ব্যাটিং ব্যর্থতায় মোড়ানো আরও একটি হারের গল্প। পাল্লেকেলে থেকে লাহোর হয়ে এবার প্রেমাদাসা—ব্যাটিংয়ে উন্নতিটাই শুধু হলো না। মাঠ বদলেছে, বদলায়নি বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতা। এবার শ্রীলঙ্কার কাছে ২১ রানে হেরে এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলে ওঠার আশা আরও নিভে গেল। কাগজে-কলমে সুযোগ থাকলেও এমন পারফরম্যান্সের পর হয়তো আশার প্রদীপ নিভে যাওয়ারই কথা। এত জঘন্য ব্যাটিং প্রদর্শনীর পর বিশ্বকাপ নিয়ে আবারও নতুন করে ভাবতে হতে পারে টিম ম্যানেজমেন্টকে।
কলম্বোতে গতকাল ২৫৮ রান তাড়ায় ১১ বল বাকি রেখেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮২ রান করেন তাওহীদ হৃদয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত উইকেটে থাকতে না পারায় সেটিও গিয়েছে বৃথা। ম্যাচের পর এ ব্যাটারের প্রশংসা করেছেন অধিনায়ক সাকিবও, ‘সে সত্যিই ভালো খেলেছে। এখানে এলপিএলে খেলেছিল, সে আত্মবিশ্বাসটা নিয়ে এসেছে। সে যদি আরেকটু বড় ইনিংস খেলতে পারত!’ অধিনায়কের আফসোস হওয়াটাই তো স্বাভাবিক। হৃদয় মাঠে থাকলে হয়তো ম্যাচ জেতাতে পারতেন তিনি। কিন্তু টপঅর্ডার থেকে যে ব্যর্থতার ছবি শুরুতেই দলকে চেপে দিয়েছে, তাতে এ ম্যাচ থেকে বাংলাদেশ ছিটকে গেছে মুশফিকুর রহিমের বিদায়ের পরই।
উদ্বোধনী জুটিতে ৫৫ রানের ইনিংস। মেকশিপ ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও মোহাম্মদ নাঈমের এ জুটি যতটা স্বস্তির, তার পরের কয়েক ওভার আরও বেশি অস্বস্তির। লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শাকানার শর্ট বল পুল করতে গিয়ে ব্যাটে-বলে ঠিকভাবে সংযোগ করতে পারেননি মিরাজ। মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ব্যক্তিগত ২৮ রানে। কিছুক্ষণ যেতেই একই বোলারকে খেলতে গিয়ে ভুল করে বসেন আরেক ওপেনার নাঈম। দাসুন নিজেও হয়তো ভাবতে পারেননি শর্ট বলটা এভাবে তুলে দেবেন বাংলাদেশ ওপেনার। পুল করতে গিয়ে ৪৬ বলে মাত্র ২১ রান করা এই ব্যাটার বন্দি হন কিপারের গ্লাভসে। তিনে আসা লিটন দাস ও চারে আসা অধিনায়ক সাকিব, দুজনই ব্যর্থ। ২৮ রানের ব্যবধানে নেই ৪ উইকেট।
তীব্র চাপে আশার আলো দেখান মুশফিক-হৃদয়। ভালোই এগোচ্ছিলেন তারা। ৭৩ রানের জুটি হতেই মুশফিকের উইকেট উপহার দেওয়া। আবারও চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর আর ওভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি কেউই। শেষ দিকে নাসুম আর হাসান শুধু ব্যবধানটুকুই কমিয়েছেন, জেতাতে পারেননি।
অথচ একই পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কাকে দারুণভাবে লড়াইয়ের পথ দেখিয়েছিলেন সাদিরা সামারাবিক্রমারা। একপাশে থেকে সতীর্থদের নিয়ে দারুণভাবে দলকে আড়াইশর পুঁজি এনে দেন তিনি। জেতার জন্য এটাই যথেষ্ট ছিল তাদের।
মন্তব্য করুন