নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে জামালপুরের নালিতাবাড়ী পর্যন্ত কংস ও ভোগাই নদীর ১৫৫ কিলোমিটার খনন প্রকল্প হাতে নেয় বিআইডব্লিউটিএ। ব্যয় ধরা হয় ১৩৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। প্রকল্প অনুযায়ী, নদী দুটির প্রশস্ততা ৮০ থেকে ১০০ ফুট এবং শুকনো মৌসুমে গভীরতা ৮ থেকে ১০ ফুট হওয়ার কথা। কাগজে-কলমে কাজও শেষ।
তবে সরেজমিন পরিদর্শন ও নদী-তীরবর্তী লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নদী দুটির প্রশস্ততা ও গভীরতা মোটেও বাড়েনি। বরং ১৩৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকার বেশিরভাগই জলে গেছে। ঢাকার গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) এক পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। গতকাল সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবেদনের সারমর্ম তুলে ধরা হয়।
পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে নদী খননে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থতার জন্য বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের অদক্ষতা, উদাসীনতা, অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও দুর্নীতিকে দায়ী করা হয়েছে। কয়েকটি নদী সরেজমিন পরিদর্শন, প্রকল্প এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আলোচনা, প্রথম শ্রেণির কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন এবং বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যগুলোর ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। শিগগির পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
এসসিআরএফের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৯ সালে পুরোনো ব্রহ্মপুত্রের ২২৭ কিলোমিটার খনন শুরু হয়। পাঁচ বছরমেয়াদি এ প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ ২ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা। এতে বলা হয়েছিল চলতি বছরের জুন-জুলাইয়ে যমুনা-ব্রহ্মপুত্রের সংযোগস্থল থেকে কিশোরগঞ্জের টোক পর্যন্ত প্রশস্ততা ৩০০ ফুট ও গভীরতা অন্তত ১০ ফুট হবে, এ নৌপথ দিয়ে ঢাকা পর্যন্ত বড় নৌযান চলবে; কিন্তু ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ নদের অনেক স্থানেই হাঁটুপানি দেখা গেছে। সময়মতো কাজ না করে প্রকল্পের মেয়াদ আরও অন্তত ৩ বছর বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
মন্তব্য করুন