অমরেশ দত্ত জয়, চাঁদপুর
প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম
আপডেট : ১৩ জুন ২০২৩, ০৫:০৭ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

মৎস্য জাদুঘরে এক দুপুর

মৎস্য জাদুঘরে এক দুপুর

দেশীয় অনেক প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হচ্ছে নানা কারণে। এর মধ্যে ইলিশের বিভিন্ন প্রজাতি ছাড়াও অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারে এমন মাছের সংখ্যা কম নয়। তাই বিলুপ্তপ্রায় এসব মাছের নমুনা সংরক্ষণ করতে ১৯৮৪ সালে ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরে তৈরি হয়েছে মৎস্য জাদুঘর। এ জাদুঘরের অবস্থান শহরের ওয়ারল্যাস বাজার এলাকার মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ইলিশ ভবনে। যেখানে তিনশর বেশি বিলুপ্ত প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী রয়েছে।

মৎস্য জাদুঘরে গিয়ে দেখা যায়, স্বাদু পানি ও সমুদ্রের তিনশর বেশি বিলুপ্ত প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী নির্দিষ্ট মাত্রায় ফরমালিন দিয়ে নানা আকৃতির গোলাকার কাচের জারে রাখা হয়েছে। যার বাইরে লেখা রয়েছে মাছ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য।

জাদুঘর ঘুরে দেখা যায়, এতে রয়েছে বিলুপ্তপ্রায় মহাশোল মাছ, বিরল প্রজাতির জইয়া মাছ, রানি, চিতল, গারুয়া, তারা বাইম, মধু পাবদা ইত্যাদি। অন্যদিকে সমুদ্রের হাঙর মাছ, ঝিনুক, বামশ মাছ, ইলিশ ও মাছের ডিমও স্থান পেয়েছে জাদুঘরে। এ ছাড়া এখানে রয়েছে জলাশয়ে ঘুরে বেড়ায় এমন গুইসাপ, কচ্ছপসহ নানা প্রাণী। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃত চাঁদপুরের রুপালি ইলিশসহ চন্দনা ইলিশ, গোর্তা ইলিশ, কেনোলেসা ইলিশের মতো দুর্লভ প্রজাতির ইলিশের নমুনাও ফরমালিন দিয়ে জারে রাখা হয়েছে। এসব মাছ ও প্রাণীর দর্শন ও প্রজাতি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের ধারণা দেন সংশ্লিষ্টরা।

শিক্ষার্থী, জেলে এবং দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশীয় অনেক মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। সেগুলো সম্পর্কে তাদের জানার আগ্রহ আছে। এ ছাড়া গবেষণার কাজের জন্য অনেকে এখানে আসেন। জাদুঘরে একসঙ্গে স্বাদু পানির মাছ এবং সামুদ্রিক মাছের নমুনা দেখা যায়।

নদী কেন্দ্র চাঁদপুরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু কাউসার দিদার বলেন, বিলুপ্ত সব প্রজাতির মাছ ও প্রাণীকে দ্রুত চেনার উপায় হিসেবে জাদুঘরটির প্রতিটি কাচের জারের ওপর তাদের নামসংবলিত তথ্যও দেওয়া রয়েছে। এতে শিক্ষার্থীসহ দর্শনার্থীরা মাছের প্রজাতি সম্পর্কে এবং মাছের দর্শনবিদ্যা সম্পর্কে সহজেই ধারণা পেয়ে থাকেন। মাছগুলাকে নির্দিষ্ট মাত্রায় ফরমালিন দিয়ে কাচের জারে রাখা হয়।

নদী কেন্দ্র চাঁদপুরের গবেষক ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, মাঠপর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে যখন মনে হয় এই মাছের প্রজাতিটি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে কিংবা এটি সংরক্ষণের প্রয়োজন। তখন মাছের নমুনাগুলো সংরক্ষণ করে এখানে আনা হয়। এখানে মাছ ও প্রাণীকে মূলত ফরমালিন ফ্রিজাপ করা হয়। আমরা এ জাদুঘরে মাছ ও প্রাণী সংরক্ষণ করে যাচ্ছি যেন মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধিতে এখানে আসা সবাই ভূমিকা রাখতে পারেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মেসির জোড়া গোল আর অ্যাসিস্টে সেমিফাইনালে মায়ামি

মিশরের মরুভূমিতে মিলল গ্যাসের খনি, মজুত কত?

বিএনপিতে যোগ দিলেন আ.লীগ ও জাপার ৫৬ ইউপি সদস্য

এতিম ভাইবোনের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

কর্মবিরতিতে প্রাথমিক শিক্ষকরা

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের টিকিট মূল্য প্রকাশ, কাটবেন যেভাবে

রাজনীতি থেকে অভিনয়ে ফিরলেন সায়নী ঘোষ

সীমান্তে জালনোটসহ গ্রেপ্তার ১

দেশে কত দামে স্বর্ণ ও রুপা বিক্রি হচ্ছে

তানজানিয়ায় উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিরোধী দলের শীর্ষ নেতারা গ্রেপ্তার

১০

১৬ ডিগ্রিতে নামল পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা

১১

সোনারঙে চন্দ্রপ্রভা বিলাচ্ছে মুগ্ধতা

১২

দুপুর পর্যন্ত যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া

১৩

আরডিএর নিয়োগ জালিয়াতি : রিমান্ডে মিলেছে মূলহোতাদের তথ্য

১৪

‘হানি ট্র্যাপ’ চক্রের নারী সদস্য গ্রেপ্তার 

১৫

৯ নভেম্বর : ইতিহাসের এই দিনে যা ঘটেছিল

১৬

বিক্ষোভে উত্তাল পর্তুগাল, রাজপথে হাজারও মানুষ

১৭

‘ইসলামকে অবমাননা করে কেউ রাজনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারে না’

১৮

সাতক্ষীরার প্রথম নারী ডিসি আফরোজা আখতার

১৯

‘জ্ঞানীর কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়েও মূল্যবান’— এই কথা কি হাদিসে আছে

২০
X