ক্যারিয়ারের শুরুতেই একের পর এক বাণিজ্যিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন চিত্রনায়িকা মৌমিতা মৌ। তবে সিনেমা থেকে এখন দূরে তিনি। কয়েক বছর ধরে নাটকেই ব্যস্ততা তার। মাস চারেক হলো নাটকের অভিনয়েও সময় দিচ্ছেন না। কারণ হিসেবে মৌমিতা মৌ কালবেলাকে বলেন, বাবার অসুস্থতার ফলে অভিনয়ে মন দিতে পারিনি। আমি নিজেও মাঝে অসুস্থ ছিলাম। এ ছাড়া গত দুই মাস দেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে কাজও সেভাবে করা হয়নি। আমি কিন্তু কখনোই বেশি কাজের পেছনে ছুটিনি। সামনে অফার এলে পছন্দ হলে তবেই করতাম।
দেশের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে মৌমিতাকে এফডিসিতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে দেখা গেছে। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, এটা বলার মতো বিষয় নয়। একজন শিল্পী হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত। নতুন করে নাটকে ফেরা প্রসঙ্গে মৌমিতা বলেন, একটা গ্যাপ তৈরি হয়েছে। কাজ নিয়ে খুব একটা পরিকল্পনা থাকে না আমার। পরিবেশ-পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কাজে ফিরব। শিল্পীদের ভালো গল্প ও চরিত্রের প্রতি একটা ভালো লাগা থাকে। তেমন কোনো কাজ পেলে অবশ্যই শিগগির ফিরব। এ ছাড়া আগেও অনেক কাজ করেছিলাম। সেই নাটক কিন্তু এখনো প্রচার হচ্ছে। বিয়ে ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করলে জবাবে মৌমিতা বলেন, দেখুন এই বিয়ে নিয়ে পরিবার থেকে সবসময় চাপ দিতেই থাকে। মনের মতো কাউকে পেলে অবশ্যই বিয়ের জন্য প্রস্তুত আমি।
অনেক শিল্পীকেই দেশের বাইরে স্থায়ী হতে দেখা যায়। তবে এ ব্যাপারে মৌমিতার চিন্তা ঠিক ভিন্ন। তিনি চান দেশেই থাকতে। দেশের মতো শান্তি কোথাও পান না বলে জানান এই অভিনেত্রী।
ক্যারিয়ারে ‘তোমার আছি তোমারই থাকব’, ‘তুই শুধু আমার’, ‘মাটির পরী’, ‘মাস্তানি’, ‘অন্তরজ্বালা’, ‘অন্ধকার জগৎ’, ‘রাগী’, ‘সুতানপুর’, ‘আহারে জীবন’ সিনেমাতে অভিনয় করেছিলেন মৌমিতা।
এ ছাড়া জনম জনমের সাথি, বিয়ের পরবর্তী যন্ত্রণা, শেয়ানে শেয়ানে টক্কর, বড় মেয়ে, বউ রাশি, অশ্রু ভেজা গল্প, ইমোশন, শামসু দারোয়ান, এ কেমন খেলা, নিচ তলার ভাড়াটিয়া, ঢাকাইয়া মাইয়া, বাসর রাতের বিড়ালসহ বহু নাটকে দেখা গেছে তাকে।