ফিল সিমন্স প্রধান কোচ হওয়ার পর থেকে ওয়ানডে সংস্করণে খুব একটা ভালো সময় যাচ্ছে না বাংলাদেশের। একের পর এক সিরিজ হেরেই যাচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজরা। আফগানিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশের পর এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলতে যাচ্ছেন তারা।
আজ দুপুর দেড়টা থেকে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হবে তিন ম্যাচের এই সিরিজ। তার আগে শুক্রবার কোচ সিমন্স বলেছেন, সর্বশেষ সিরিজ ব্যর্থ হলেও এর চেয়ে ভালো খেলতে পারে তার দল। গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো তুলে ধরা হলো…।
ওয়ানডে খেলতে কি ভুলে যাচ্ছে!
একটা সংস্করণে কীভাবে খেলতে হয়, তা ভুলে যাওয়ার মতো ব্যাপার নয়। এটা শুধু যে আমাদের একটা খারাপ সিরিজ গেছে, যেখানে আমরা মাঝখানে পার্টনারশিপ গড়তে পারিনি। আমাদের টপে একটা পার্টনারশিপ হয়েছিল এবং তারপর মিডল অর্ডার ভেঙে পড়েছিল। আমরা শ্রীলঙ্কায়ও কিছুটা এটা দেখেছি। আমরা ১০১ রানে সহজভাবে এগোচ্ছিলাম, একজন আউট হলো এবং তারপর ছয় উইকেট হারালাম। সুতরাং, এটা সেই মানসিকতা অর্জনের বিষয় যে, আমাদের মাঝখানে পার্টনারশিপ দরকার এবং আমি মনে করি ছেলেরা এটা নিয়ে যথাসম্ভব কঠোর পরিশ্রম করার চেষ্টা করছে।
আফগান সিরিজের ব্যর্থতা
আমি মনে করি, শেষ সিরিজের মতো একটি সিরিজের পর আপনাকে যা করতে হবে তা হলো এটিকে পেছনে ফেলে আসার চেষ্টা করা। কারণ আমরা জানি যে, আমরা এর চেয়ে ভালো, আমরা জানি যে আমরা এর চেয়ে ভালো খেলতে পারি। আর এটাই আমরা তাদের মাথায় ঢোকানোর চেষ্টা করছি।
উইন্ডিজ সিরিজের উইকেট
আপনি মিরপুর আমার চেয়ে অনেক ভালো চেনেন, তাই আপনিই বলুন। কারণ আমি উইকেট দেখছি, এটা একটা সাধারণ মিরপুরের উইকেটের মতোই লাগছে। তাই এখানে সাধারণত কিছুটা টার্ন থাকে, যা ভালো।
অধিনায়ক মিরাজের পারফরম্যান্স
মিরাজ একজন ভালো অধিনায়ক। কিন্তু, আপনি অধিনায়কত্বকে ২০০ এবং ১৯৮ রান তাড়া করতে না পারার ওপর ভিত্তি করে বিচার করতে পারেন না। এখন মাঠে আপনি তার অধিনায়কত্ব বিচার করতে পারেন এবং আমি মনে করি মাঠের অধিনায়কত্ব ভালো হয়েছে, কিন্তু খেলা জেতা ব্যাটারদের ওপরও নির্ভর করে। ব্যাটাররা যদি প্রয়োজনীয় রান না করে, তাহলে আপনি সমস্যায় পড়বেন। সুতরাং, যদি আমি তাকে মাঠে বিচার করি, আমি মনে করি সে ভালো করেছে, কিন্তু জয়ের ক্ষেত্রে এটা ভালো হয়নি।
ব্যাটিং বিভাগের উন্নতি
কখনো কখনো আপনার দলের গঠন এবং আপনার কাছে থাকা সরঞ্জামগুলি নির্ধারণ করে যে, আপনি কীভাবে খেলতে যাচ্ছেন। আমাদের কাছে ইংল্যান্ডের মতো সরঞ্জাম নেই যে, আমরা সেভাবে খেলতে নামব। কিন্তু আমাদের কাছে ব্যাটিংয়ের সরঞ্জাম আছে যা দিয়ে আমরা ৩০০ রানের মতো স্কোর করতে পারি। আমরা ক্যারিবিয়ানে সেটা দেখিয়েছি, ২৯০, ৩০০ রান করেছি।
কোচ হিসেবে নিজেকে মূল্যায়ন
আমি এখনো কিছু জিনিসের সঙ্গে অভ্যস্ত হওয়ার চেষ্টা করছি, কিন্তু আমি এটাও চেষ্টা করছি যে, আমি দলকে যেদিকে নিয়ে যেতে চাই, দুই অধিনায়ক দলকে যেদিকে নিয়ে যেতে চায়, আমরা সেদিকেই যাচ্ছি কি না তা নিশ্চিত করতে। সুতরাং, এটা শেখার বিষয়, শেখানোর বিষয় এবং তাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বুঝতে সাহায্য করা এবং আমরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পরিস্থিতি কীভাবে মূল্যায়ন করি তা বোঝানো। এটাই আমি দলের সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করছি।
ক্রিকেটারদের ফেসবুক পোস্ট
আমি খুশি যে আপনি প্রসঙ্গটি তুলেছেন। প্রথমত বলতে চাই, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কী হচ্ছে, এসব নিয়ে ক্রিকেটারদের কিছু করার আছে বলে আমি একদমই মনে করি না। ব্যক্তি হিসেবে সবারই অধিকার আছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যা ইচ্ছা বলার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও জাতীয় ক্রিকেটার হিসেবে আমার ক্রিকেটারদের অবশ্যই উচিত নয় এসবের জবাব দেওয়া। তবে একটি কথা বলতে চাই, ক্রিকেটারদের প্রতি কোনো ধরনের বর্ণবিদ্বেষী সুর কোনোভাবেই থাকা ভালো কিছু নয়।
মন্তব্য করুন