মাসুদ রানা
প্রকাশ : ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:১৭ এএম
আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:০৮ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ

দণ্ডিত হলে মির্জা আব্বাসের নির্বাচনের পথও বন্ধ

দুর্নীতির মামলার রায় কাল
মির্জা আব্বাস। ছবি: সংগৃহীত
মির্জা আব্বাস। ছবি: সংগৃহীত

১৬ বছর আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলার বিচার কার্যক্রম শেষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার আদালত রায় ঘোষণা করবেন। এ রায়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বনিম্ন ৩ বছরের সাজা হতে পারে। দণ্ডিত হলে সংবিধান অনুযায়ী তিনি নির্বাচনে অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। এতে তার নির্বাচনের পথ বন্ধ হবে।

আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংবিধানের ৬৬(২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কেউ নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষীসাব্যস্ত হয়ে যদি কমপক্ষে দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হলে তিনি কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। সর্বশেষ ২০১৮-তে দণ্ডপ্রাপ্ত বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগের দাবিতে সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করেছিলেন। তাদের আবেদন শুনে একই বছরের ২৭ নভেম্বর আপিল বিভাগ বলেছিলেন, আপিল বিচারাধীন থাকলেও বিচারিক আদালতে দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্তরা যতক্ষণ পর্যন্ত উচ্চ আদালত থেকে খালাস না পাবেন এবং উচ্চ আদালত সাজা স্থগিত না করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত দণ্ডিত কারও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকবে না।

মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সংগতিবিহীন ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট দুদকের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম রাজধানীর রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তদন্তে তার বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ১৬ জুন আদালত এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এ মামলার বিচার চলাকালীন আদালত ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর কালবেলাকে বলেন, এ মামলায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষমে হয়েছে। দুদক আইনের ২৬(২) ধারায় তিন বছর ও ২৭(১) ধারায় ১০ বছরের সাজা প্রত্যাশা করছি। এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হলেই সর্বনিম্ন তিন বছরের সাজা হবে। সেক্ষেত্রে তিনি সংবিধান অনুযায়ী কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহি উদ্দিন চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, মির্জা আব্বাস ঢাকার মেয়র ও মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার বিরুদ্ধে দুদকের আনা অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। সাক্ষ্যপ্রমাণেও তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। মূলত নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলো দ্রুত শেষ করা হচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গণতন্ত্র মঞ্চের নতুন সমন্বয়ক সাইফুল হক

পুরোনো রাজনীতি পরিহার করে নতুন রাজনীতি করতে চাই : মঞ্জু

খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা দেখার জন্য শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন : স্বপন

ভুয়া ফটোকার্ড ও অপপ্রচারের অভিযোগে জিডি করলেন ছাত্রদলের আবিদ-মায়েদ

তারেক রহমান বাংলাদেশের ভোটার কি না এ প্রশ্ন অবান্তর : অ্যাটর্নি জেনারেল

দেশের ক্রান্তিলগ্নে খালেদা জিয়াকে খুবই প্রয়োজন : লুৎফুজ্জামান বাবর

খালেদা জিয়া কোটি মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন : মান্নান

ধর্মকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে কিছু দল : আমিনুল হক

ছাত্রশক্তির নেত্রীকে বিয়ে করলেন হান্নান মাসউদ

বাংলাদেশে নতুন রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চাই : শিশির মনির

১০

আলোচনা ছাড়াই করা গোপন চুক্তিতে জনগণের দায় নেই : জোনায়েদ সাকি

১১

ধানের শীষ শুধু নির্বাচনী নয়, গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষারও প্রতীক : নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু

১২

খাঁচা থেকে সিংহ পালানোর ঘটনায় তদন্ত কমিটি

১৩

ইসরায়েলকে হুঁশিয়ার করল জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী

১৪

ঐতিহাসিকভাবেই ফ্যাসিস্ট আ.লীগ গণতন্ত্রের ভয়ংকর শত্রু : তারেক রহমান

১৫

পরীক্ষক আসবেন শুনে জানালা দিয়ে বই নিক্ষেপ, অতঃপর...

১৬

ফ্লাইট বাতিলের হিড়িক, যে কৌশলে বিয়ের অনুষ্ঠান সারলেন বর-কনে

১৭

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় গরু সাদকা করলেন কায়কোবাদ 

১৮

৫০০ রিকশাচালককে নিয়ে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ব্যতিক্রমী আয়োজন

১৯

সবুজের টার্গেট ওমান প্রবাসীদের লাশ

২০
X