বেসরকারি খাতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সাবমেরিন কেবল সংক্রান্ত লাইসেন্সিং গাইডলাইন লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ২০২২ সালে বিগত সরকারের সময়ে তড়িঘড়ি করে বেসরকারি খাতে এ লাইসেন্স প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়। যদিও অনেক প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছিল, লাইসেন্স পেয়েছে শুধু সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড, সিডিনেট এবং মেটাকোর—এই তিনটি প্রতিষ্ঠান।
সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে, এ প্রতিষ্ঠানগুলো লাইসেন্সিং গাইডলাইনের গুরুত্বপূর্ণ ধারা ভঙ্গ করেছে। এ ছাড়া তাদের মালিকানা, সাবমেরিন কেবল স্থাপনের অর্থায়নের উৎস এবং ব্যান্ডউইথ চোরাচালানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার মতো কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ সামনে এসেছে, যা খাত সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি করেছে।
২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় বিগত সরকার দেশের দীর্ঘমেয়াদি ব্যান্ডউইথ চাহিদা মেটানোর উদ্দেশ্যে সাবমেরিন কেবল প্রকল্প ‘সিমিউই-৬’ অনুমোদন করে। পরিকল্পনা ছিল, এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ২০৩০ সাল পর্যন্ত দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারের সম্ভাব্য চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে। কিন্তু প্রকল্প অনুমোদনের পরপরই শুরু হয় ভিন্ন এক প্রক্রিয়া। দেশের বর্তমান চাহিদার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ না থাকা সত্ত্বেও তড়িঘড়ি করে বেসরকারি খাতে সাবমেরিন কেবল লাইসেন্স প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
অভিযোগ রয়েছে, এ লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বা যৌক্তিকতার চেয়ে রাজনৈতিক প্রভাব এবং প্রভাবশালী গোষ্ঠীর চাপ বেশি কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। ফলে প্রাথমিকভাবে লাইসেন্স পেয়ে যায় সামিট, মেটাকোর ও সিডিনেট। আলোচনায় বিশেষভাবে আসে সিডিনেট। একেবারে নতুন ও অভিজ্ঞতাহীন প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও তারা লাইসেন্স পেয়ে যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি ছিল অভিজ্ঞতাকে উপেক্ষা করে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সুবিধা নেওয়ার সুস্পষ্ট উদাহরণ। তাই লাইসেন্স প্রদানের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া পুনর্মূল্যায়ন করে খতিয়ে দেখা উচিত, লাইসেন্স প্রদানে নিয়মনীতির সঠিক অনুসরণ করা হয়েছিল কি না।
প্রতিষ্ঠান তিনটির মধ্যে লিড মেম্বার হিসেবে রয়েছে সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড। প্রযুক্তি খাতের অন্যতম বড় এ কোম্পানিটির ২৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক সাবেক এমপি ফারুক খানের ভাই ফরিদ খান। ৪৯ শতাংশ শেয়ারের মালিক দুবাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল এনার্জিস হোল্ডিং লিমিটেড, যার মালিকানায় রয়েছেন আজিজ খানের কন্যা আদিবা আজিজ খান। বাকি ২১ শতাংশের মালিক মরিশাসভিত্তিক সিকোয়া ইনফো টেক লিমিটেড এবং অবশিষ্ট ৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক সামিটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ আল ইসলাম।
চোরাই পথে ব্যান্ডউইথ আমদানির সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠান ‘লেভেল থ্রি’ রয়েছে মেটাকোরের মূলমালিকানায়। ব্যান্ডউইথ চোরাচালানের দায়ে বিটিআরসি কর্তৃক ১০ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়েছে লেভেল থ্রিকে। প্রতিষ্ঠানটি একাই মেটাকোরের ৫০ শতাংশ শেয়ারের মালিক। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে দেখা যায়, ভারতের এয়ারটেল কোম্পানি লেভেল থ্রির কাছে বিপুল অঙ্কের অর্থ বকেয়া রেখেছে। এ অর্থ আদায়ের জন্য সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে এয়ারটেল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আইটিসি লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও এয়ারটেলের সঙ্গে ব্যান্ডউইথ লেনদেন হয়েছে, যার ভিত্তিতেই এ বকেয়া তৈরি হয়েছে।
