

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং তার পরবর্তী সময়ে দেশব্যাপী বন্যার কারণে দেশ একটি প্রতিকূল সময়ের মধ্য দিয়ে পার করছে। মিডিয়াতেও স্বাভাবিক অবস্থা ফেরেনি এখনো। ঠিক কবে নাগাদ সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তা নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না। কিন্তু তারপরও ধীরে ধীরে কাজে ফেরার চেষ্টা করছেন সবাই। এ প্রজন্মের শ্রোতাপ্রিয় সংগীতশিল্পী তানজিন মিথিলাও সেই চেষ্টা করছেন।
এরই মধ্যে তিনি দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। এ ছাড়া সামনে আরও কয়েকটি টিভি চ্যানেলে তার রেকর্ডিং রয়েছে বলে জানান মিথিলা। ছোটবেলায় গানে তার হাতেখড়ি অনিতা দেবীর কাছে। এরপর তিনি গান শিখেছেন নেত্রকোনা শহরের ‘শতদল সংস্কৃতি একাডেমি’র রতন সরকারের কাছে। পরে নেত্রকোনার ‘বাংলা’র সুজন তোপদারের কাছেও সংগীতে তালিম নিয়েছেন। মিথিলার প্রকাশিত প্রথম মৌলিক গান ছিল তার নিজেরই লেখা, সুর করা ‘আঁধো আঁধো’ গানটি।
মিথিলার প্রথম একক অ্যালবাম ‘মন রে’ প্রকাশিত হয় লেজার ভিশন থেকে। এরপর একক গান ‘ছুঁয়ে দিলে হাত’ প্রকাশিত হয় জি-সিরিজ থেকে। এ গানও তার নিজের লেখা ও সুরে। মিথিলা জানান, বেশ কিছু নাটকেও তার গান রয়েছে। চলতি বছরই তিনি বিটিভির আধুনিক গানের শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন। আর সৌভাগ্য হলো, তালিকাভুক্ত হয়েই তিনি ‘মা’ শিরোনামের একটি মৌলিক গান গাওয়ার সুযোগ পেলেন। গানটি লিখেছেন রুশমী চৌধুরী, সুর-সংগীত করেছেন ফরিদ বঙ্গবাসী।
তানজিন মিথিলা বলেন, ‘গানে আজকে আমার যতটুকুই অবস্থান হয়েছে, তাতে সন্তুষ্ট। আমি কৃতজ্ঞ আমার গানের গুরু অনিতা ম্যাডাম, রতন স্যার, সুজন স্যারের কাছে। তাদের কাছ থেকে গানে তালিম নিয়ে নিজেকে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। আর আমার নিজের শ্রম, অধ্যবসায় তো ছিলই। আমার বাবা-মা, ভাইবোন অনুপ্রেরণা দিয়েছে সবসময়। আর আমার গানের যারা শ্রোতা তারা আমাকে আমার প্রতিটি গান প্রকাশের সময় থেকে শুরু করে এখনো অনুপ্রেরণা দেন। আমি কৃতজ্ঞ বিটিভি পরিবারের প্রতি। আমার জীবনের নতুন পথচলা শুরু হলো বিটিভিতে তালিকাভুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে। আজীবন গানই করে যেতে চাই। অনেক বড় হতে পারব কি না জানি না, তবে শুদ্ধ সংগীত করে যেতে চাই।’
৫ ডিসেম্বর জন্ম নেওয়া মিথিলা লালমাটিয়া কলেজে সমাজবিজ্ঞানে অনার্স করছেন।