শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২
সাইদুল ইসলাম ও নূর হোসেন মামুন, চট্টগ্রাম
প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:১৮ এএম
আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৯ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

যাকে ঘিরে সমালোচনা তিনিই ফের আলোচনায়

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি
যাকে ঘিরে সমালোচনা তিনিই ফের আলোচনায়

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের শাসনামলে কোণঠাসা ছিল বিএনপি। দলটির বেশিরভাগ নেতাকর্মীই থাকতে পারেননি ঘরে, করতে পারেননি ব্যবসা-বাণিজ্যও। দলটির নেতাকর্মীরা বলছেন, নানা সংকট তখন দলটির নেতাকর্মীদের ঘিরে ধরলেও খুব ভালো ছিলেন চট্টগ্রামের দক্ষিণ জেলা বিএনপির একসময়কার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আব্বাস।

অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শতকোটি টাকার মালিক বনেছেন তিনি। তার ব্যবসায়িক অংশীদার ছিলেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের সভাপতিসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা নেতাকর্মীরা। তাদের সহযোগিতায় ইউসিবিএল ও কৃষি ব্যাংক থেকে আত্মসাৎ করেন ৪৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকার বেশি। এসব টাকা দিয়ে কিনেছেন নিজের ও স্ত্রীর নামে সাড়ে ১২ কোটি টাকার জমিও। এ ছাড়া অর্থ পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে আড়াই বছর কারাগারেও ছিলেন তিনি।

বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, গত ১৫ বছর রাজনীতির মাঠে সার্চলাইট জ্বালিয়েও খুঁজে পাওয়া যায়নি সাবেক ইউপি সদস্য আব্বাসকে, অথচ সেই তিনিই এখন পুরো দক্ষিণ জেলা সামলানোর স্বপ্ন দেখছেন। পদ পেতে ধরনা দিচ্ছেন সিনিয়র নেতাদের কাছে। চেষ্টা করছেন দলের হাইকমান্ডের কাছে নিজের অবস্থান তুলে ধরতে।

তবে দলটির তৃণমূল কর্মীদের প্রত্যাশা, দলের বিগত ‘আন্দোলন-সংগ্রামে’ যারা সক্রিয় ছিলেন তারাই নেতৃত্বে আসুক।

বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চার মাসের বেশি সময় ধরে কান্ডারিবিহীন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি। কোনো ধরনের কমিটি ছাড়াই চলছে জেলা বিএনপির কার্যক্রম। নতুন মেরূকরণে দক্ষিণ জেলা বিএনপির রাজনৈতিক অঙ্গনে দেখা দিয়েছে বিরোধ। জেলা বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা ঘিরে এ মেরূকরণ তৈরি হচ্ছে। এতে জড়িয়ে পড়ছেন কেন্দ্র থেকে জেলা এবং তৃণমূল নেতৃত্ব। আর তাতেই বাড়ছে বিরোধ।

তবে বিএনপির একটি সূত্র বলছে, যে কোনো সময় ঘোষণা হতে পারে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির কমিটি। এ কমিটি ঘোষণা ঘিরেই চলছে নানা আলোচনা। নতুন কমিটিতে কারা আসছেন, কিংবা কারা বাদ পড়ছেন, এ নিয়েও সরব দলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা। কমিটির আহ্বায়ক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব পদে এরই মধ্যে ১৫ জনের নাম শোনা যাচ্ছে। এর বাইরেও বিভিন্ন সময়ে আরও কিছু নতুন নামও শোনা যাচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০৯ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে গঠন করা হয়েছিল চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির কমিটি। ওইসময় জাফরুল ইসলাম চৌধুরীকে সভাপতি ও শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দীনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল। দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অনুমোদনও পেয়েছিল সেই কমিটি। পরে ২০১১ সালের এপ্রিলে কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। সেবার জাফরুল ইসলাম চৌধুরীকে সভাপতি, গাজী শাজাহান জুয়েলকে সাধারণ সম্পাদক ও শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দীনকে সহসভাপতি করা হয়। তিন বছরের জন্য গঠিত সেই কমিটি আট বছর পাঁচ মাস দায়িত্ব পালন করার পর ২০১৯ সালের অক্টোবরে ভেঙে দেওয়া হয়।