মেটাকোরের মালিকানায় আরও রয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনিসুল হকের ছেলে নাভিদুল হকের প্রতিষ্ঠান ‘ভেলোসিটি নেটওয়ার্কস’, যার শেয়ার ২০ শতাংশ। এর নেতৃত্বে রয়েছেন আনিসুল হকের ভাই, সাবেক সেনাপ্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক। বাকি ৩০ শতাংশ শেয়ারের মালিক আম্বার আইটির সিইও এবং আইএসপিএবি সভাপতি আমিনুল হাকিম।
তৃতীয় প্রতিষ্ঠান সিডিনেটের ৫০ শতাংশ শেয়ারের মালিক ছিল চৌধুরী নাফিজ সরাফতের প্রতিষ্ঠান ‘স্ট্র্যাটেজিক ফাইন্যান্স লিমিটেড’। তবে ৫ আগস্টের পর এ অংশীদারত্ব কমে ৪৪ শতাংশে নেমেছে। মালিকানায় রয়েছে আরও একটি প্রতিষ্ঠান—জারান অব ডক লিমিটেড, যা ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান শওকত আলীর মালিকানাধীন। তাদের শেয়ার ৩০ শতাংশ। সম্প্রতি শওকত আলীর পরিবারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৮ হাজার কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে বিএফআইইউ।
বিটিআরসির নীতিমালায় বেসরকারি লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো কনসোর্টিয়াম গঠন করতে পারবে—এমন কোনো নির্দেশনা নেই। তবু সামিট, মেটাকোর ও সিডিনেট মিলে ‘বাংলাদেশ প্রাইভেট কেবল সিস্টেম’ নামে একটি কনসোর্টিয়াম গঠন করেছে। তাদের স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী, এটি গঠিত হয়েছে ব্যবসায়িক সুবিধার জন্য। ফলে পৃথক লাইসেন্স প্রদানের মূল উদ্দেশ্যই এখানে ব্যাহত হয়েছে।
নীতিমালার ধারা ৪ অনুযায়ী, প্রতিটি লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানকে ন্যূনতম দুটি ফাইবার পেয়ার স্থাপন করতে হবে। প্রতিটি ফাইবারে ৬৪টি তরঙ্গদৈর্ঘ্য এবং ১০০ জিবিপিএস ক্ষমতা থাকা আবশ্যক। কিন্তু কক্সবাজার থেকে মিয়ানমার পর্যন্ত যে ব্রাঞ্চ কেবল স্থাপন করা হয়েছে, তাতে তিনটি প্রতিষ্ঠানেরই ফাইবার পেয়ার মাত্র একটি করে। কাম্পানার সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী, এ একটি ফাইবার পেয়ার যুক্ত হবে মূল ক্যাবলের ফাইবার তিন, চার ও পাঁচের সঙ্গে।
সামিট কমিউনিকেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ আল ইসলাম বলেন, ‘ব্যবসায়িক স্বার্থে কনসোর্টিয়াম করা হয়েছে, কারণ এককভাবে সাবমেরিন কেবলের ব্যবসা লাভজনক হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘কনসোর্টিয়াম গঠনের পর বিটিআরসিকে জানানো হয়েছে, এ বিষয়ে তারা কোনো আপত্তি জানায়নি।’
তিনি ফাইবার পেয়ারের বিষয়ে বলেন, ‘যেহেতু আমরা একটি রেডিমেড কেবলের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছি; তাই তাদের মতো করে তিনটি পেয়ার ব্যবহার করতে হচ্ছে।’ তিনি জানান, ‘এ বিষয়ে ছাড় দেওয়ার জন্য বিটিআরসিকে বারবার আবেদন জানানো হয়েছে।’
সিডিনেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান বলেন, ‘কনসোর্টিয়াম করার কারণ হলো, আমরা তিনজনই কাম্পানা থেকে ফাইবার কিনছি এবং একই কেবলে যুক্ত হচ্ছি। তাই আলাদা ব্রাঞ্চ কেবল না করে কনসোর্টিয়াম করা হয়েছে।’
বেসরকারি খাতে লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে কিছু প্রতিষ্ঠানকে অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া হয়েছে, যা বাজারের ভারসাম্য নষ্ট করছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথ আমদানি, সাবমেরিন কেবল স্থাপন, দেশের অভ্যন্তরে ট্রান্সমিশন এবং গ্রাহক পর্যায়ে সেবা প্রদানের মতো সব ধরনের কার্যক্রমই এক বা একাধিক প্রতিষ্ঠানের হাতে কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়ছে। এর ফলে বাজারের নিয়ন্ত্রণ কার্যত কিছু নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের হাতে চলে যাচ্ছে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সামিট কমিউনিকেশনের প্রায় সব ধরনের লাইসেন্সই রয়েছে। মেটাকোরের মালিকানাধীন ‘লেভেল থ্রি’ নিজেই একটি আইআইজি, একই সঙ্গে তাদের রয়েছে আইএসপি লাইসেন্সও। সিডিনেটের মালিকানাধীন ভেলোসিটিরও রয়েছে নিজস্ব আইআইজি প্রতিষ্ঠান। অর্থাৎ, এ প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরাই আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইডথ আমদানি বা সংযোগ স্থাপন করে তা নিজেদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সরাসরি গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করছে।
