

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ও নাট্যাঙ্গনের দুই জীবন্ত কিংবদন্তি অভিনয়শিল্পী আবুল হায়াত ও ডলি জহুর আবারও একসঙ্গে অভিনয় করেছেন নতুন একটি টেলিভিশন নাটকে। নাটকটির নাম ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’। পারিবারিক সম্পর্ক ও মানবিক আবেগের গল্পে নির্মিত এ নাটকটি দর্শকদের জন্য একটি হৃদয়ছোঁয়া অভিজ্ঞতা হয়ে উঠবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নাটকটির প্রযোজনা করেছে রঙ্গন মিউজিক। নাটকটির গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন শফিকুর রহমান শান্তনু এবং নির্মাণ করেছেন গুণী নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। সম্প্রতি টানা তিন দিনের শুটিং শেষে এর দৃশ্য ধারণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
নির্মাণ প্রসঙ্গে চয়নিকা চৌধুরী বলেন, ‘এখন প্রায় ৮০ শতাংশ প্রযোজক, চ্যানেল এমনকি দর্শকরাও পারিবারিক সম্পর্কের গল্প দেখতে চান—যে গল্প দেখলে বা শুনলে মন ভালো হয়ে যায়। নব্বই দশকে আমরা যেভাবে পারিবারিক সম্পর্কের ভালোবাসার গল্পে বড় হয়েছি, সেই ধারার কাজই আমি দীর্ঘদিন ধরে করে আসছি। জামাল ভাই সবসময় এমন গল্প খোঁজেন—যেখানে শক্তিমান অভিনয়শিল্পীরা একসঙ্গে কাজ করবেন। গল্পটি বলার পর তিনি পছন্দ করেছেন। শান্তনু খুব ভালো লেখে এবং আমি কী চাই তা সে ভালো বোঝে। সবাই গল্প পছন্দ করায় খুব আরামেই তিন দিনে শুটিং শেষ করেছি।’
নাটকটি নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা আবুল হায়াত। তিনি বলেন, “চয়নিকা একজন অত্যন্ত সচেতন ও বিচক্ষণ নির্মাতা। তার নাটকের প্রাণই হচ্ছে গল্প। যারা তার সঙ্গে কাজ করে সবাই আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করে। ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’ নাটকটি নিয়ে আমি আশাবাদী। অনেকদিন পর ডলির সঙ্গে কাজ করে খুব ভালো লেগেছে।”
ডলি জহুর বলেন, ‘হায়াত ভাই বাংলাদেশের একজন সত্যিকারের জীবন্ত কিংবদন্তি অভিনেতা। তার সঙ্গে বহু নাটক ও সিনেমায় অভিনয় করেছি। অসংখ্য স্মৃতি রয়েছে। সত্যি বলতে কী, হায়াত ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করলে মনে হয় না যে আমরা কাজ করছি—গল্পের ফাঁকে ফাঁকে অভিনয় হয়ে যায়। চয়নকে ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি গল্প বেছে নেওয়ার জন্য। নাটকটি প্রচারে এলে দর্শকদের ভালো লাগবে বলেই বিশ্বাস।’
শিগগির নাটকটি টেলিভিশন ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রচারের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিচালক।
মন্তব্য করুন