মোহাম্মদ আলীকে দিয়ে শুরু, স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সময় ঢাকা সফর করেছেন বিশ্বের আলোচিত ক্রীড়াবিদরা। সে তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। তারকাদের ঢাকা সফর নিয়ে সাজানো হয়েছে এ প্রতিবেদন।
মোহাম্মদ আলী
১৯৭৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাঁচ দিনের সফরে ঢাকা আসেন মোহাম্মদ আলী। ১২ বছর বয়সী খুদে বক্সার গিয়াসউদ্দিনের সঙ্গে একটি প্রদর্শনী ম্যাচে অংশগ্রহণ করেন তিনি। গিয়াসউদ্দিনের পাঞ্চে রিংয়ে লুটিয়ে পড়ে দর্শকদের বিনোদন দিয়েছিলেন মোহাম্মদ আলী। সফরে এ কিংবদন্তিকে বাংলাদেশের সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। জাতীয় বক্সিং স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হয় কিংবদন্তি এ বক্সারের নামে।
জিনেদিন জিদান
২০০৬ সালে ঢাকা সফর করেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী তারকা জিনেদিন জিদান। গ্রামীণ ডানোনের আমন্ত্রণে সফরে আসেন ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপ জয়ের কারিগর। সফরে জিনেদিন জিদানের সম্মানে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করা হয়। ম্যাচের দুই অর্ধে দুই দলের হয়ে খেলেন ফরাসি এ কিংবদন্তি। জিদানের সফরের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
মেসির আর্জেন্টিনা
২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকা সফর করে আর্জেন্টিনা ও নাইজেরিয়ার জাতীয় দল। সফরে সবার আগ্রহের কেন্দ্রে ছিলেন লিওনেল মেসি। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে প্রীতি ম্যাচে মেসির দল
৩-১ গোলে জয় পায়। ম্যাচে মেসি গোল করতে না পারলেও দ্বিতীয়ার্ধে তার একটি মুভ গ্যালারির দর্শকদের নাচিয়ে তোলে। ম্যাচে গঞ্জালো হিগুয়াইন ও এঞ্জেল ডি মারিয়া গোল করেন।
হুলিও সিজার
২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ঢাকা সফরে আসেন ব্রাজিলের হয়ে দুটি বিশ্বকাপ খেলা গোলরক্ষক হুলিও সিজার। মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে তারকা ফুটবলারদের ঢাকা আনার যে পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তার অংশ হিসেবে হুলিও সিজারকে আনা হয়েছিল। ঢাকায় ৩০ ঘণ্টা অবস্থান করেন এ তারকা। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর ঘুরে দেখেন তিনি।
ক্রিস্টিয়ান কারেম্বু
২০২২ সালের জুনে ঢাকা আসেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী ক্রিস্টিয়ান কারেম্বু। বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে ঢাকা আসেন রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক এ ডিফেন্ডার। ২০১৩ সালে বিশ্ব পরিদর্শনের অংশ হিসেবে ঢাকায় এসেছিল বিশ্বকাপ ট্রফির রেপ্লিকা। বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার ও রাষ্ট্রপ্রধান ছাড়া আসল ট্রফি কারও স্পর্শ করার অনুমতি নেই। এ কারণে ট্রফি নিয়ে ঢাকা আসেন কারেম্বু।
মন্তব্য করুন