নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের যুবলীগের সাবেক সভাপতি শীর্ষ সন্ত্রাসী দেলু বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেন দেলুর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৮ কোটি ৯৫ লাখ ৩৫ হাজার ৯৮০ টাকার অবৈধ সম্পদ দখলে রাখার অভিযোগে মামলাটি হয়। দুদকের গাজীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক সাইদুজ্জামান মামলাটি করেন।
দেলু পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের কাজিরচর গ্রামের হাজি মো. সুরুজ আলীর ছেলে। এর আগে দেশের বিভিন্ন জেলায় তার বিরুদ্ধে হত্যা, রাহাজানি, ডাকাতি ও চাঁদাবাজিসহ ৩৯টি মামলা রয়েছে। দুদকের মামলাসহ তার বিরুদ্ধে এখন মামলার সংখ্যা ৪০।
ডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাবের উল হাই জানান, এমন কোনো অপরাধ নেই, যা দেলু করেনি। এতিমখানার দেড় কোটি টাকাও সে আত্মসাৎ করেছে। সম্প্রতি দেলু বাহিনীর সদস্যরা প্রকাশ্যে মামুন নামে এক প্রতিবন্ধী যুবককে কুপিয়ে হত্যা করে।
পলাশ থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন জানান, এই থানায় দেলুর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। তবে কোর্টে থাকতে পারে। সি আর মামলার রেকর্ড থানায় থাকে না। তবে অন্য থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে বলে শুনেছি। নিহত মামুনের পিতার অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, তিনি তার পুত্র হত্যার অভিযোগ যেভাবে লিখেছেন, সেভাবেই রেকর্ড করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে দেলোয়ার হোসেন দেলুর মোবাইলে বারবার ফোন করা হয়। কিন্তু তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তার এক সহযোগী জানায়, মামুন হত্যাকাণ্ডের পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে দেলু।