কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৩ এএম
আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

নির্বাচনের সময় পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতা চায় ইসি

সংস্কার কমিশনের মতবিনিময়
নির্বাচনের সময় পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতা চায় ইসি

আইনের প্রয়োগ হয় না দাবি করে নির্বাচনের সময় পুরোপুরি ক্ষমতা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে নির্বাচনের সময় কেউ যেন হস্তক্ষেপ করতে না পারে, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কাছে সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।

গতকাল বুধবার আগারগাঁয়ের নির্বাচন ভবনে সংস্কার কমিশনের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সচিব শফিউল আজিমের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের মতবিনিময় সভায় এই প্রস্তাব দেওয়া হয়। এ সময় সংস্কার কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আইনে কমিশনের ক্ষমতার কোনো কমতি নেই; কিন্তু সমস্যা ছিল তার প্রয়োগে।

মতবিনিময় সভা শেষে ইসি সচিব শফিউল আজিম সাংবাদিকদের বলেন, হস্তক্ষেপ কোথা থেকে, কীভাবে হয় এবং আইনগত কর্তৃত্বের বাইরে নির্বাচনে কীভাবে হস্তক্ষেপ করে—এগুলো নিয়ে আমরা খোলামেলা আলোচনা করেছি। কোনো ধরনের রাখঢাক করিনি, যাতে সংস্কার কার্যক্রম ফলপ্রসূ হয়।

সচিব বলেন, সুনির্দিষ্টভাবে আমরা যেটা বলেছি, নির্বাচন কমিশন তো নির্বাচন একা করে না। সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রের সব অর্গান নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করে এবং নির্বাচন কমিশনকে যে ক্ষমতা দেওয়া আছে, সংবিধান ও আইনে সেই ক্ষমতা যেন পুরোপুরি প্রয়োগ করা যায়। আইনের প্রয়োগ কিন্তু পুরোপুরি হয় না। আইনের প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে যাতে নির্বাচন কমিশন, কমিশনাররা ও কর্মকর্তারা কোনো ধরনের কোনো কর্তৃপক্ষের বাধাগ্রস্ত না হন, অন্য কেউ যাতে এখানে হস্তক্ষেপ করতে না পারে, আমাদের পক্ষ থেকে সেই সুপারিশ আছে।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ইসি সচিবের নেতৃত্বে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা মতবিনিময় করেছি। তারা আগে নির্বাচন করেছেন, ভবিষ্যতেও করবেন। তারা অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। কোন বিষয়ে আমাদের মনোযোগ দেওয়া দরকার এবং অগ্রাধিকার দেওয়া দরকার, সে মতামত নিয়েছি আমরা। আইনকানুন, বিধিবিধান যেগুলো আরও শক্তিশালী করা দরকার, কমিশনের কার্যকারিতা কীভাবে বাড়ানো যায়, সেগুলোর বিষয়ে পরামর্শ ছিল। মাঠ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ যারাই নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করে, তারা যেন আরও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে, সেসব বিষয় নিয়ে আলোচন হয়েছে।

কমিশন প্রধান বলেন, একটা বিষয় সুস্পষ্টভাবে এসেছে। সেটা হলো, আমাদের আইনকানুন ও বিধিবিধানের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, সেগুলো দূরীভূত করা দরকার। কিন্তু সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো প্রয়োগ। নির্বাচন কমিশনকে সংবিধান ও আদালতের মাধ্যমে অগাধ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আপিল বিভাগের একটা রায়ে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের অন্তর্নিহিত ক্ষমতা আছে। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের খাতিরে তারা বিধিবিধানের সঙ্গে সংযোজনও করতে পারে। অগাধ ক্ষমতা দেওয়া ছিল। এটা প্রয়োগের সমস্যা ছিল। এই সমস্যাটা দূর করতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আদালতের ‘ন্যায়কুঞ্জে’ খাবার হোটেল, প্রধান বিচারপতির নির্দেশে উচ্ছেদ

অ্যানথ্রাক্স ছড়াচ্ছে উত্তরাঞ্চলে, রংপুর-গাইবান্ধায় সরেজমিনে তদন্ত শুরু

চীন থেকে যুদ্ধবিমান কেনা প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা / জানলে যে সব বলে দিতে হবে সেটা তো না

শেখ হাসিনা ও কামালের নির্বাচনী যোগ্যতা নিয়ে যা জানা গেল

ছাত্রদলকে সমর্থন জানিয়ে চাকসু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন দুই প্রার্থী

খুন করে আল্লাহর ভয়ে নামাজ পড়ে ক্ষমা চান হত্যাকারীরা

ইংলিশদের বিপক্ষে মারুফাদের লড়াই করে হার

পিআর নিয়ে আমরা শেষ পর্যন্ত লড়ব : চরমোনাই পীর

ফুটবলকে বিদায় বললেন মেসির আরও এক সতীর্থ

প্রথমবারের মতো ইউনেস্কোর সভাপতি বাংলাদেশ

১০

ভারতীয়দের জন্য সংকুচিত হচ্ছে মার্কিন দরজা

১১

‘সোলজার’র প্রথম ঝলকে কী বার্তা দিলেন শাকিব খান?

১২

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ / সেই রাশিদার চিকিৎসার দায়িত্ব নিল খুলনা মেডিকেল

১৩

টিকিট কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে ডিসি সারওয়ারের হুঁশিয়ারি

১৪

আবরার ফাহাদ স্মরণে ৮ স্তম্ভ নির্মাণ, ব্যয় কত

১৫

মুক্তি পেলেন ইসরায়েলে আটক পাকিস্তানের জামায়াত নেতা

১৬

মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্টে হজযাত্রী নিবন্ধনের বিষয়ে যা জানা গেল

১৭

তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেতৃত্ব দেবেন : এম এ মালিক

১৮

এক দিনের ব্যবধানে আরও বাড়ল স্বর্ণের দাম

১৯

বাংলাদেশ সফরের জন্য আইরিশদের দল ঘোষণা

২০
X