মিম চৌধুরী। ‘নাচো বাংলাদেশ নাচো’র প্রথম রানারআপ থেকে বড় পর্দায় ‘ভালোবাসা এক্সপ্রেস’ সিনেমায় নায়িকা হওয়ার মাধ্যমে তার যাত্রা শুরু। পাশাপাশি বহু নাটকে অভিনয় করে এরই মধ্যে দর্শকের মন জয় করেছেন এ সুন্দরী। মিমের অভিনয় জগতের যাত্রাটা ছিল রঙিন, পরিশ্রমী আর কিছুটা চুপচাপও। নাচে মাত করতে পারেন, অভিনয়ে কাঁদাতে পারেন, আবার বাস্তবে ভীষণ সহানুভূতিশীল এ শিল্পী আজ কালবেলার বিশেষ সাক্ষাৎকারে খোলামেলা আলাপ করেছেন তার জীবন, নাচ, কান্না-হাসির গল্প আর কিছু অজানা রহস্য। লিখেছেন—তামজিদ হোসেন
অভিনেত্রী মিম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
বর্তমানে ব্যস্ততা কী নিয়ে?
নাচ, অভিনয় এবং উপস্থাপনা নিয়েই আমার জীবন। তবে বর্তমানে অভিনয় ও উপস্থাপনাতেই বেশি ব্যস্ত থাকা হয়।
‘নাচো বাংলাদেশ নাচো’ দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে আপনার যাত্রা শুরু, এখন ব্যস্ততা কেমন?
আমার অভিনয় ইন্ডাস্ট্রিতে আসা রিয়ালিটি শোয়ের মাধ্যমে। প্রথম দিকে নাচে বেশি প্রাধান্য ছিল। ইচ্ছা ছিল নাচেই ক্যারিয়ার গড়ব। কিন্তু ভাগ্যে সেটা হয়তো ছিল না। এরপর অভিনয়ের দিকে মনোযোগী হই। এখন কাজের ব্যস্ততা অনেক। টেলিভিশন, ইউটিউব নাটকে নিয়মিতই কাজ করছি, বিজ্ঞাপনও থাকে।
অভিনেত্রী মিম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
আপনি তো বড় পর্দায়ও অভিনয় করেছিলেন। ‘ভালোবাসা এক্সপ্রেস’ নামের সেই সিনেমায় শাকিব খান ছিলেন নায়ক। তখন আপনার বয়স কত ছিল?
শাকিব খানের সঙ্গে যখন আমি সিনেমায় কাজ করেছি, তখন আমি মাত্র ক্লাস টেনে উঠেছি। মাত্র ১৬ বছর বয়স তখন আমার। সিনেমায় আসার বিষয়ে আমার পেছনে ছিল আমার শিক্ষকতুল্য বড় ভাই কোরিওগ্রাফার ইভান শাহরিয়ার সোহাগ। তিনি একদিন আমাকে সিনেমার মহরতে আমন্ত্রণ জানায় এবং আমি সেখানে যাই। যাওয়ার পর ওই সিনেমার মহরতে আমাকে স্টেজে তুলে দেয়। তখনো আমি কিছুই জানি না। শাকিব ভাইয়ের সঙ্গে সিনেমাটা ছিল আরেকজন হিরোইনের। ওই সিনেমায় একটি চরিত্রের জন্য ডিরেক্টর আমাকে বাছাই করেন এবং আমাকে শুটিং করতে মালয়েশিয়া যেতে হবে বলে সেটা করা হয়নি। পরে একই পরিচালক যখন আরেকটা চলচ্চিত্রের জন্য অফার দেন, তখন আমার মা বলে সিনেমাটা করতে। এভাবেই কাজটি হয়ে যায়।
অভিনেত্রী মিম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
শাকিবের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
শাকিব ভাইয়ের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা অনেক ভালো। ভাইয়া অসম্ভব লাভলি একটা মানুষ। তিনি খুব সুদর্শন এবং খুব বিনয়ী একজন মানুষ। সে সময় আসলে নাচ, পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম। সেজন্য ভাইয়ার কাজ সম্পর্কে জ্ঞাত ছিলাম না। কিন্তু তার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বুঝি অভিনয়ে তিনি খুব সিরিয়াস। এরপর নতুন হিসেবে আমি সিনেমায় অভিনয় করতে গেলেও সেটা আমাকে তিনি অনুভব করতে দেননি। তিনি খুব কেয়ারিং একজন মানুষ, বিশেষ করে তার সহশিল্পীদের প্রতি।
অভিনয়ের ক্ষেত্রে পরিবারের থেকে যেমন সহযোগিতা পান?
আমার পরিবার খুব লিবারেল মাইন্ডের। যে কারণে আমি আজ অভিনয় করতে পারছি। আমি যখন সিনেমায় কাজ করছি, পুরোটা সময় মা আমার পাশে থেকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন এবং আজও আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন। তবে প্রথম দিকে আমার লেখাপড়ায় যেন ক্ষতি না হয়, সেজন্য তারা সেভাবে কাজ করতে দিত না। এখন ভালো গল্প হলে সব ধরনের চরিত্রেই অভিনয়ে তাদের সহযোগিতা থাকে।
অভিনেত্রী মিম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
কোন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে চান?
গল্পনির্ভর কাজ করতে চাই। কারণ, ভালো গল্প না হলে দর্শকের ভালোবাসা পাওয়া যায় না।
মন্তব্য করুন