টেকনাফের বাসিন্দাদের ঘুম ভাঙে অপহরণ ও মুক্তিপণের সংবাদে। এভাবে আর কত? প্রতিরোধে নেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকর কোন পদক্ষেপ। আক্ষেপ নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন সম্প্রতি অপহরণের শিকার ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। তাদের অভিযোগ, অপহরণের ঘটনার পর থানা, পুলিশ কিংবা জনপ্রতিনিধিদের কোনো ধরনের সহযোগিতা পাননি। নিরুপায় হয়ে মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসার পর শুরু হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্ধার নাটক। তারা আরও জানান, উপজেলার হোয়াইক্যং, হ্নীলা ও বাহারছড়া ইউপির বাসিন্দাদের দিন কাটে অপহরণ আতঙ্কে।
গত শুক্রবার রাতে আলীখালী ক্যাম্প থেকে পাঁচ রোহিঙ্গাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় অস্ত্রধারীরা। তাদের মধ্যে এক কিশোরকে বাম হাতের কবজি কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেরত পাঠায় অপহরণকারীরা। বাকি চারজন পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে গত সোমবার রাতে স্বজনদের কাছে ফেরে গুরুতর আহত অবস্থায়। মুক্তিপণে ফেরা রোহিঙ্গারা হলো, হ্নীলা ইউনিয়নের আলীখালী ক্যাম্প ব্লক ডি-এর বাসিন্দা মোহাম্মদ ইউনুস, মোহাম্মদ সুলতান, আব্দুল্লাহ ও আনোয়ার ইসলাম। অপহরণের দুদিন পর মুক্তিপণ দিয়ে তারা আলীখালী পাহাড় থেকে ফিরেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। তাদের এনজিও পরিচালিত একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশা জানান, মুক্তিপণের বিষয়টি জানা নেই।
মন্তব্য করুন