

বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামালের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বনানী থানা শাখার ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক মবিনা জান্নাত।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) সংবাদ সম্মেলন করে ক্ষমা চান তিনি।
মবিনা জান্নাত বলেন, ‘একটি ভুল শব্দচয়ন—একটি অনিচ্ছাকৃত ‘স্লিপ অব টাঙ’। যা একজন সম্মানিত মানুষের প্রতি অন্যায় অপমানের পরিস্থিতি তৈরি করেছে। আর এ কারণেই আমি আজ আমার ভুলের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইছি।’
তিনি বলেন, ‘আমার একটি ভুল শব্দ—একজন সম্মানিত আইনজীবীর মানহানির মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করায় আমি গভীরভাবে দুঃখিত। ভুল তথ্য যাচাই না করে মন্তব্য করা যে মারাত্মক দায়িত্বহীনতা—আমি তা উপলব্ধি করেছি এবং সেই ভুলের জন্য আবারও আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি।’
গত ২৮ মে বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামালকে জড়িয়ে গণমাধ্যমে মিথ্যা ও মানহানিকর বক্তব্য প্রচারের অভিযোগে মবিনা জান্নাতের বিরুদ্ধে মামলা করেন এক আইনজীবী। পরে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। আইনজীবী সমিতির সদস্য জিল্লুর রহমান মামলাটি করেন।
তখন তিনি সাংবাদিকদের জানান, রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামালের বিরুদ্ধে মিথ্যা, মানহানিকর ও ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য প্রচার করেছেন ছাত্রলীগ নেত্রী মবিনা জান্নাত। গত ২৫ মে এক সংবাদ সম্মেলনে মবিনা জান্নাত দাবি করেছিলেন, ‘আইনজীবী কায়সার কামালের সহায়তায় ৫ মে জামিনে মুক্তি পান মোকাদ্দেস হানিফ।’ অথচ যে মামলায় শুনানির কথা উল্লেখ করে আসামি মবিনা জান্নাত এ তথ্য প্রচার করেন, সেটি ছিল মিথ্যা। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব কায়সার কামাল ওই মামলায় অংশ নেননি।
মন্তব্য করুন