মোস্তফা কামাল
প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২৪, ০৩:৪৩ এএম
আপডেট : ০৮ জুন ২০২৪, ০৮:৪০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

বুজেট থেকে বাজেটে বেনজীর পাপেট

বুজেট থেকে বাজেটে বেনজীর পাপেট

বাজেট আর বেনজীর কাকতালীয়ভাবে একই ডেটলাইনে পড়ে গেছে। ধার্য তারিখ ৬ জুন দলিল-দস্তাবেজসহ বাজেট নিয়ে সংসদে হাজির হতে হয়েছে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে। উপস্থাপন করতে হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার ৫৪তম বাজেট। দিতে হয়েছে ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’-এর অঙ্গীকার। এ অঙ্গীকার কতটা পূরণ হবে না হবে, সেটা পরের ব্যাপার। এ দিনটিতেই ধার্য তারিখে আলোচিত সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদকে আনা যায়নি বা তিনি আসেননি দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকে। তাকে দিতে হয়নি গোপালগঞ্জ-মাদারীপুর ছাড়াও বিভিন্ন সমতল-পাহাড়, পুকুর-দীঘি, একরে একর জমি, ১৯ কোম্পানির শেয়ার, ফ্ল্যাট-প্লট, আটটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পূর্ণ মালিকানা, ১৯টির শেয়ারের হিসাব। ঈদের পর ২৩ জুন তিনি রিল্যাক্সে এলেও চলবে। সেইসঙ্গে তার সহায়-সম্পত্তির কিছু অংশ দেখভালের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাভারে সম্পত্তি দেখেশুনে রাখবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, গোপালগঞ্জের ২৮টি পুকুর দেখবেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা। বিভিন্ন জেলায় জেলায় অন্যান্য স্থাবর সম্পদ হেফাজত করবেন জেলা প্রশাসকরা। সংসদ আর দুদক স্পট ভিন্ন হলেও এবার বাজেট সংবাদের সঙ্গে বেনজীরবিষয়ক সংবাদ অডিয়েন্সের বাড়তি পাওনা। আর বাজেটের মধ্যে বেনজীর বা নজিরবিহীন কিছু রসদ তো আছেই।

‘কালো টাকা সাদা করার’ বিশেষ পদক্ষেপ একবারে অনজির হলেও এবার বেশ রকমফের। সৎপথে আয়ের ওপর সর্বোচ্চ করহার ধরা হয়েছে ৩০ শতাংশ। আর অসৎপথে আয় করা কালো টাকা সাদা করতে লাগবে মাত্র ১৫ শতাংশ। প্রকারান্তরে তা দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন শুধু বৈধ নয়, উৎসাহমূলকও। এই হকহালালিও বেশ বিনোদিত বিষয়। প্রথমত অপ্রদর্শিত আয়ের কর দিয়ে বৈধ হওয়ার পর তা অবশ্যই বৈধ আয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাবে। আর মিস্টার ক্লিনম্যানের সনদ তো মিলবেই। আলোচিত বেনজীরও তো এ সুযোগ নিতেই পারেন। অঙ্কটি পরিষ্কার। ১০০ কোটি কালো টাকার বিপরীতে ১৫ কোটি আয়কর দিয়ে বাকি ৮৫ কোটি সাদা করার এ গণিত বেশ ইন্টারেস্টিং। এই তরিকায় যে কারোই টাকা সাদা করাই কী দরকার। ৩০ শতাংশের চেয়ে ১৫ শতাংশের ফের না বোঝার বোকা কি বাংলাদেশে বা উগান্ডা-রুয়ান্ডায়ও আছে? অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায়ও তা একদম পরিষ্কার। প্রত্যক্ষ করের ওপর প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, ‘প্রস্তাবিত বিধান অনুযায়ী, দেশের প্রচলিত আইনে যাই থাকুক না কেন, কোনো করদাতা স্থাবর সম্পত্তি, যেমন ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট ও ভূমির জন্য নির্দিষ্ট করহার এবং নগদসহ অন্যান্য পরিসম্পদের ওপর ১৫ শতাংশ কর পরিশোধ করলে কোনো কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারবে না।’

