

বাংলাদেশ শুটিং স্পোর্টস ফেডারেশনের সাম্প্রতিক ঘটনায় পাল্টাপাল্টি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। গুলি নিয়ে ঘাপলা করার অভিযোগ যার দিকে, সেই জাতীয় দলের ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুর রহমান প্রথমে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। আরেক সাধারণ ডায়েরি করেছেন জাতীয় দলের শুটার কামরুন নাহার কলি।
সম্প্রতি জাতীয় এক শুটার অভিযোগ করেন, ‘আমাকে পাঁচ গুলি দিয়ে ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুর রহমান জোরপূর্বক ৫০ গুলি বুঝে নিয়েছি—মর্মে অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করিয়ে নেন।’ সে ঘটনায় আব্দুর রহমান গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। তিনি থানায় যে কাগজপত্র দিয়েছেন, ওই শুটারের স্বাক্ষর করা কাগজের সঙ্গে তার মিল নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। ২০১৯ সালের এসএ গেমসের সময় ৫ হাজার গুলি কেলেঙ্কারির দায়ে শুটিং থেকে বহিষ্কৃত হওয়া আব্দুর রহমান বর্তমান দায়িত্ব পালনকালেও গুলি নিয়ে ঘাপলা করেছেন—এমন অভিযোগ সাবেক-বর্তমান একাধিক শুটারের। ঘাপলার ঘটনা আড়াল করতেই সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে—অভিযোগ করেছেন একাধিক শুটার।
এদিকে শুটিং স্পোর্টস ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক জি এম হায়দারের বিরুদ্ধে সম্প্রতি যৌন হয়রানি ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন দুই জাতীয় শুটার তাসমিয়াতি এমা ও কামরুন নাহার কলি। ওই ঘটনার পর থেকে শুটিং স্পোর্টস ফেডারেশনের ওই কর্মকর্তা নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন বলে সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকি ২০ সেপ্টেম্বর কামরুন নাহার কলির এক সহকর্মীকে শুটিং ফেডারেশনের ভেতরে ধর্ষণের হুমকি দিয়েছেন—এমনটাও সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়। আরও উল্লেখ করা হয়, ‘জাতীয় দলে অবস্থানকালে প্রধান অভিযুক্ত জি এম হায়দার প্রায় সময়ে গেটের সামনে আজেবাজে ইশারা-ইঙ্গিত করেছেন, তাকে সন্তুষ্ট করতে হবে—এমন অসামাজিক কথাবার্তাও বলেছেন।’ শুটিংয়ে সাম্প্রতিক যৌন হয়রানির ঘটনায় সরব হয়েছেন দুই শুটার কামরুন নাহার কলি ও তাসমিয়াতি এমা এবং সাবেক শুটার শারমিন আক্তার রত্না। এ কারণে জি এম হায়দার ও তার লোকজন উল্লিখিতদের নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন এবং সমঝোতায় না গেলে বড় ধরনের ক্ষতি করা হবে বলেও সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ডায়েরিতে সাবেক শুটার ও কোচ শারমিন আক্তারের বিরুদ্ধেও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সাবেক শুটার শারমিন আক্তার রত্না কালবেলাকে বলেছেন, ‘সুস্পষ্ট অভিযোগ থাকার পর নৈতিকতার কারণে আমি সরব হয়েছি, আমার মতো সাবেকরা সরব হয়েছেন। আমরা এ ঘটনার শেষ দেখতে চাই। দেখতে চাই অপরাধীরা কতদূর যেতে পারেন। আমি গোটা ক্রীড়াঙ্গন এবং গণমাধ্যমকর্মীদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার অনুরোধ করছি।’
মন্তব্য করুন