূচনাটা ছিল দারুণ। কিন্তু আমি ভাবিনি শুরুতেই সে নিজের সেরাটা দিয়ে দারুণ খেলবে।’ যোগ করেন, ‘দ্বিতীয় সেটও বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল। বিরতির পর আমাকে আরও সজাগ থাকতে হতো। বিপরীতে এরিনা (সাবালেঙ্কা) উন্মুক্ত গেম খেলেছে। দিন শেষে এটা ছিল দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দ্বৈরথ।’

ম্যাচের এক পর্যায়ে র্যাকেট ছুড়ে মারা সাবালেঙ্কাকে বেশ হতাশ মনে হয়েছে। এ সম্পর্কে বেলারুশ তারকা বলেছেন, ‘আমি নিজেকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছিলাম যে, কঠিন পরিস্থিতিতে আমি অনেক ম্যাচ হেরেছি। দিন শেষে আমার সে উপলব্ধিটা কাজে এসেছে।’

ম্যাচ শেষে বাস্তবতা তুলে ধরে মেডিসন কেইজ বলেছেন, ‘সেমিফাইনালের শুরুতে সবাই আমাকে নিয়ে বেশ পুলকিত ছিলেন। এ মুহূর্তে তাদের কলেই হতাশ। দিন শেষে সবকিছুকে আমি ইতিবাচকভাবেই নিচ্ছি।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পপুলার ফার্মায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

পুতিন-মোদি বৈঠক, পারস্পরিক সাহায্যে জোর

বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা

আজ টিভিতে দেখা যাবে যেসব খেলা

কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

তেলবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত, খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ

২৩ অক্টোবর : নামাজের সময়সূচি 

বুধবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

‘সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হবে’

ইউএনএফপিএ এবং জাপান সরকারের মাঝে ৪০ কোটি টাকার সহায়তা চুক্তি

১০

‘রাষ্ট্রপতির চেয়ারে বসে কোনো চক্রান্ত করার সুযোগ দেওয়া হবে না’

১১

বুলগেরিয়ায় পড়তে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর

১২

ভিনির দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে রিয়ালের অসাধারণ জয়

১৩

ঘূর্ণিঝড় ডানার তাণ্ডব চলবে রাত থেকে ভোর পর্যন্ত

১৪

টানা দ্বিতীয় হারে এশিয়া কাপ থেকে বাংলাদেশের বিদায়

১৫

বঙ্গভবন এলাকা থেকে আন্দোলনকারীদের সরে যাওয়ার আহ্বান হাসনাত-সারজিসের

১৬

বাংলাদেশ সিরিজের জন্য আফগানিস্তানের দল ঘোষণা

১৭

প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব হলেন মোজাম্মেল হক

১৮

প্রধান উপদেষ্টা সুস্থ আছেন, গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ

১৯

যুক্তরাজ্য বিএনপির সম্পাদক কয়ছরকে জগন্নাথপুরে গণসংবর্ধনা

২০
X