বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেছেন, রাজধানী মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে পাথর মেরে ব্যবসায়ী সোহাগকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, তাদের মৃত্যুদণ্ড ফাঁসিতে ঝুলালে হবে না। যেভাবে ইট দিয়ে তারা হত্যা করেছে, সেভাবে তাদের ইট মেরে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা উচিত। আর যে নেতারা তাদের দলে নিয়েছেন তাদের আগে বহিষ্কার করা উচিত।
শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার অডিটোরিয়াম হলরুমে উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেন, এখন আমাদের দিকে আঙুল তোলা হচ্ছে। সবাই তুলবে, এটাই স্বাভাবিক। জামায়াতে ইসলামীও আঙুল তুলছে। জামায়েত ইসলামের আমির কয়েকদিন আগে বলেছেন, ৪৭ থেকে এখন পর্যন্ত তাদের কার্যক্রমে যদি কোনো কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে দুঃখিত। তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। তাহলে সাতচল্লিশ থেকে এখন পর্যন্ত কেন? একাত্তর বলতে কী লজ্জা লাগে? একাত্তরের কথা কি বলতে পারেন না?
তিনি আরও বলেন, জামায়াতের আরেক নেতা বলেছেন, ৭১ আর রাজাকারের কার্ড ব্যবহার করে কোনো সুবিধা করা যাবে না। আমরা কি ভুলে গেছি, গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যারা হানাদার বাহিনীর সঙ্গে থেকেছে তাদের পরিচয় কী? আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে প্রত্যেক ভোটারের কাছে তাদের মাফ চাওয়া উচিত।
সোহেল বলেন, বিএনপি চাঁদাবাজের দল নয়। যারা এসব করে তারা দলের কেউ না। জিয়াউর রহমান আমাদের নেতা, আমরা তাকে নিয়ে গর্ব করি। দেশপ্রেম ও সততার পরীক্ষায় একশতে একশ পাওয়া যায় না। কিন্তু জিয়াউর রহমানকে ৯৯ নম্বর দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাকে একশতে একশ দিতে হবে। আমরা সেই নেতার দল করি।
কাউন্সিল অধিবেশনের মাধ্যমে আগামী দুই বছরের জন্য কলমাকান্দা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ খায়ের ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান ভূঁইয়াকে নির্বাচিত করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি ময়মনসিংহ বিভাগের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যডভোকেট শাহ্ ওয়ারেছ আলী মামুন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, কেন্দ্রীয় নেতা আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, জাতীয় নির্বাহী কমিটির জেলা বিএনপি, নেত্রকোনা ও সদস্য ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনোয়ারুল হক।
মন্তব্য করুন