নির্বাচন কেন্দ্র করে জাপার বড় পরিসরে নাটকীয়তা জমে ওঠে বিদায়ী বছরে। নেতৃত্বের কোন্দলে জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ তার অনুসারীদের নিয়ে পৃথক জাপা গঠনের চেষ্টা করেন। দলপ্রধানের বিরুদ্ধে মামলাও করেন রওশনপন্থিরা। ছয় মাসের বেশি সময় পার্টির কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হলেও দমে যাননি জি এম কাদের। সারা দেশের নেতাকর্মীদের ডেকে মতামত নেওয়া হলে বেশিরভাগ নেতাকর্মী নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে অবস্থান তুলে ধরলেন। শেষ পর্যন্ত নানা বাস্তবতার কথা বলে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন জি এম কাদের। তবে এ ঘোষণার আগেই দলীয় মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু হয় দলটির পক্ষ থেকে। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান রওশনপন্থিরা।
রওশনের অভিযোগ, তার অনুসারীদের নির্বাচনে অংশ নিতে সহযোগিতা করেননি জি এম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নু। তাই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জি এম কাদেরের সঙ্গে জোট না করার অনুরোধ জানান বিরোধী দলের নেতা।
এদিকে নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাপার আসন ভাগাভাগির বিষয়টিও সামনে আসে। দলের মহাসচিবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোনো জোট-মহাজোট হয়নি আওয়ামী লীগের সঙ্গে।
২৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রত্যাহার করা হলেও জাপাকে কীভাবে আওয়ামী লীগ আসন ছেড়েছে তা অন্ধকারেই রয়ে গেল। এ ব্যাপারে কোনো দলের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। জাপার পক্ষ থেকে ইশতেহার ঘোষণার দিন দলের মহাসচিব স্পষ্ট বলেছেন, তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেন না। আওয়ামী লীগ কেন আসন ছেড়েছে এর উত্তর দেবে দলটির নেতারা।