এরপরও কথায় কি কোনো ফাঁক আছে? এই প্রস্তাবের সুযোগভোগীদের তিনটি বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ১. বিদ্যমান করহারে বিভিন্ন ধরনের স্থাবর সম্পত্তির ওপর কার্যকর কর হবে অন্যান্য তুলনীয় করহারের চেয়ে অনেক কম। ২. যথাসময়ে এ আয় বা সম্পত্তি ঘোষণা না করার জন্য আর্থিক দণ্ড দিতে হবে না। আর তৃতীয়টিতে অসৎ উপায়ে অর্জিত অর্থ নির্দিষ্ট অঙ্ক দিয়ে হালাল করার পর তাদের আইনের আওতায় না আনার একটি আভাস রয়েছে। অথচ ক্ষমতাসীনদের এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কথা উল্লেখ করে বলা ছিল: ‘জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন, ঘুষ, ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বজনপ্রীতি, পেশিশক্তির দৌরাত্ম্য ও দুর্বৃত্তায়ন নির্মূলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ চলমান থাকবে।’ সাম্প্রতিককালে রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিদের আলাদিনের চেরাগের কাহিনির মতো বিত্তবৈভব হাসিলের এক-একটি ঘটনা সরকারি দলের ওই অঙ্গীকারের সঙ্গে কদাকার তামাশার মতো। কমবেশি কদকদাকারিতা রাষ্ট্রব্যবস্থার আদি যুগ থেকেই। কথাসাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ একজন রিনাউন্ড চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট এবং আইনবিদ ছিলেন। তার ‘ছৌ’ উপন্যাসের এক জায়গায় লিখে গেছেন, প্রতিটি আইন তৈরি হয় একটা ফাঁক রেখে। যে ফাঁক দিয়ে তাদের মক্কেলদের বের করে আনতে বড় বড় ল ফার্মগুলো ঘর আলোকিত করে বসে আছে।

সময়ে সময়ে মানুষও তা দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। জনগণ নামের প্রাণীরা যে কারণেই হোক, জিনিসপত্রের দাম বাড়লে এখন আর গা করে না। তাদের একটা বিশ্বাস জন্মেছে নিত্যপণ্যের দাম ডাবল, তিন ডাবল হওয়ার পরও বাংলাদেশ কখনোই শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান হবে না। মুডে তারা রিল্যাক্সেই থাকে। আগের মতো বাজেটের পূর্বাপরে তাই তারা তটস্থ হয় না। স্বাভাবিকভাবেই ব্যবসায়ীরা বেশি শেয়ান, চতুর, স্মার্ট। দাম যা বাড়ানোর তারা আগেই তা বাড়িয়ে রাখে। আর বাজেট ঘোষণাকালে যা বলা হয় এর বাইরে সারা বছর ‘এসআরও’ জারি হবে সেটাও হিসাবে রাখে ঠিকঠাক মতো। নানান তথ্য সাবুদে দেখা যায়, বাজেট শব্দটির উৎপত্তি হয় ‘বুজেট’ থেকে। বুজেট ফরাসি শব্দ। তবে প্রচারিত ইংরেজি শব্দ হিসেবে। যার অর্থ মানিব্যাগ বা টাকার থলি। থলের সব খবর কেউই কাউকে জানায় না। গোমরটা বুঝে নেন বুঝবানরা। ১৭২০ সালে প্রথম বাজেট ও রাজস্বনীতি উত্থাপন করেছিলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী রবার্ট ওয়ালপুল। তবে, বুজেট বা টাকার থলিকে বাজেটে রূপ দেওয়া হয়েছিল ১৭৩৩ সালে, যুক্তরাজ্যে রাজা দ্বিতীয় জর্জের সময়ে। তখন যুক্তরাজ্যের চরম আর্থিক সংকট চলছিল। ওই সময়ে রবার্ট ওয়ালপুল নানা মহল থেকে কর-সংক্রান্ত যত দাবি বা প্রস্তাব পেতেন, তা তার বুজেট বা মানিব্যাগে রেখে দিতেন। তারপর যখন আনুষ্ঠানিকভাবে কর প্রস্তাব উত্থাপনের সময় এলো, তিনি মানিব্যাগ থেকে সব বের করে একটা প্রস্তাব তৈরি করে তা পার্লামেন্টে উত্থাপন করলেন। সেটিই ছিল বিশ্বের প্রথম বাজেট।

