এমনিতেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কোনো দলকে ফেভারিট বলার সুযোগ নেই। যত খর্ব শক্তির দলই হোক না কেন, কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে চাইলে তাদের পক্ষেও জেতা সম্ভব। তাই নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি সিরিজে কোনো দলকে ফেভারিট বলা সম্ভব নয়। তবে খেলা যেহেতু ঘরের মাঠে, তাই একটু হলেও এগিয়ে থাকবে নিউজিল্যান্ডই।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজ। সেটাও তিন ম্যাচের। ক্রইস্টচার্চে আজ প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দুই ল্যান্ড মুখোমুখি হবে। এমনিতে পরিসংখ্যানে এগিয়ে ইংল্যান্ড। দুই দল এ পর্যন্ত ২৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে। ইংল্যান্ড জিতেছে ১৬টিতে। আর ১০টি ম্যাচ জিতেছে নিউজিল্যান্ড। একটি ম্যাচ ফল ছাড়া শেষ হয়। আজ দুই দলের টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলতে পারবেন না কেন উইলিয়ামসন। সবশেষ ভারতের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। এরপর আর নিউজিল্যান্ডের জার্সিতে তাকে খেলতে দেখা যায়নি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য যে ১৪ সদস্যের দল দিয়েছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (এনজেডসি), সেখানে শারীরিক জটিলতার কারণে রাখা হয়নি উইলিয়ামসনকে। তার মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার না থাকায় কিছুটা সমস্যায় পড়বে স্বাগতিকরা। নিউজিল্যান্ডের কোচ রব ওয়াল্টার বলেন, ‘উইলিয়ামসন কেমন ব্যাটার, সেটা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। সে বিশ্বমানের। আশা করছি, দুই সপ্তাহ বিশ্রামের পর সে ফিরতে পারবে। তাকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।’ তা ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার মতো ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও পূর্ণ শক্তির দল পাচ্ছে না নিউজিল্যান্ড। ইনজুরি থেকে সেরে ওঠেননি গ্লেন ফিলিপস, অ্যাডাম মিলনে, ফিন অ্যালেন, উইল ও রুর্করা। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণে ছিটকে গেছেন বেন সিয়ার্স। দলে জায়গা হয়নি ইশ শোধির মতো অভিজ্ঞ স্পিনারের। তবে ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরেছেন মিচেল স্যান্টনার ও রাচিন রবীন্দ্র। হ্যারি ব্রুকের নেতৃত্বে ইংল্যান্ড অবশ্য পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই মাঠে নামবে। আজ প্রথম টি-টোয়েন্টির পর নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড ২০ অক্টোবর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে। এই দুটি ম্যাচই হবে ক্রাইস্টচার্চের হেগলি ওভালে। ২৩ অক্টোবর ইডেন পার্কে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি খেলবে দুই দল। ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে ২৬ অক্টোবর।
মন্তব্য করুন