একই বছরের ২ অক্টোবর মহানগর বিএনপির তৎকালীন সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ানকে আহ্বায়ক এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির তৎকালীন সভাপতি মোস্তাক আহমেদ খানকে সদস্য সচিব করে দক্ষিণ জেলা বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়। এরপর ২০২৩ সালের ৭ মে কমিটির ৪ নম্বর সদস্য এনামুল হক এনামকে কমিটির প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়। আহ্বায়ক কমিটি গঠনের সময় বলা হয়, গঠিত কমিটির মেয়াদ হবে তিন মাস।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, এবারে সভাপতি বা আহ্বায়ক পদে বেশ আলোচনায় রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহজাহান জুয়েল, সাবেক সংসদ সদস্য সরওয়ার জামাল নিজাম, সাবেক সহসভাপতি অ্যাডভোকেট ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আলহাজ ইদ্রিস মিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শেখ মো. মহিউদ্দিন। তবে তাদের মধ্যে খুব বেশি সমালোচনা শোনা যাচ্ছে মেসার্স আব্বাস ট্রেডিংয়ের কর্ণধার মো. আলী আব্বাসের। সম্প্রতি চট্টগ্রামের নুর মোহাম্মদ সড়কের বিএনপি কার্যালয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের ধাওয়া খান আলী আব্বাস।

একসময় দক্ষিণে পাল্টা কমিটি দিয়ে আলী আব্বাস বহিষ্কৃত হলেও পরে সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হয়। জানা গেছে, ৫ আগস্টের পরে পুনরায় লবিং-তদবির শুরু করছেন তিনি। গত ৮ সেপ্টেম্বর বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিটিতে ৫৭২ নম্বর ক্রমিকে দুই লাখ টাকার অনুদানও দিয়েছেন তিনি। তবে পরে অনুদানের বিষয়টিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে যেভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তাতে একে ‘লোক দেখানো’ বলে সমালোচনাও হচ্ছে।

বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আলী আব্বাস কালবেলাকে বলেন, ‘কেন্দ্র যাকে পদায়ন করবে তাকেই পদ দেওয়া হবে। গত পরশুদিন আমি কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলেছি। বিষয়টি এখন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর নির্ভর করছে। উনি যখনই বলবেন তখনই দক্ষিণ জেলা কমিটি দেওয়া হবে। যেহেতু বড় দল, তাই এর নেতাকর্মীদের পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা-সমালোচনা থাকবেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা রয়েছে, জুলাই-আগস্টের আগে দীর্ঘ ১৭ বছর যারা জেল-জুলুম খেটে মাঠে ছিল, তাদের অগ্রাধিকার দিয়ে কমিটি দেওয়া হবে। সেই হিসেবে দক্ষিণ চট্টগ্রামে আমার চেয়ে বেশি জেল কেউ খাটেনি। চার বছর আমি জেলে ছিলাম। তারেক রহমান আমাকে সিগন্যাল দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কাজ করেন আপনি, তাহলে আপনাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। মাঠে কাজ করেন, জনগণের সঙ্গে থাকেন, জনগণের কাজ করেন। আওয়ামী লীগের সঙ্গে যারা এতদিন ব্যবসা-বাণিজ্যে জড়িত ছিল, যাদের নামে একটাও মামলা নাই, শেখ হাসিনার পক্ষে যারা ছিলেন, ওই ধরনের লোক জনগণ চায় না। আমিও চাই না। দক্ষিণ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরাও চায় না।’

আলী আব্বাসকে দল থেকে আগে একবার বহিষ্কার করা হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গে তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘সংগঠনের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে কাজ করতে গিয়ে একটু সমস্যা তৈরি হয়েছিল। সেই কারণে দল যেটা ভালো মনে করেছে সেটাই করেছিল। তবে আমি সংগঠনের স্বার্থেই কাজ করতে চেয়েছিলাম।’

অনুদান দিয়ে লোক দেখানো প্রচারের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে আব্বাস বলেন, ‘আমাকে ঘায়েল করার জন্য প্রতিপক্ষের লোকজন এবং আওয়ামী লীগের দোসররা অপপ্রচার চালাচ্ছে।’