আর ভারত উপমহাদেশের প্রথম বাজেট দিয়েছিলেন জেমস উইলসন। স্কটিশ এ ব্যবসায়ী ছিলেন ইন্ডিয়া কাউন্সিলের ফিন্যান্স মেম্বার। সিপাহি বিদ্রোহের পর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রাজত্বের অবসান হয়। সরাসরি ব্রিটিশদের শাসন শুরু। সিপাহি বিদ্রোহের অবসানের তিন বছর পর জেমস উইলসন ১৮৬০ সালের ৭ এপ্রিল উপমহাদেশের প্রথম বাজেটটি পেশ করেছিলেন। ১৯৪৭ সালের দেশ ভাগের পর ১৯৪৮ সালের ১৬ মার্চ পূর্ববাংলা প্রদেশে প্রাদেশিক পরিষদের অধিবেশন বসে জগন্নাথ হলের হলঘরে। সেখানেই ১৯৪৮-৪৯ সালের প্রথম বাজেট পেশ করেন পূর্ববাংলার অর্থমন্ত্রী হামিদুল হক চৌধুরী। ওই অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল সাড়ে ৪১ কোটি টাকা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের প্রথম অর্থমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদ ৭৮৬ কোটি টাকার প্রথম বাজেট ঘোষণা করেন ১৯৭২ সালের ৩০ জুন। একই সঙ্গে ১৯৭১-৭২ ও ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেছিলেন তিনি। ওই সময়টাও বাংলাদেশের জন্য ছিল অনেকটা দুর্যোগকালীন। এ পর্যন্ত ৫২ বার বাজেট ঘোষণা হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার বাজেট দিয়েছেন একসময়ের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট পরবর্তী সময়ে রাজনীতিতে আসা বিএনপির অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম সাইফুর রহমান ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। দুজনই ১২ বার করে বাজেট ঘোষণা করেন। তবে, টানা ১০টি বাজেট দেওয়ার রেকর্ড শুধু মুহিতের। গত বৃহস্পতিবার আবুল হাসান মাহমুদ আলী দিলেন তার অর্থমন্ত্রিত্বের জীবনের প্রথম বাজেট। তা শুধু তার জন্যই প্রথম। দেশের জন্য ৫৪তম। যথারীতি আগামী জুনে আসবে ৫৫তম বাজেট। উচ্চাকাঙ্ক্ষা, অভয়সহ বাজেটের কথাগুলো প্রায় কাছাকাছি। বদল হয় শিরোনাম। যোগ হয় কিছু ঘটনা ও ফের। এই রকমফেরে এবার প্রেম-বিয়েতেও কিছুটা বাধা পড়েছে। মানে করারোপে খরচ বেড়েছে। কমিউনিটি সেন্টারে আলিশান আয়োজন করলে ট্যাক্স দিতে হবে। ভাইরালের বাজারে বিষয়টি আসছে ট্রলের মতো করে। মূল সংবাদটি হচ্ছে: এখন থেকে বিয়ে, জন্মদিন বা যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া নিতে আয়কর রিটার্ন জমার রসিদ লাগবে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ শর্ত যোগ করা হয়েছে।

