বাংলাদেশের একাদশে পাঁচ স্পিনার—পেসার শুধু মারুফা আক্তার। উইকেটও ছিল যথেষ্ট স্পিন সহায়ক। বড় বড় টার্নের সঙ্গে ছিল উঁচু-নিচু বাউন্স। স্কোর বোর্ডে দেড়শ পুঁজি রাখলে তা যে কোনো দলের জন্যই হতো চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু প্রতিপক্ষ পাকিস্তানের জন্য ফাঁদটা দুর্বলই ছিল নিগার সুলতানা জ্যোতিদের। নিজেদের তৈরি করা ফাঁদে উল্টো নিজেরাই পড়েছেন। প্রথম ওয়ানডে জিতে তিন ম্যাচের সিরিজ ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল পাকিস্তান।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জ্যোতি। উইকেটের ধরন বুঝে স্কোর বোর্ডে অন্তত ১৫০ রান রাখার পরিকল্পনা ছিল স্বাগতিক অধিনায়কের। কিন্তু পাকিস্তান স্পিনারদের ঘূর্ণিতে মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং। ১১ জনের ৮ জনই ফিরেছেন দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগে। ৩১.৫ ওভারে ৮১ রানে গুঁড়িয়ে যায় স্বাগতিকদের ব্যাটিং লাইনআপ।
পরিকল্পনায় যে ব্যর্থ হলেন সেটা স্বীকার করে নিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। জ্যোতি, ‘যখন আমরা ব্যাটিংয়ে যাই; তখন আমার কাছে মনে হয়েছে এই উইকেট ২০০-২৫০ রানের উইকেট না। যদি আমরা অন্তত ১৫০ রানের মতো করতে পারতাম, তাহলে মনে হয় ওদের জন্য কঠিন হতো।’ জ্যোতিরা আরেকটু ভালো ব্যাটিং করলে সেটা অবশ্যই কঠিন হতো পাকিস্তানের জন্য। কেননা বাংলাদেশের ৮২ রানের চ্যালেঞ্জ তাড়ায় ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান। অধিনায়ক নিদা দার এক পাশ আগলে রাখতে না পারলে হয়তো আরও চাপে পড়ত পাকিস্তান। সবকটি উইকেটই এসেছে স্পিনে। সেজন্য বোলারদের প্রশংসা করেছেন জ্যোতি, ‘বোলাররা খুব ভালো লড়াই করেছে, কারণ ৮০ রানে পাঁচটা উইকেট নেওয়া, ২৪ ওভার খেলানো; আমি বলব, অনেক ভালো ব্যাটিং করেছে তারা।’ পাকিস্তান অধিনায়কের অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংসে সহজ জয় পেয়েছে। সে হিসেবে ব্যাটিংয়ে পুরোপুরি ব্যর্থ বাংলাদেশ। জ্যোতি বলেছেন, ‘যেটা হয়েছে, ব্যাটারদের মধ্যে ধারাবাহিকতাটা দেখিনি। আমিও অনেকক্ষণ ছিলাম, আমারও উচিত ছিল ৫টা ওভার খেলা; আরেকটু সেন্সেবল খেলা।’ পরের ম্যাচে সিরিজে ঘুরে দাঁড়াতে চান জ্যোতি।