

জ্যাক ক্রলির দাপুটে সেঞ্চুরিতে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে চালকের আসনে ইংল্যান্ড। চা-বিরতি পর্যন্ত ২ উইকেটে ২৩৯ রান তুলেছিল স্বাগতিকরা। ১৩২ রানে অপরাজিত ছিলেন ক্রলি। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে দ্বিতীয় দিনের প্রথম বলেই উইকেট পান জিমি অ্যান্ডারসন। প্যাট কামিন্স ড্রাইভ করতে গিয়ে কাভার পয়েন্টে বেন স্টোকসের হাতে ধরা পড়েন। দিনের প্রথম বলেই অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ককে আউট করে চাপ বাড়ান অ্যান্ডারসন। আর ১ রান তোলার পর অলআউট হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে ক্রিস ওকসের বলটি ছিল নো। তাই প্রাণ পেয়ে আরও ১৭ রান যোগ করে অস্ট্রেলিয়া। শেষ পর্যন্ত ৩১৭ রানে অলআউট হয় তারা। ৬২ রানে ৫ উইকেট নেন ওকস। চতুর্থ টেস্টে টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। বেন স্টোকসের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেন স্টুয়ার্ট ব্রডেরা। এই টেস্টে দলে ফেরানো হয় জেমস অ্যান্ডারসনকে। তিনি যদিও উইকেট পাননি প্রথম দিনে। গতকাল একটি উইকেট নিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে মিচেল মার্শ ৫১ রান করেন। জবাবে ইংল্যান্ডের শুরুটা ভালো হয়নি। ১ রান করে মিচেল স্টার্কের বলে আউট হন বেন ডাকেট। ৫৪ রান করা মইন আলিকেও আউট করেছেন স্টার্ক। তবে ক্রলি আর জো রুট আর মইন আলির দাপটে চা-বিরতির আগেই অস্ট্রেলিয়াকে কোণঠাসা করে ইংল্যান্ড। মাত্র ৯৩ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেন ক্রলি। অ্যাশেজের চতুর্থ দ্রুততম টেস্ট সেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়েন। মাত্র ৭৬ বলে সেঞ্চুরি করে এ তালিকার শীর্ষে আছেন জেশফ গিলবার্ট। ১৯০২ সালের অ্যাশেজে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। ১৯৮১ সালের অ্যাশেজে ৮৬ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন ইয়ান বোথাম। সেই অ্যাশেজেই ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ৮৬ বলে আরও একটি সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। অ্যাশেজের দ্রুততম সেঞ্চুরির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন বোথাম। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ৯৩ বলে সেঞ্চুরি করে বোথামকে মনে করালেন ক্রলি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরিটা ওপেনার জ্যাক ক্রলির টেস্টে চতুর্থ শতরান। হাফ সেঞ্চুরি করে মিচেল স্টার্কের বলে আউট হন মইন আলি। তার ক্যাচ নেন ডেভিড ওয়ার্নার। ইংল্যান্ডের বড় রানের পেছনে অবদান ছিল মইন আলিরও।
মন্তব্য করুন