কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

এই ৫ লক্ষণ দেখলেই বুঝবেন কিডনি ক্যানসারে ভুগছেন

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

কিডনি ক্যানসারকে বলা হয় ‘নীরব ঘাতক’। কারণ রোগটি শরীরে অনেকটা সময় সক্রিয় থাকলেও এর কোনো উপসর্গ প্রকাশ পায় না। ফলে অনেক ক্ষেত্রে দেরিতে ধরা পড়ে, তখন চিকিৎসা জটিল হয়ে যায়। অথচ প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত হলে কিডনি ক্যানসার চিকিৎসায় সাফল্যের হার অনেক বেশি। চিকিৎসকরা বলছেন, কিছু সাধারণ লক্ষণ আছে, যেগুলো অবহেলা করা বিপজ্জনক।

১. প্রস্রাবে রক্ত

কিডনি ক্যানসারের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হলো প্রস্রাবে রক্ত আসা। চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে বলা হয় হেমেচুরিয়া। এ সময় প্রস্রাবের রং গোলাপি, লাল বা বাদামি হয়ে যায়। সাধারণত এটি ব্যথাহীনভাবে ঘটে এবং কয়েক দিনের মধ্যে আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়, তাই অনেকে গুরুত্ব দেন না। অথচ এটি সংক্রমণ বা কিডনিতে পাথরের কারণে হতে পারে, আবার ক্যানসারেরও ইঙ্গিত হতে পারে। তাই এমন হলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

২. পিঠের নিচের দিকে বা পাশে ব্যথা

সাধারণ পিঠব্যথার সঙ্গে কিডনি ক্যানসারের ব্যথার মিল নেই। এ ক্ষেত্রে পিঠের নিচের দিকে বা পাশের অংশে (ফ্ল্যাংক) স্থায়ী ব্যথা অনুভূত হয়। কোনো আঘাত ছাড়াই যদি এ ধরনের ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে, তবে তা কিডনির টিউমারের কারণে হতে পারে। বিশেষ করে মূত্রে রঙ পরিবর্তনের সঙ্গে এ ব্যথা দেখা দিলে পরীক্ষা করানো জরুরি।

৩. হঠাৎ ও অকারণে ওজন কমে যাওয়া

কোনো খাদ্যাভ্যাস বা ব্যায়ামের পরিবর্তন ছাড়াই দ্রুত ওজন কমতে থাকলে তা হতে পারে কিডনি ক্যানসারের আরেকটি লক্ষণ। ক্যানসারের কারণে শরীরের বিপাকক্রিয়া ও হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়, ক্ষুধা কমে যায় এবং শরীর শক্তি হারায়। এ লক্ষণ ক্লান্তি বা দুর্বলতার সঙ্গে মিলে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

৪. কিডনির আশপাশে চাকা বা ফোলাভাব

কিডনির পাশে বা পাঁজরের নিচে চাকা বা ফোলাভাব হলে সতর্ক হতে হবে। অনেক সময় নিজে থেকেই স্পর্শ করলে বোঝা যায়, আবার চিকিৎসকের নিয়মিত পরীক্ষায়ও ধরা পড়ে। হ্যাঁ সব চাকা ক্যানসার নয়, কিছু সিস্ট বা ফ্যাট জমার কারণে হতে পারে। তবে ক্যানসার হলে ওই চাকা ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। তাই স্ক্যান বা আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে নিশ্চিত হওয়া জরুরি।

৫. দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি ও দুর্বলতা

কিডনি ক্যানসার রক্তকণিকা উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটায়, ফলে অ্যানিমিয়া হয়। এতে রোগীরা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনুভব করেন। বিশ্রাম বা সাধারণ যত্নের পরও যদি অবসাদ না কাটে, আর এর সঙ্গে ওজন কমে যাওয়া বা প্রস্রাবে রক্তের মতো উপসর্গ থাকে, তবে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, কিডনি ক্যানসার প্রথম দিকে শনাক্ত করা গেলে চিকিৎসা অনেক সহজ হয় এবং সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনাও বেশি থাকে। তাই এসব লক্ষণ দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তারেক রহমানের জন্মদিনে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

ব্রাজিলে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

রাফিয়ার বাড়িতে ককটেল-অগ্নিসংযোগ, ঢাবি শিক্ষক মোনামির প্রশ্ন

ঢাকার খাবারের ঝালে মজেছেন ইরানি ফাকরি

শেখ হাসিনা-কামালকে ফেরাতে সরকারের নতুন কৌশল

পুনরায় দুঃসংবাদ পেলেন বিএনপির এক নেতা

সেই বিচারকের মোবাইল ফোন ও চশমা উদ্ধার

তারেক রহমানের জন্মদিনে শীতবস্ত্র বিতরণ

নিউমুরিং টার্মিনালের চুক্তির সব কার্যক্রম স্থগিতের নির্দেশ

সিলেটের যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না শুক্রবার 

১০

আ.লীগের ৫ শতাধিক সমর্থকের নামে চার মামলা, গ্রেপ্তার ২২

১১

নির্বাচনের আগে ইসির ৯ কর্মকর্তাকে বদলি-পদায়ন

১২

স্ত্রী হারালেন তোফায়েল আহমেদ

১৩

রাতে ৫৬ নেতাকে সুখবর দিল বিএনপি

১৪

মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে আসে গ্রেনেড, বাড়িতে নিয়ে যান কৃষক

১৫

ইতালি যাওয়ার পথে গোপালগঞ্জের দুই যুবকের মৃত্যু

১৬

জিম্বাবুয়ের কাছে লঙ্কানদের লজ্জার পরাজয়

১৭

প্রথমবারের মতো কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান

১৮

গভীর রাতে সাংবাদিক-ব্যবসায়ীকে তুলে নেওয়ার ঘটনায় টিআইবির উদ্বেগ

১৯

২০২৬ বিশ্বকাপের প্লে-অফের ড্র চূড়ান্ত

২০
X