জলাবদ্ধতা নিরসনে যে সব প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, সেগুলো ফলপ্রসূ করার জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে জানিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, সিটি করপোরেশন, সিডিএ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ওয়াসাসহ প্রতিটি সেবা সংস্থাকে মিলে সমন্বয়ের মধ্যে কাজকে এগিয়ে নিতে পারলে ভালো একটি রেজাল্ট আসবে। তিনি বলেন, আমরা কয়েকটি খালে পরীক্ষামূলকভাবে নেট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। হিজরা খালে নেট দেব এবং সেটা প্রতিনিয়ত পরিষ্কার করব। পরীক্ষামূলক করে যদি সুফল পাই, তাহলে অন্য খালগুলোতে করতে পারি। সেইসঙ্গে মানুষের সচেতনতা বাড়াতে হবে। মানুষ সচেতন না হলে কোনো কাজ সফল করার সম্ভব নয়। কর্ণফুলী নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে মানুষের অসচেতনার জন্য।
মেয়র আরও বলেন, এবার জলাবদ্ধতা প্রকট আকার ধারণ করেছে জোয়ারের পানি ও রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টির কারণে; কিন্তু চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতার জন্য মানুষের আঙুল মেয়রের দিকে উত্তোলিত হয়। কারণ মেয়র ও কাউন্সিলররা তাদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। বারইপাড়া নতুন খাল খনন ছাড়া জলাবদ্ধতা নিরসনে চসিকের অন্য কোনো প্রকল্প নেই উল্লেখ করে মেয়র বলেন, আমরা বরাইপাড়া নতুন খাল খননে একটা প্রকল্পের কাজ করছি। বর্তমানে সেটির কাজ চলছে।
মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অনেক ছোটখাটো নালা আছে। এগুলোর জন্য জলাবদ্ধতা হবে এই ধারণাটা পোষণ করা ঠিক নয়। ভারি বৃষ্টি হলে প্রবল স্রোতে পানি যায়; কিন্তু খালে স্লুইসগেট করা হয়েছে সেগুলো সে রকম প্রশস্ত নয়। চারদিকে ভরাট করে স্লুইসগেটগুলো করেছে খুব সরু। তাই প্রবল স্রোতে যাওয়া পানি স্লুইসগেট দিয়ে তেমন যেতে পারে না। সেখানে ময়লা আটকে থাকে, যা পরিষ্কার করারও কোনো ব্যবস্থা নেই। স্লুইসগেটের কপাট লাগানো হয়নি। তাই প্রবল জোয়ার ঢুকছে। এ কারণে পানি বেশি হয়েছে।
মন্তব্য করুন