যে কোনো উন্নয়নের নামে প্রথম কোপ পড়ে গাছ, নদী, বনভূমি, কৃষিজমিসহ প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর। এতে নির্বিচার দখল ও দূষণে দেশের নদনদী, উন্মুক্ত প্রান্তর ও জলাভূমিগুলো আজ নিশ্চিহ্ন। বেড়েছে অপরিকল্পিত নগরায়ণ। হারিয়েছি ঋতুর বৈচিত্র্য। তাই সব উন্নয়নের মাঝখানে প্রকৃতিকে রাখতে হবে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গতকাল রোববার পরিবেশ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। এ সময় তারা প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশ সুরক্ষায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
বক্তারা বলেন, উন্নয়নের নামে প্রাণ-প্রকৃতি পরিবেশ ধ্বংস বন্ধ করতে হবে। পরিবেশ সুরক্ষায় জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে। উন্নয়ন অবশ্যই চাই তবে পরিবেশ, প্রকৃতি, প্রাণ-বৈচিত্র্য বিনাশের বিনিময় নয়।
পরিবেশ ও মানবাধিকার সুরক্ষায় কর্মরত ১৪টি সংগঠন এএলআরডি, বেলা, বারসিক, বাপা, নিজেরা করি, নাগরিক উদ্যোগ, সিসিডিবি, কাপেং ফাউন্ডেশন, আদিবাসী ফোরাম আইপিডিএস, ইনসিডিন- বাংলাদেশ, কারিতাস, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন এবং রিভারাইন পিপলের উদ্যোগে এ কর্মসূচি হয়েছে। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, পরিবেশবিদ, শিক্ষক, গবেষক, মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক এবং পরিবেশ সুরক্ষায় আন্দোলনরত ব্যক্তি ও সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের সভাপতিত্বে সমাবেশে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান বারসিকের পরিচালক পাভেল পার্থ । আলোচনা করেন বেলার প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, এএলআরডি নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, সাতমসজিদ সড়ক গাছ রক্ষা আন্দোলন সমন্বয়কারী আমিরুল রাজিব, নারীপক্ষের সদস্য শিরিন হক, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সোমা দে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান মজুমদার প্রমুখ।
আদিবাসী নেতা সঞ্জিব দ্রং বলেন, উন্নয়ন মানে বড় বড় অট্টালিকা নয়, নদী দখল, বন উজার করে মুনাফা অর্জন নয়।
মানবাধিকারকর্মী শিরিন হক বলেন, নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি পেলে পরিবেশবান্ধব নীতি ও আইন পাওয়া সম্ভব।
মন্তব্য করুন