চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মন ভালো নেই তার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও ব্যক্তিগতভাবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। ফিরেছেন কাজেও। তবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সবার যে চেষ্টা, তা হৃদয় জয় করেছে এই নায়িকার।
কালবেলার সঙ্গে আলাপকালে অভিনেত্রী বলেন, ‘অনেকদিন পর কাজে ফিরেছি। কিন্তু মনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের আর্তনাদ আমাকে মর্মাহত করে তুলছে প্রতিনিয়ত। তার পরও তো কাজে ফিরতে হবে। আমি বর্তমানে বেশকিছু বিজ্ঞাপনের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি। শুটিং সেট থেকেই কথা বলছি।’ এ সময় সিনেমার ব্যস্ততা নিয়েও কথা বলেন এই অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘বেশকিছু নতুন সিনেমার কাজ নিয়ে কথা হচ্ছে। কিন্তু দেশের এই পরিস্থিতি দেখে সেভাবে আর কথা এখনই আগাচ্ছি না। সবকিছু একটু স্থিতিশীল হলে তখনই সিনেমার কাজে ফেরার ইচ্ছে আছে। কারণ সিনেমার বিষয়টি বিজ্ঞাপনের মতো নয়। তাই একটু সময় নিয়ে আবারও সিনেমায় ব্যস্ত হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।’ তবে নতুন বাংলাদেশ মিমকে আশান্বিত করছে। তার মতে, এভাবে এক হয়ে সবাই সংঘবদ্ধ হয়ে মানুষের পাশে থাকলে দেশকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। এ বিষয়ে মিম আরও বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ সবাইকে শক্তিশালী করে তুলছে। আমার মনে হয় এখন আর কেউ একা অনুভব করবে না। ফেনী, কুমিল্লার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে যেভাবে গোটা বাংলাদেশের মানুষ দাঁড়িয়েছে—এটি তার প্রমাণ। এখন আমরা কেউই একা নই। এ বিষয়টি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি সুন্দর লেগেছে। এ ছাড়া শিল্পী সমাজ যে যেভাবে পেরেছে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এর আগেও শিল্পী সমাজ সাধারণ মানুষের পাশে ছিল। কিন্তু এবারের বিষয়টি আগের সবকিছুর চেয়ে আলাদা। আমি দেখলাম অনেকে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী খাবার নিয়ে বন্যায় প্লাবিত অঞ্চলে ছুটে গিয়েছেন। অনেকে ঢাকায় বসেই তাদের জন্য সহযোগিতা করছেন। এভাবে সবাই যার যার পাশে থাকলে আমাদের চেয়ে শান্তিতে আর কোনো দেশের মানুষ থাকবে না।
এই একতা ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে। এ চেষ্টাই আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
মিম নিজেও তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রতিনিয়ত উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করার পোস্ট দিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া সবশেষ তিনি হালদার বাঁধ ভেঙে গেছে, পোস্ট করে বিধাতার কাছে আশ্রয় চেয়েছেন বন্যাকবলিত এলাকার মানুষগুলোর জন্য।