ছোট পর্দার ভার্সেটাইল অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। কাজের মাধ্যমে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ অনেক আগেই রেখেছেন তিনি। ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে দেখিয়েছেন নিজের দক্ষতা। সম্প্রতি বড় পর্দায় কাজ করেছেন। আজ বিশ্ব নারী দিবস ও নিজের ব্যস্ততা নিয়ে অভিনেত্রী কথা বলেছেন কালবেলার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার—মহিউদ্দীন মাহি
আজ বিশ্ব নারী দিবস। দিনটি আপনার কাছে কেমন গ্রহণযোগ্য?
বিশ্ব নারী দিবস দিনটি আমার কাছে একজন নারী হিসেবে অবশ্যই গ্রহণযোগ্য একটি দিন। পৃথিবীর ক্যালেন্ডারে এই দিনটি আলাদা করে নারীদের সম্মানিত করার সুযোগ করে দেয়। তবে আমার কাছে প্রতিটি দিনই নারীদের জন্য সম্মানের। এর কারণ আধুনিক পৃথিবীতে সব কাজেই নারীদের অবদান সমানে সমান। আমরা নিজেদের দক্ষতার প্রমাণ দিয়ে প্রতিনিয়ত সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। বিষয়টি একজন নারী হিসেবে আমার কাছে গর্বের। ভবিষ্যতে আমরা আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাব সেই প্রত্যাশা সব সময়।
নারী দিবসে আপনার পুরোনো একটি নাটক নতুন করে ভাইরাল হয়েছে। এবার কোনো নাটক আসবে?
হ্যাঁ, দেখলাম সঞ্জয় সমাদ্দার দাদার ‘কনকচাঁপা’ নাটকটি নতুন করে আবার আলোচনায় এসেছে। বিষয়টি ভালো লাগছে। তবে এবার নতুন কোনো নাটক নেই দর্শকদের জন্য।
বেশকিছু নারীকেন্দ্রিক চরিত্রে কাজ করে এরই মধ্যে আপনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। এমন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে আপনার ম্যাজিকটি আসলে কোথায়?
আসলে কোনো ম্যাজিক নেই। আমি নারীকেন্দ্রিক চরিত্র এবং যেসব চরিত্রে সমাজের জন্য কোনো ভালো বার্তা থাকে, সেসব কাজ করতে সবসময়ই ভালোবাসি। তাই এমন গল্পে কাজের সুযোগ এলে আমি আমাকে নিজের মতো করে ধারণ করার চেষ্টা করি। চরিত্রের মধ্যে ডুবে যেতে চাই। ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর আগে ভুলে যাই আমি একজন মেহজাবীন চৌধুরী। নিজেকে মনে করে দিই গল্পের চরিত্রটিই আসলে আমি। এরপর কাজটি করে যখন দর্শকের কাছ থেকে ভালোবাসা পাই। তখনই আসলে তৃপ্তিটা আসে। এর জন্য আর ম্যাজিকের দরকার হয় না। পুরোটাই চেষ্টা।
প্রথমবারের মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ফার্স্টলুক প্রকাশের পর রীতিমতো হৈচৈ পড়ে যায়। দীর্ঘ সময় কাজটি নিয়ে এমন গোপনীয়তা! কীভাবে সম্ভব হয়েছে?
গোপনীয়তার বিষয়টি নিয়ে আমরাও অবাক হয়েছি। এমন সময়ে এসে সিনেমার সব ধরনের খবর এভাবে গোপন করে বছর খানেক পর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ব্যাপারটি দারুণ। এখন তো আসলে কোনো কিছুই গোপন রাখা অনেক কষ্টের। এমন একটি সময় আমাদের ‘সাবা’র কাজ একদম গোপনে শেষ করে বছরের শুরুতেই সবাইকে চমকে দেওয়া হয়েছে। এর জন্য আমি সিনেমার গোটা টিমকে ধন্যবাদ দেব। তাদের সবার চেষ্টাতেই আমরা কাজটির প্রথম পদক্ষেপেই সবাইকে চমকে দিতে পেরেছি। দেশ ও দেশের বাইরে থেকে পেয়েছি প্রশংসাও। আশা করছি সিনেমাটি মুক্তির পরও দর্শক আমাদের কাজ, গল্প ও চরিত্রগুলো নিয়ে আলাদাভাবে আলোচনা করবেন। এর কারণ নির্মাতা মাকসুদ হোসেন ভাই কাজটি অনেক যত্ন করে করেছেন। তার নির্মাণশৈলী আমাদের সবাইকে মুগ্ধ করেছে। এবার দর্শকের মুগ্ধ হওয়ার অপেক্ষায়।
অনেকদিন ধরেই আপনাকে সিনেমায় দেখার অপেক্ষায় ছিল দর্শক। এমন একটি গল্পের জন্যই কি দীর্ঘ এই অপেক্ষা?
একদমই। এর কারণ হচ্ছে একজন অভিনেত্রী বা অভিনেতার বড় পর্দায় কাজ করাটাই শেষ স্বপ্ন থাকে। সেই স্বপ্নের শুরুটা সবাই চায় ঐতিহাসিক হয়ে থাকুক। আমিও এমনটিই চেয়েছিলাম। আল্লাহ আমার চাওয়া পূরণ করেছেন। এমন একটি গল্পের জন্যই আমার দীর্ঘ এই অপেক্ষা ছিল।
বর্তমানে কাজের ব্যস্ততা?
তেমন কোনো কাজের ব্যস্ততা নেই। কিছু নতুন কাজের কথা চলছে। সেগুলোর চুক্তি সম্পন্ন হলেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে জানানো হবে।
ঈদে কি নতুন কিছু আসবে?
ঈদের কিছু কাজের কথা চলছে। তবে গল্প না দেখে আমি কোনো কাজেই চুক্তিবদ্ধ হই না। সে ক্ষেত্রে গল্পের কাজ চলছে।
সবকিছু বাটে বলে হলে ঈদে নতুন কোনো চরিত্রে আবারও দর্শকের সামনে হাজির হব। এখনই নিশ্চিত কিছু বলতে পারছি না।