অন্যদিকে, যেসব আইআইজি প্রতিষ্ঠানের ট্রান্সমিশন বা আইটিসি লাইসেন্স নেই, তারা এ ধরনের ‘বান্ডেল প্যাকেজ’ দিতে পারছে না। ফলে, একদল প্রতিষ্ঠান ব্যান্ডউইথ, ট্রান্সমিশন ও সংযোগ একত্রে বিক্রি করে বাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করছে, আর অন্যরা ক্রমে তাদের মার্কেট শেয়ার হারাচ্ছে। এতে বাজারে এক ধরনের স্পষ্ট বৈষম্য ও প্রতিযোগিতাহীন পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে।
বেসরকারি সাবমেরিন কেবল প্রকল্পের ল্যান্ডিং স্টেশনের জন্য কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন এলাকায় স্থান প্রস্তাব করা হয়েছে, যা পরিবেশ অধিদপ্তর ‘ক্রিটিক্যাল জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পরিবেশ রক্ষায় মেরিন ড্রাইভ সড়ক ও সাগরের মধ্যবর্তী এলাকায় ৩০০ মিটারের মধ্যে স্থাপনা নির্মাণ নিষিদ্ধ। কিন্তু কোম্পানিগুলোর জমি প্রস্তাব ওই সীমার মধ্যেই।
বেসরকারি তিন কোম্পানির বিচ ম্যানহোলের ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার বায়না দলিল থেকে দেখা যায়, সড়কের ৩০০ মিটারের মধ্যেই বিচ ম্যানহোলের জমির প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক জমির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা আবেদন পর্যালোচনা করে ঢাকায় পাঠিয়েছি। অনুমোদন দেবে কি না, তা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সিদ্ধান্ত।’
সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকরা বলছেন, বেসরকারি খাতে লাইসেন্স পাওয়ার প্রক্রিয়াটাই ছিল বিতর্কিত। তৎকালীন সময়ে শুধু রাজনৈতিক বিবেচনায় লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। এমনকি তাদের সক্ষমতাও যাচাই করা হয়নি। বিশেষ করে সিডিনেটের তো লাইসেন্স পাওয়ার কোনো যোগ্যতাই ছিল না। বিতর্কিতভাবে লাইসেন্স নিয়ে এখন তারা কনসোর্টিয়াম করেছে, এটাও তো অনিয়ম। এতে লাইসেন্স দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। এ ছাড়া তারা ফাইবার পেয়ারের ক্ষেত্রেও নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে।
এনটিটিএন অপারেটর বাহনের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা রাশেদ আমিন বিদ্যুত বলেন, ‘তিনটি কোম্পানির আলাদা তিনটি কেবল হলে ভোক্তারা বেশি সুবিধা পেতেন; কিন্তু তিনটি কোম্পানি মিলে একটি নেটওয়ার্ক হওয়ায় আবার ডুওপলি হওয়ার আশঙ্কা থেকে গেল।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেখানে লাইসেন্স দেওয়ার সময় অনিয়ম এবং রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড বিবেচিত হয়েছে, সেখানে ভালো কিছু আশা করি কীভাবে।’
ফাইবার অ্যাট হোমের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ সাব্বির বলেন, ‘তিনটি কোম্পানির কনসোর্টিয়াম করা ‘হাস্যকর’ সিদ্ধান্ত, যা বিটিআরসির অনুমোদন প্রক্রিয়াকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।’
সরকারের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব বলেন, ‘প্রথমত, বেসরকারি লাইসেন্সগুলো রাজনৈতিক বিবেচনায় দেওয়া হয়েছিল, আলাদা লাইসেন্স নিয়ে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কনসোর্টিয়াম করেছে, ছয়টির জায়গায় তিনটি ফাইবারের বিষয়েও প্রশ্ন রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ইন্টারনেট বা এ ধরনের অবকাঠামোতে বাধা দিতে চাই না, তবে আমাদের সময়ে এ ধরনের বিতর্কিত কাজ অনুমোদন দেওয়া হবে না। আর এ কোম্পানিগুলোর গঠন সম্পর্কেও আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে, কারণ কনসোর্টিয়ামের মধ্যে যদি কোনো ঝামেলা হয়, তাহলে কেবলের মালিকানা কার হবে—এটা নিয়ে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে বিটিআরসিকে জানানো হয়েছে।’
এ পর্যায়ে এসে দেখা যায়, সাবমেরিন কেবল লাইসেন্স প্রদানের প্রক্রিয়া, মালিকানা কাঠামো, কনসোর্টিয়াম গঠন, পরিবেশগত দিক এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে যেভাবে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে, তাতে সমগ্র প্রকল্পটির স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে গভীর অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথের মতো কৌশলগত অবকাঠামো একটি দেশের নিরাপত্তা, প্রযুক্তি খাত এবং অর্থনীতির ভবিষ্যতের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। এখানে নীতিমালা লঙ্ঘন, স্বচ্ছতা ছাড়া রাজনৈতিক বিবেচনায় গৃহীত সিদ্ধান্ত এবং বাজারে প্রতিযোগিতা হ্রাস—এসবই দীর্ঘমেয়াদে দেশের ডিজিটাল অগ্রযাত্রাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।
মন্তব্য করুন