আওয়ামী কানেকশন: আলী আব্বাস নিজেকে বিএনপি নেতা দাবি করলেও তার ওঠাবসা আর ব্যবসা সব আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে। ২০১০ সালের একটি নথির তথ্য অনুযায়ী, আব্বাসসহ কর্ণফুলী আওয়ামী লীগের তিন নেতা ‘কর্ণফুলী বিল্ডার্স অ্যান্ড ডেপলাপার লিমিটেড’ নামক কোম্পানি খোলেন। কোম্পানির ঠিকানা দেখানো হয় নগরীর আন্দরকিল্লার কেএমসি টাওয়ারের তৃতীয় তলা। এতে ব্যবসায়িক পার্টনার ছিলেন তৎকালীন কর্ণফুলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বর্তমান দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হায়দার আলী রনি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমির আহমেদ। তাছাড়া আওয়ামী লীগ নেতাদের সহযোগিতায় স্থানীয় অসহায়দের জায়গা দখল করা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এই নেতার বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আলী আব্বাস বলেন, ‘আমি তো জেলে ছিলাম এবং দীর্ঘ বছর ধরে দলের জন্য জেল খেটেছি। এগুলো আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার। একটা পক্ষ এই অপপ্রচার চালাচ্ছে, সব রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।’

জানা গেছে, আলী আব্বাস একসময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে ২ কোটি টাকা পাঠানোর দাবি করেছিলেন, যার জন্য তিনি মানি লন্ডারিং মামলার আসামিও হয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ, তারেক রহমানের কাছে টাকা পাঠানোর তার এই দাবি ছিল গুজব। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, তিনি ইউসিবিএল ও কৃষি ব্যাংক থেকে ৪৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকার বেশি আত্মসাৎ করে সুবিধা নেওয়ার জন্য তারেক জিয়ার নাম ব্যবহার করেছিলেন।

যেভাবে ‘আত্মসাৎ’ দুই ব্যাংকের ৪৪ কোটি টাকা: ভুয়া জামানত দেখিয়ে বিএনপি নেতা আলী আব্বাসকে ৪৪ কোটি ৯ লাখ টাকার বেশি ঋণ দেয় দুই ব্যাংক। এতে সহায়তা করেন ব্যাংক দুটির সাত কর্মকর্তাসহ আটজন। আর ঋণের পুরো টাকাই আত্মসাৎ করেন তিনি। বন্ধক দেওয়া হয়নি—এমন সম্পত্তিকে তথাকথিত জরিপের (সার্ভে) আওতায় এনে এবং এ সম্পর্কে মিথ্যা মূল্যায়ন করে ওই ঋণ পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল তাকে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অর্থ পাচার সংক্রান্ত এক মামলায় দাখিল করা অভিযোগপত্রে এসব অভিযোগ তোলা হয়। এই অভিযোগে ওই নেতাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চলে বিচারকাজও। এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে আড়াই বছর জেল খেটেছেন আব্বাস। পরে জামিনে মুক্তি পান তিনি। মামলাটি এখন চলমান।

এই মামলায় দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, ভুয়া জমি ও ভবন দেখিয়ে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখা ও কৃষি ব্যাংকের আগ্রাবাদ করপোরেট শাখা থেকে মোট ১৩৮ কোটি টাকার দুটি ঋণসীমা মঞ্জুর করিয়ে নেন আলী আব্বাস। দুটি ঋণ মঞ্জুরের ক্ষেত্রেই ব্যাংক দুটির ওই কর্মকর্তারা জামানতকৃত সম্পত্তি যথাযথ বলে প্রতিবেদন দেন। অথচ আলী আব্বাস যেসব ভবন ও জমি বন্ধক দেখিয়ে ঋণ নিয়েছেন, সেগুলোর সঙ্গে ব্যাংকে জমা দেওয়া কাগজপত্রের মিল নেই।

দুদকের তদন্তে দেখা গেছে, খাদ্যশস্য আমদানির কথা উল্লেখ করে ঋণ নিয়েছিলেন আলী আব্বাস। বিভিন্ন সময়ে খোলা ঋণপত্রের বিপরীতে ঋণ নিয়ে পণ্য আমদানি করেন তিনি। কিন্তু শর্ত অনুযায়ী পণ্য বিক্রির টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে দায় রেখে দেন এবং সেই টাকা দিয়ে নিজের ও স্ত্রীর নামে সাড়ে ১২ কোটি টাকার জমি কেনেন। বাকি টাকার অবস্থান গোপন করেন তিনি। এভাবে তিনি মোট ৪৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকার বেশি আত্মসাৎ করেন। ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১২ সালের জুনের মধ্যে ঘটে এসব ঘটনা।

