কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
আপডেট : ০৭ জুলাই ২০২৩, ১০:০২ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

কারখানা থেকে পুলিশের কম্বল ডাকাতি

কারখানা থেকে পুলিশের কম্বল ডাকাতি

পুলিশের কম্বল, রেইনকোট, মেস কাপড়সহ অন্য সামগ্রী সরবরাহ করত অ্যাপিজ গ্লোবাল লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি কেরানীগঞ্জের কলাতিয়ায় ওই প্রতিষ্ঠানের গুদামে ডাকাতি হয়। নাইটগার্ডদের হাত-পা ও চোখ বেঁধে সেখান থেকে প্রায় ৮২ লাখ টাকার মালপত্র লুট করে একটি আন্তঃজেলা ডাকাত দল। এ ঘটনায় সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন হামিদুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম রাজু, জাহিদ মিয়া, মনিরুল ইসলাম রতন, আজিজুল হক আজিজ, ইসরাফিল, সজল মিয়া ও রশিদা বেগম। তাদের মধ্যে রাশিদা বেগম লুণ্ঠিত মালপত্র ক্রয়কারী পলাতক আসামি মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী।

পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তাররা আন্তঃজেলা কারখানা ডাকাত চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা গাজীপুর, নরসিংদী ও ঢাকার আশপাশের নির্জন এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন ফ্যাক্টরির মালপত্র ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেকি করে। এরপর সুযোগ বুঝে গভীর রাতে এসব কারখানায় হামলা চালিয়ে লুট করেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সেখানে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান জানান, গত ২ জুলাই রাতে অ্যাপিজ গ্লোবাল লিমিটেডের কারখানার গেটে তালা লাগানোর সময় ৪ থেকে ৫ জন ডাকাত সিকিউরিটি গার্ডকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এ সময় তার তিনটি আঙুল কেটে ফেলে ডাকাতরা। পরে কারখানার অন্য তিন সিকিউরিটি গার্ডকে হাত-পা ও চোখ-মুখ কাপড় দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। এক পর্যায়ে দুটি কাভার্ডভ্যান নিয়ে কারখানায় ঢোকে আরও ৮ থেকে ১০ জন ডাকাত। সেখান থেকে কম্বল, কোটিং ফেব্রিক্স রেইনকোট ফেব্রিক্স, মেস কাপড়, ফ্যানসহ ৮২ লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের জিনিসপত্র লুট করে চক্রটি।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানান গার্ডরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে বিভিন্ন আলামত ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে। পরে সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে রশিদা বেগমের দেওয়া তথ্যে মোশারফের গুদাম থেকে ২১ হাজার ৫০০ মিটার রেইনকোট ফেব্রিক্স, ২ হাজার ৯২৫ মিটার কোটিং ফেব্রিক্স, ২৫০ কেজি মেস কাপড়, ৪০০ কম্বল ও একটি স্টান্ড ফ্যান উদ্ধার করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবীর কালবেলাকে বলেন, মোশারফ একজন কালোবাজারি ব্যবসায়ী। তিনি ডাকাতি করা এসব ইমপোর্ট করা কাপড় কম দামে কিনে অধিক লাভে বিক্রি করেন। চোরাই মালপত্র রাখার জন্য আশুলিয়ায় তার একটি গুদাম রয়েছে। তিনি এখন পলাতক, তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সংবাদ সম্মেলনে অ্যাপিজ গ্লোবালের মালিক আবুল কালাম আজাদ বলেন, কেরানীগঞ্জের কলাতিয়া এলাকায় অবস্থিত পুরোনো কারখানাটি বর্তমানে গুদাম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সেখান থেকে পুলিশের জন্য প্রস্তুত করা কম্বল ও ইমপোর্ট করা কাপড় লুট করে ডাকাত দল। ওই দলে ফ্যাক্টরির লোক থাকতে পারে। তবে যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের কেউ ফ্যাক্টরির না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যে কারণে ক্ষমা চাইলেন বাফুফে সভাপতি

গাজায় সেনা পাঠানো নিয়ে নতুন সংকটে পাকিস্তান

তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে ৬১ ক্রিকেট ব্যাট-বল বিতরণ

ভূমিকম্পে আহত হামীমের চিকিৎসার খোঁজ নিলেন ডা. কাঁকন

৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যা

খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

বিদেশিদের হাতে বন্দরের ব্যবস্থাপনা তুলে দেওয়া অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত : লায়ন ফারুক

হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় / পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় মেজর সিনহাকে

কর্মী নিয়োগ নিয়ে বাংলাদেশকে সুখবর দিল সৌদি আরব

১০

সোনালী ব্যাংকে ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ দিয়ে প্রতারণা

১১

জাল টাকার নোটসহ আটক ২

১২

রাজশাহীতে ৬ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

১৩

এসএ সিদ্দিক সাজুকে বিএনপির শোকজ

১৪

বিএনপি নারীর ক্ষমতায়ন ও স্বাবলম্বিতা বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ : সেলিমা রহমান

১৫

মুফতি মামুনুর রশিদ কাসেমী গ্রেপ্তার

১৬

রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতেই থাকা উচিত : রিজভী

১৭

যুদ্ধবিরতির মধ্যে গাজায় হামলা, কমান্ডারকে নিহতের দাবি ইসরায়েলের

১৮

রাবির দুই শিক্ষককে বিভাগীয় সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি

১৯

এ দেশ সবার, কারো একার না : সালাউদ্দিন বাবু

২০
X