

ওসমান হাদির উপর গুলিবর্ষণ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি।
যদিও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত অপরাধীদের শনাক্ত, আটক বা গ্রেপ্তারের কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
পোস্টে জুলকারনাইন সায়ের লেখেন, ‘ফয়সাল করিম মাসুদ (ছদ্মনাম দাউদ বিন ফয়সাল) নামের এই ব্যক্তি সাবেক ছাত্রলীগ সহসভাপতি, ঢাকা মহানগর উত্তর এবং আদাবর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। ছবিতে লালবৃত্তে চিহ্নিত ফয়সাল গত ৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ওসমান হাদির ঠিক পাশে বসে ছিলেন একটি বৈঠকে।’
‘জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং আসাদুজ্জামান খান কামালের বিশ্বস্ত অনুসারী বলে জানা গেছে।’
এর আগে অন্য এক পোস্টে জুলকারনাইন লেখেন, পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা গত কয়েকমাসে অন্তত ৮০ জন সুব্রত বাইনের মতো আততায়ীকে দেশের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ করিয়েছে। ‘আন্ডারওয়ার্ল্ড, কুষ্টিয়া মেহেরপুর অঞ্চলের চরমপন্থী গ্রুপ এক হয়ে নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় নেতা, এলাকার জনপ্রিয় নেতাদের টার্গেট করে হত্যা ও সহিংসতার ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যিনি সুব্রত বায়েনের হ্যান্ডলার ছিলেন, জামিনে থাকা পিচ্চি হেলাল ও চরমপন্থী গ্রুপ গণমুক্তি ফৌজের প্রধান মুকুল সম্প্রতি টেলিফোনে কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব বিষয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘সুব্রত বায়েন কারাগার থেকে তার মেয়ের মোবাইলে ফোন দিয়ে কনফারেন্স করে পিচ্চি হেলাল ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পলাতক মুকুলের সঙ্গে কথা বলেছে। পরবর্তীতে সুব্রত বায়েনের মেয়ে সিনথিয়া বিতু নেপালে পলাতক বিডিআর মামলার পলাতক আসামি লেদার লিটন, পিচ্চি হেলাল, মুকুল, বাড্ডার বড় সাঈদ ও দিপুর সঙ্গে কথা বলিয়ে দেয়।’
‘নির্বাচন বানচাল এবং দেশকে চরম অস্থিতিশীল করতে বিশেষ গোষ্ঠী সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবে। একতাবদ্ধ থেকে এদের মোকাবেলা করাই একমাত্র উপায়।’
মন্তব্য করুন