নতুন কমিটি ঘিরে যা চান তৃণমূলের নেতারা: কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম ফোরকান কালবেলাকে বলেন, কেন্দ্র তো জানে না কারা ১৫ জুলাই থেকে মাঠে ছিল না। খোঁজ নিলে জানা যাবে অনেকেই দেশের বাইরে ছিল। গা-ঢাকা দিয়ে মোবাইল বন্ধ রেখেছেন। কিন্তু এখন ভাব নিচ্ছে তারাই আন্দোলন-সংগ্রামে দেশ কাঁপিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘শুধু কোটাবিরোধী আন্দোলনই নয়, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের আমলে সরকারবিরোধী আন্দোলনে দেখা যায়নি—এমন নেতাদের আমরা আর ভবিষ্যতে চাই না। যারা আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলেন, মাঠে-ময়দানে সক্রিয় আছেন, যারা আন্দোলন করতে গিয়ে হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন, তাদের মূল্যায়ন করা হোক। বিগত সময়ে যারা মামলার শিকার হয়নি, তাদের বিএনপি করারও অধিকার নেই। কারণ আন্দোলন থাকলেই মামলার শিকার হতেন তারা।’

চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল গফুর মেম্বার বলেন, যারা রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে বিতর্কিত নন, যারা স্বচ্ছ ইমেজের অধিকারী এবং দলের জন্য যাদের ত্যাগ আছে তাদের নিয়ে কমিটি হোক—সেটাই আমাদের প্রত্যাশা। বিতর্কিতদের দিয়ে কমিটি করলে আগের অবস্থা হবে এবং সেটা তৃণমূলে গ্রহণযোগ্যতা হারাবে।

চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শেখ আহমেদ মেম্বার কালবেলাকে বলেন, ‘দীর্ঘসময় যারা আন্দোলন-সংগ্রামে ছিল না এমন লাখোপতি-কোটিপতিদের পদে বসালে তারা নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করবে না। আমরা চাই যারা আন্দোলন-সংগ্রামে ছিল, দলের জন্য ত্যাগ-বিসর্জন দিয়েছিলেন তাদের আমরা চাই। আর যারা দীর্ঘসময় দল করে ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে সবকিছুই করেছে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সখ্য করে, এমন মানুষ পদে আসুক, তা আমরা চাই না।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কেশবপুরে নারী সমাবেশ/ / ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি

সাভারে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দাওয়াতি মাসের শুভ উদ্বোধন

তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন, নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রীও হবেন : এ্যানি

দলবদলের বাজারে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোর রেকর্ড ভাঙা খরচ

ধর্মগড় সীমান্তে বিজিবির হাতে আটক চার বাংলাদেশি

হাসিনাকে ফেরত পাঠানো নিয়ে মোদিকে ওয়েইসির প্রশ্ন

জাকসুতে প্যানেল দ্বন্দ্ব, পদত্যাগ করে বাগছাস নেতার মিষ্টি বিতরণ

সৈয়দপুর বিমানবন্দরে যাত্রীসেবা আন্তর্জাতিক মানের করতে চাই : বেবিচক চেয়ারম্যান

‘আ. লীগ বিদ্যুৎ খাতে চুরির লাইসেন্স দিয়েছিল’

আ.লীগ নেত্রী রুনু গ্রেপ্তার

১০

ইসির ইউটিউব চ্যানেল চালু, মিলবে যেসব তথ্য

১১

শিশু ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, গ্রেপ্তারের দাবি শিক্ষার্থী

১২

চার বিভাগে ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি, পাহাড়ধসের আশঙ্কা

১৩

ভোলায় পাঁচ দিন ২০ নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ, ভোগান্তি চরমে

১৪

থানা ব্যারাকে নারী পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণ, তিনজন ক্লোজড

১৫

পিআর পদ্ধতিতে সব ভোটারের মূল্যায়ন হয় : চরমোনাই পীর

১৬

তিস্তায় কার্টুন বক্সে ভাসছিল নবজাতকের মরদেহ

১৭

দেশের উন্নয়নে মেধাবী শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসতে হবে : চসিক মেয়র

১৮

কৃষক দল সম্পাদক বাবুলের মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল

১৯

চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সতর্কবার্তা / ‘সাংবাদিকরা চুপ থাকলে সমাজ অন্ধকারে ডুবে যাবে’

২০
X