মডেল ও অভিনেতা হিসেবেই বেশি পরিচিত ও জনপ্রিয় শাহেদ শরীফ খান। আছে নাট্যকার ও নির্মাতা হিসেবেও পরিচয়। তবে আগের মতো এখন আর বিনোদন জগতে দেখা যায় না তাকে। অভিনয় ও মডেলিংয়ের সঙ্গেও সেভাবে যোগাযোগ নেই তার। এর কারণ নিয়ে এ অভিনেতা কথা বলেন কালবেলার সঙ্গে।
শুরুতেই শাহেদ বলেন, ‘আমি কাজের সঙ্গে নেই এমনটা নয়। কাজের সঙ্গেই ছিলাম। তবে আগের মতো খুব বেশি কাজ করা হয়নি। এ ছাড়া আমাকেও কাজের জন্য খুব একটা ডাকা হয় না। এর কারণ আমি জানি না। এখন কাজের অনেক প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছে। যেমন ওটিটিতে এখন অনেকেই কাজ করছে। আমিও করতে চাই। কিন্তু আমাকে সেভাবে এসব প্ল্যাটফর্ম থেকে ডাকা হয়নি। কেন ডাকা হয় না, আমি আসলে জানি না। কেউ আমাকে না ডাকার বিষয়ে ব্যাখ্যাও করেনি কখনো। এ বিষয়ে আমার খারাপও লাগেনি। শুধু এটুকু বলব, সবাইকেই কাজের সুযোগ দেওয়া উচিত। যারা অভিনয়ের লোক, তাদের কাজের সঙ্গে রাখা উচিত।’
এ সময় শিল্পীদের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়েও কথা বলেন শাহেদ। বলেন, ‘শিল্পীদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে নেই। কারণ তিনি সবার প্রতিনিধি, তার কাজের দর্শক সবাই। একজন শিল্পীর যখন রাজনৈতিক পরিচয় চলে আসে, তখন তাকে দর্শকরা অন্য চোখে দেখতে থাকে। যেটি একজন শিল্পীর ভবিষ্যতের জন্য হুমকি হয়ে যায়। আমি নিজেও ভিন্ন চিন্তার মানুষ। আমারও অনেকের সঙ্গে মতের অমিল হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কারও ব্যানারে আমি যাইনি কোনো দিন, ভবিষ্যতেও যাব না।’
ছোট পর্দায় শাহেদ শরীফ খানের অভিষেক হয় ২০০০ সালে, আনিসুল হকের লেখা ও মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীর পরিচালনায় ‘একান্নবর্তী’ নামের একটি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে। এরপর অসংখ্য খণ্ড ও ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেন তিনি। নাম লেখান বড় পর্দাতেও। শাহেদ অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘প্রিয় সাথী’, ‘হৃদয় শুধু তোমার জন্য’, ‘জয়যাত্রা’ ও ‘অজ্ঞাতনামা’ উল্লেখযোগ্য।