

রংপুরের তারাগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা দম্পতি হত্যার কারণ উদ্ঘাটন করতে পেরেছে পুলিশ। ঘটনার তিন দিন আগে তাদের বাড়িতে টাইলসের কাজ করেন মোরছালিন নামে এক ব্যক্তি। তিনিই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গত ৭ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দম্পতি যোগেশ চন্দ্র রায় ও তার স্ত্রী সুবর্ণা রায়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তাদের ছেলে শোভন বাদী হয়ে তারাগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের শেরমস্ত বালাপাড়া গ্রাম থেকে মোরছালিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্ত মোরছালিন তারাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী। তিনি পড়ালেখার পাশাপাশি টাইলস মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন।
গ্রেপ্তারের পর মোরছালিনকে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা যোগেশের বাড়িতে যায় পুলিশ। এ সময় তার দেওয়া তথ্যে বাড়ির পেছনের পুকুর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কুড়ালের রক্তমাখা হাতল উদ্ধার করা হয়।
ঘটনাস্থলে ব্রিফিংয়ে রংপুর জেলা পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন জানান, হত্যাকাণ্ডের তিন দিন আগে মোরছালিন ওই বাড়িতে টাইলসের
কাজ করেন। এ সময় তার ধারণা হয়, বাড়িতে অনেক টাকা-পয়সা আছে। তার কিছু ধারদেনা ছিল। ওই বাড়ি থেকে কিছু টাকা পয়সা লুট করতে পারলে দেনা শোধ করতে পারবেন—এমন পরিকল্পনা থেকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন মোরছালিন।
পুলিশ সুপার জানান, মোরছালিন সঙ্গে একটি কুড়াল নিয়ে আসেন। বাড়িতে ঢুকে প্রথমে সুবর্ণাকে হত্যা করেন, পরে যোগেশকে। এরপর বাড়িতে থাকা একটি দা দিয়ে স্টিলের আলমারি ভাঙেন। তবে সেখানে কোনো টাকা পাননি বলে দাবি করেছেন। পরে বাড়ির ভেতরে থাকা গাছ বেয়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। যাওয়ার সময় কুড়ালটি পাশের পুকুরে ফেলে দিয়ে যান।
মারুফাত হুসাইন বলেন, ‘এ কাজ সে একা করেছে। অন্য কেউ এর সঙ্গে জড়িত নেই।’
মন্তব্য করুন