খুলনা-পাইকগাছা-কয়রা সড়কে বেহাল দশার কারণে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বাস বন্ধ করে দিয়েছেন শ্রমিকরা। গাড়ি বন্ধের কারণে শত শত যাত্রী বাস স্ট্যান্ডে এসে বিপাকে পড়েছেন। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে অনেক মোটরসাইকেল ভাড়া করে গন্তব্যে যাচ্ছে।
শনিবার (১২ জুলাই) গভীর রাতে কপিলমুনির ফকিরবাসা মোড় ও তালা থানার পাশে বেহাল রাস্তায় ট্রাক আটকে যায়। ফলে ভোর থেকে সব ধরনের বাস-ট্রাক বন্ধ ঘোষণা করে বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক সমিতি।
খুলনা জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, খুলনা-পাইকগাছা রুটে প্রতি ১২ মিনিট পর পর একটি গাড়ি ছেড়ে যায়। সে হিসেবে ১২০টি গাড়ি চলাচল করে। এ ছাড়া ৭০টি ঢাকায় যায়। সড়ক খারাপ হওয়ার কারণে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হয় না।
মনিরুল হুদা নামে এক বাসযাত্রী জানান, আমাকে খুলনা কোর্টে জরুরি কাজে যেতে হবে। বাস বন্ধের কারণে বিপাকে পড়েছি। পকেটে টাকা কম থাকায় বেশি ভাড়া দিয়ে মোটরসাইকেলে যেতে পারছি না।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সামিয়া সুলতানা জানান, জরুরি কাজের জন্য বাড়িত এসে ছিলাম। কিন্তু এখন যেতে পারছি না। আবার ১০০ টাকা খরচ করে বাড়ি ফিরে যেতে হবে।
কপিলমুনির স্থানীয় সাংবাদিক মিন্টু অধিকারী জানান, কপিলমুনির ফকিরবাসা মোড়, গোলাবাটী মোড়, মুচির পুকুর মোড়ের অবস্থা খুব খারাপ। সকাল থেকে অনেক যাত্রী কাউন্টার থেকে ফিরে যেতে দেখেছি। এক কথায় যাত্রী ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।
বাস ড্রাইভার আবু বক্কর জানান, বেহাল সড়কের কারণে গাড়ি চালাতে খুব সমস্যা হচ্ছে। এতে করে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়ে।
বাস মালিক সমিতির সহসভাপতি অমরেশ কুমার মন্ডল জানান, আঠারো মাইল থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত ছয় স্থানের রাস্তার খুব খারাপ অবস্থা। তালা থানা-ব্রিজ মোড়ের মধ্যেবর্তী স্থান এবং কপিলমুনি ফকিরবাসা মোড়, গোলাবাটী মোড়, মুচির পুকুরের মোড়ের অবস্থা বেশি খারাপ। আমরা মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ইট-বালু ফেলে মেরামতের চেষ্টা করছি।
পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহেরা নাজনীন বলেন, তালা থানার পাশে মালবোঝাই ট্রাক রাস্তার মাঝে নষ্ট হয়ে গেছে। সে জন্য গাড়ি চলাচল বন্ধ আছে।
খুলনা সড়র ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তানিমুল হক বলেন, ভাঙা সড়কে মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। অচিরেই সড়ক চলাচল স্বাভাবিক হবে।
মন্তব্য করুন