সাধারণত বিয়ে, বিয়েবার্ষিকী, জন্মদিন, গায়ে হলুদ, সুন্নতে খতনাসহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সভা, সেমিনার, পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান করতে কমিউনিটি সেন্টার ও মিলনায়তন ভাড়া করা হয়। এখন থেকে বার্ষিক আয়কর রিটার্ন জমার রসিদ ছাড়া মিলনায়তন ভাড়া করা যাবে না। কিন্তু ট্রলবাজরা সেটা নিয়ে এসেছে শুধু বিয়েকে সাবজেক্ট বানিয়ে। বর্তমানে ৪৩ ধরনের সেবা পেতে রিটার্ন জমার রসিদ লাগে। এই তালিকায় মিলনায়তন ভাড়া, হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট, হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নিবন্ধন ও নবায়নে রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা যুক্ত হতে পারে। হিসাবে নিলে বরং বিয়ের চেয়ে প্রেম-পিরিতিতে খরচ আরও বাড়বে। ১০০ টাকার টকটাইম চার্জ করতে তাকে ১৩৩ টাকা ২৫ পয়সা রিচার্জ করতে হয়। এখন সেই পরিমাণ কথা বলতে লাগবে ১৩৯ টাকা। মোবাইল ফোন নম্বরে সরাসরি কথা না বলে ইমো বা মেসেঞ্জারে কথা বলবে, সেখানেও একই ঘটনা। ইন্টারনেটেও ১৫ শতাংশের জায়গায় ঘ্যাট করে ২০ শতাংশ ভ্যাট বসানো হয়েছে। প্রেমের আলাপে প্রলাপ-বিলাপ কম করলে তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। যার আয় বছরে সাড়ে ৩ লাখ টাকার কম, অর্থাৎ কি না মাসে যার ২৯ হাজার ১৬৬ টাকা রোজগার, তার তো ট্যাক্স দেওয়ার ব্যাপার নেই। যার আয়ে টান আছে, টার্ন নেই; সে আয়কর রিটার্ন পাবেইবা কোথায়?

লেখক: সাংবাদিক-কলামিস্ট; ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মালয়েশিয়ায় আরও জনশক্তি পাঠাতে সহযোগিতা চাইলেন রাষ্ট্রপতি

সিলেটে পিকআপ চাপায় প্রাণ গেল পুলিশ কর্মকর্তার

খুলনায় সুধী সমাবেশে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

চবির হলে আসন বরাদ্দে বৈষম্য, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

মসজিদে তালা দিয়ে দোকানে দুর্বৃত্তের হামলা

‘নারী অধিকার কমিশন’ গঠনের দাবিতে সংহতি সমাবেশ

দলীয়করণমুক্ত ক্রীড়াঙ্গন গড়তে চাই : আমিনুল হক

লেবানন-ফিলিস্তিন নিয়ে অবশেষে হুঁশ ফিরল সৌদির?

ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে নেতানিয়াহুর ফাঁদে পা দিল ইরান!

শেখ হাসিনা তার বাবার সাথে বেইমানি করেছে : রাশেদ খাঁন

১০

বাহাত্তরের সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতিফলন হয়নি : সলিমুল্লাহ খান

১১

স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হত্যা / গোপালগঞ্জে চার আ.লীগ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

১২

মসজিদ আল হারাম ও নববীর নতুন চার ইমাম

১৩

মৃত দুই আওয়ামী লীগ নেতার নামে সমন্বয়কের মামলা

১৪

ইসরায়েল পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালালে কী করবে ইরান?

১৫

সিরাত মাহফিলে দাওয়াত পেয়েছেন আজহারী, থাকতে পারেন আরও যারা

১৬

কৌশলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র হত্যা / সাবেক এমপি টগর ও ওসি সুকুমারের বিরুদ্ধে মামলা

১৭

কঠোর অবস্থানে যাওয়ার ঘোষণা বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির

১৮

আ.লীগের আমলা ও ব্যবসায়ীদের উৎখাতসহ পাঁচ দফা দাবি বিপ্লবী ছাত্র-জনতার

১৯

সাভারে বিএনপি নেতার উপর আ.লীগ নেতার নেতৃত্বে হামলা

২০
X