কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০২৫, ০২:১০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বিজ্ঞান

সৌরজগতেই বামন গ্রহে প্রাণের সন্ধান দিল নাসা

সৌরজগতেই বামন গ্রহে প্রাণের সন্ধান দিল নাসা

‘…দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হইতে দুই পা ফেলিয়া, একটি ধানের শীষের ওপরে একটি শিশির বিন্দু’ কবির এ কবিতা যেন সত্যি হতে চলল মহাকাশ বিজ্ঞানে। কবি যেমন জীবনের একপর্যায়ে এসে নিকটবর্তী এ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সন্ধান পেয়েছেন, তেমনি দীর্ঘদিন ভিনগ্রহে প্রাণের খোঁজে বহু দূরদূরান্তে গবেষণা চালানো নাসাও দিল এমনই এক তথ্য। নাসার বিজ্ঞানীদের দাবি, সৌরজগতের ভেতরেই মঙ্গল ও বৃহস্পতির মাঝখানে অবস্থিত বরফাচ্ছাদিত বামন গ্রহ ‘সেরেস’ একসময় মাইক্রোবিয়াল প্রাণ বা অণুজীব ধারণে সক্ষম ছিল। একসময় সেখানে প্রাণের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ ছিল।

‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস’-এ প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই বরফাচ্ছাদিত বামন গ্রহ এখন জমাটবদ্ধ, লবণাক্ত মরুভূমির মতো। তবে বিজ্ঞানীরা মনে করেন, একসময় এতে দীর্ঘস্থায়ী অভ্যন্তরীণ তাপ এবং প্রাণ টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক ‘জ্বালানি’ ছিল।

অন্য গ্রহ বা চাঁদে জীবনের সম্ভাবনা নিয়ে বহুদিন ধরেই গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে নাসা। সেরেস এতদিন ছিল এক ধরনের অবহেলিত। মহাকাশের ‘কম গুরুত্বপূর্ণ’ বস্তু হিসেবেই দেখা হতো একে।

তবে ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সেরেসকে প্রদক্ষিণ করেছিল নাসার ডন মিশন। সেই মিশনের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ তথ্য দিচ্ছেন গবেষকরা। মিশনের সময় সেরেসের পৃষ্ঠে উজ্জ্বল, প্রতিফলিত অঞ্চল লক্ষ করেন বিজ্ঞানীরা। সেগুলো ছিল লবণাক্ত জলীয় দ্রবণের শুকিয়ে যাওয়া চিহ্ন। একসময় সেখানে একটি মহাসাগর ছিল, যা এখন জমাট বেঁধে গেছে। এই মহাসাগরে ছিল জৈব অণু—অর্থাৎ, জীবনের মূল উপাদান।

অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক স্যাম কুরভিলের নেতৃত্বে একদল গবেষক তাপীয় ও রাসায়নিক মডেলিংয়ের মাধ্যমে দেখিয়েছেন, আজ থেকে ২৫০ কোটি থেকে ৪০০ কোটি বছর আগে সেরেসের অভ্যন্তরে উপস্থিত ছিল তেজস্ক্রিয় উপাদানের ক্ষয়জনিত তাপ। সেই তাপই উৎপন্ন করেছিল হাইড্রোথার্মাল ফ্লুইড। অর্থাৎ, গরম পানির সঙ্গে মিশে থাকা গ্যাস ও খনিজ পদার্থ।

এ ধরনের হাইড্রোথার্মাল পরিবেশ পৃথিবীতেও দেখা যায় গভীর সমুদ্রে, যেখানে সূর্যের আলো পৌঁছায় না। তবে শুধু রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে শক্তি নিয়ে অণুজীব বাঁচতে পারে। এদের বলা হয় কেমোট্রোফিক অণুজীব।

স্যাম কুরভিল বলেন, ‘পৃথিবীতে গভীর ভূগর্ভস্থ গরম পানি যখন মহাসাগরের পানির সঙ্গে মেশে, তখন তা অণুজীবের জন্য এক ধরনের রাসায়নিক শক্তির ভোজের মতো হয়ে দাঁড়ায়। যদি সেরেসের সাব-সারফেস মহাসাগরেও এমন হাইড্রোথার্মাল সক্রিয়তা ঘটে থাকে, তাহলে সেটির তাৎপর্য হবে বিশাল।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

টেইলর সুইফটের বাগদান সম্পন্ন, ইনস্টাগ্রামে ভক্তদের উচ্ছ্বাস

ফের চটলেন আলিয়া

সৌম্যের ব্যাটে তাণ্ডব, কিপটে মুস্তাফিজ : প্রস্তুতি ম্যাচে কে কেমন করলেন

সুহানার ছবিতে শাহরুখের মন্তব্য, সরগরম নেটদুনিয়া

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল ফুলবাড়িয়ার লাল চিনি

‘নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কার্যকর সমাধান চায় আপিল বিভাগ’

মেসির রেকর্ড ভাঙতে পারলেন না টেইলর সুইফট

আজ থেকে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর

জনবল সংকটে কোটি টাকার হাসপাতাল, চিকিৎসাসেবা ব্যাহত

বায়ুদূষণে শীর্ষে কিনশাসা, ঢাকার অবস্থান কত?

১০

আবু সাঈদ হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু আজ

১১

ছেলেদের জন্য কিছু স্টাইলিশ আউটফিট কম্বিনেশন

১২

বুয়েট শিক্ষার্থীদের ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ আজ

১৩

আর্জেন্টিনার আগেই এশিয়া সফরে আসছে ব্রাজিল, জেনে নিন ম্যাচসূচি

১৪

দুর্ভিক্ষের গাজায় পদে পদে বিপদ, নিহত আরও ৬৪

১৫

বৃষ্টিতে বাইক চালাতে যেসব বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি

১৬

যুবকের কাণ্ডে ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ

১৭

২০২৬ সালে রোজা শুরু হতে পারে যেদিন থেকে

১৮

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে রিভিউ আবেদনের শুনানি ফের আজ

১৯

সকালে উঠে ভুলেও করবেন না এই ৫ কাজ

২০
X