

দেশের ক্রীড়াঙ্গনে চলছে চরম অস্থিরতা। নারী ক্রিকেটারদের একের পর এক যৌন হয়রানির অভিযোগ নাড়িয়ে দিচ্ছে পুরো ক্রীড়াঙ্গনকে। প্রশ্ন উঠেছে, নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে ‘সেফগার্ড’ পরিচালনা করার। দেশের ফুটবলে দীর্ঘদিন ধরে সেফগার্ড চালু থাকলেও ছিল না ক্রিকেটে। অবশেষে নারী ক্রিকেটারদের সুরক্ষা নিশ্চিতে সেফগার্ড প্রোগ্রাম শুরু করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। গতকাল প্রথমবার নারী ক্রিকেটারদের নিয়ে হয়েছিল সেফগার্ড সেমিনার। সেখানে জাতীয় দল ও তার আশপাশের বিভিন্ন পর্যায়ের ক্রিকেটারদের উপস্থিতির দেখা মিলে।
প্রথমবার সেফগার্ড সেমিনারে যোগ দেওয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে স্পিনার রাবেয়া খান কালবেলাকে বলেন, ‘আসলে প্রত্যেক পর্যায়ে ছেলে কিংবা মেয়ে সবার এই সেমিনারটা করা উচিত। কারণ, এখানে বেশ কিছুদিন ধরে আমাদের ভেতর অনেক ঘটনা ঘটে আসছে; এটাকে একটা স্পর্শকাতর বিষয় বলা যায়। ওগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে যে, কীভাবে একটা ছেলে বা মেয়ে এসব থেকে বের হতে পারে, আইনগত লড়াই করা যায়। নিজেকে শক্ত রাখা যায়—এসব আলোচনা হয়েছে।’
ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য এ ধরনের সেমিনার সব সময় পরিচালনা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন অভিজ্ঞ ব্যাটার ফারজানা হক পিঙ্কিও, ‘প্রত্যেক জায়গায় এ রকম সেক্টরে নারীদের জন্য একটা অফিস থাকা উচিত। যেখানে সবাই সবার নিজেদের মতামত দিতে পারে। জিনিসটা এখন থেকে চালু হচ্ছে, এ জিনিসটার সতর্কতা সবার মধ্যে থাকবে। আপনি যখন একটা জায়গায় থাকবেন, তখন সেখানে নেতিবাচক কিছু থাকলেও আপনার মনে হবে যে, না এখানে এমন একটা জিনিস (অফিস) আছে, যেখানে বলা যাবে। এটা আমি মনে করি সঠিক সিদ্ধান্ত, একটু দেরিতে শুরু হয়েছে।’ নারী ক্রিকেটে প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই সেফগার্ড থেকে সুরক্ষা পাবে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি, ‘আমার মনে হয় একটা প্রজন্মের জন্য… নারী ক্রিকেট যতদিন থাকবে, আমার মনে হয় এটা ধারাবাহিকভাবে চলতে পারলে পরিবেশটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।’
মন্তব্য করুন