সম্মেলন না করে কোনো প্রকার কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাড়াই কামরাঙ্গীরচর থানা ছাত্রলীগের সভাপতিকে অব্যাহতি দিয়ে গঠনতন্ত্রের ব্যত্যয় ঘটিয়ে নতুন একজনকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে একই কমিটির পাঁচজন পদত্যাগ করেছেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব সংশ্লিষ্ট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ আনায় ক্ষোভ বিরাজ করছে নেতাকর্মীদের মধ্য।
জানা গেছে, ২১ নভেম্বর ২০২২ সালে পারভেজ হোসেন বিপ্লব ও এম এইচ মাসুদ মিন্টুকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ১০-সদস্যের কামরাঙ্গীরচর থানা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে। নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে গত ২৫ জুলাই এক চিঠিতে কামরাঙ্গীরচর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ হোসাইন বিপ্লবকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে তার স্থলে শরীফুল ইসলাম শরীফকে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ জুলাই ১০-সদস্যের আংশিক কমিটির তিনজন সহসভাপতি ও দুজন সাংগঠনিক সম্পাদকের সবাই পদত্যাগ করেন। পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া নেতাদের মধ্যে রয়েছেন কামরাঙ্গীরচর ছাত্রলীগের সহসভাপতি আখিরুল ইসলাম হান্নান, আবু রায়হান অন্তর ও ফয়সাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক হিমেল আহমেদ ইমন ও রাব্বিন হোসেন শাকিল প্রমুখ। তবে সাধারণ সম্পাদক ও দুজন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক স্বপদে বহাল রয়েছেন।
পদত্যাগের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক বারেক হোসাইন আপন বলেন, কামরাঙ্গীরচর থানা ছাত্রলীগের কয়েকজনের পদত্যাগপত্র পেয়েছি। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।
সংগঠনের গঠনতন্ত্রে বলা হয়েছে, সভাপতির অনুপস্থিতিতে কমিটির সহসভাপতি দায়িত্ব পালন করবেন। এবং শাখা কমিটির কাউকে বহিষ্কার করা বা অব্যাহতি দিতে হলে তা কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ করতে হবে। এক্ষেত্রে অভিযুক্ত সভাপতিকে কোনো প্রকার কারণ দর্শানোর নোটিশ না দিয়ে সরাসরি অব্যাহতি দিয়ে গঠনতন্ত্রের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কমিটির বাইরে থেকে একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল হাসান বাপ্পি বলেন, ছাত্রলীগে মাদকাসক্ত ও অছাত্রদের কোনো স্থান নেই। এটা রেজিমেন্টাল নিয়মে চলবে। বিপ্লবকে নিষ্ক্রিয়তার কারণে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সভাপতি হিসেবে যে কাউকে দায়িত্ব দিতে পারি, সেজন্য সংগঠনের কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে নতুন একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন কালবেলাকে বলেন, এ ব্যাপারে আমি অবগত আছি। যদি কোনো ব্যত্যয় হয়ে থাকে তবে সাংগঠনিকভাবেই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
মন্তব্য করুন