৩১তম ওভারে মার্ক উডের করা শর্ট বল খেলতে গিয়ে হাত থেকে ব্যাট ছুটে যায় অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার ক্যামেরন গ্রিনের। অল্পের জন্য সেটা গিয়ে পড়ত লেগ আম্পায়ারের ক্রিস গফানির গায়ে। তবে এক মিটার দূরে থাকায় কোনো ধরণের ইনজুরিতে পড়েননি তিনি সংগৃহীত-
অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে জয়টা ইংল্যান্ডের জন্য একটু বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিশ্বকাপের কোনো হিসাব-নিকাশ না। অন্তত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার জন্য হলেও তাদের জেতা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই। একের পর এক ম্যাচ হারতে হারতে বৃদ্ধ সিংহের মতো অবস্থা জস বাটলারের দলের। প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া বলেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিদের বিপক্ষে ছন্দে ফেরার সুযোগ ছিল; কিন্তু ব্যাটিং-বোলিং উভয় ক্ষেত্রেই নির্দয় অজিরা। শুরুতে ব্যাটিংয়ে এরপর বোলিংয়েও একই চিত্র। ইংলিশ বোলারদের বার বার হতাশ করে স্কোর বোর্ডে ২৮৬ রান তোলে প্যাট কামিন্সের দল। এরপর বোলিংয়েও জনি বেয়ারস্টো-বাটলারদের দাঁড়াতে দেয়নি তারা। ৩৩ রানে জিতে সেমির দৌড়ে এক পা দিয়ে রাখল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। হেরে এবার বড় চাপে পড়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
বিশ্বকাপে দারুণ ছন্দে ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্রাভিস হেড। তাদের নিয়ে প্রস্তুতিটাও ভালো ছিল ক্রিস ওকসের। আগের ম্যাচের দুই সেঞ্চুরিয়ানকে এবার থিতু হওয়ার আগেই সাজঘরে ফেরান এই ইংলিশ পেসার; কিন্তু সমীকরণটা বদলে দেন স্টিভেন স্মিথ ও মারনাস লাবুশানে। তৃতীয় উইকেটের জুটিতে স্কোর বোর্ডে ৭৫ রান যোগ করেন তারা। আদিল রশিদের সাহায্যে এ জুটি ভাঙার পর কিছুটা চাপে পড়ে অজিরা; কিন্তু একপাশে ঠিকই রান তোলেন লাবুশানে। দারুণ সঙ্গ পেয়েছেন ক্যামেরন গ্রিনের কাছ থেকে। মিডল অর্ডারে বেশ কয়েকটি জুটি হয় অজিদের। সেখানেই রান ধীরে ধীরে ইংল্যান্ডের জন্য চ্যালেঞ্জ হতে থাকে। লেগের ব্যাটার অ্যাডাম জাম্পা শেষ পেরেকটা মেরে দেন। লোয়ার অর্ডারে এসে ১৯ বলে করেন ২৯ রান। এতেই প্রায় তিনশর কাছাকাছি পুঁজি হয়ে যায় অজিদের।
তিনশ না হলেও ইংল্যান্ডের জন্য এটা অনেক বড় স্কোরই বলা চলে। কেননা একের পর এক ম্যাচ হারতে হারতে ব্যাটিংই ভুলে গেছেন ইংলিশ ব্যাটাররা। বেয়ারস্টো, বাটলাররা ফিরেছেন আগের ম্যাচগুলোর মতো করেই। রান তো নেই উল্টো দলকে বড় চাপেই ফেলে গেছেন তারা। ১৯ রান তুলতেই বেয়ারস্টো জো রুটকে ফেরান মিচেল স্টার্ক। ডেভিড মালান ও বেন স্টোকসের একটি জুটি হয়েছিল। ৮২ রানের জুটি ভেঙে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে আনেন অধিনায়ক কামিন্স। ৫০ রান করে সাজঘরে ফেরেন মালান। শেষ দিকে স্টোকসের ৬৪ ও দুই বোলার আদিল রশিদ, ক্রিক ওকসের ব্যাটে ব্যবধান কমায় ইংলিশরা।