কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:২৫ পিএম
আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ইসলামী ব্যাংকের ২০০ কর্মী ছাঁটাই, ৪৯৭১ জনকে ওএসডি

ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স
ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

বেসরকারি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডে শুরু হয়েছে নজিরবিহীন শুদ্ধি অভিযান। কর্মস্থলের নিয়মনীতি লঙ্ঘন ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ব্যাংকটির ২০০ কর্মীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৪ হাজার ৯৭১ কর্মকর্তাকে ওএসডি (অন সার্ভিস ডিউটি) করা হয়েছে।

তবে ব্যাংক থেকে বলা হয়েছে, তারা বেতন-ভাতা ঠিকই পাবেন, তবে কোনো দায়িত্বে বা কর্মস্থলে থাকবেন না। ফলে ব্যাংকের ভেতরে নতুন করে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে।

ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও আদালতের নির্দেশনার ভিত্তিতে গত শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিশেষ যোগ্যতা যাচাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার জন্য মোট ৫ হাজার ৩৮৫ কর্মকর্তাকে আহ্বান জানানো হলেও মাত্র ৪১৪ জন এতে অংশ নেন। তারা নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছেন। তবে পরীক্ষায় অংশ না নেওয়া ৪ হাজার ৯৭১ জনকে পরদিন থেকেই ওএসডি করা হয়। এর মধ্যে যারা প্রকাশ্যে পরীক্ষার বিরোধিতা বা বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন, তাদের মধ্যে ২০০ জনকে সরাসরি চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ সূত্র বলছে, চট্টগ্রামের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপ ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর হাজারো কর্মীকে কোনো লিখিত পরীক্ষা ছাড়াই নিয়োগ দেওয়া হয়। এসব নিয়োগের বড় অংশই হয়েছিল চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় বসবাসরতদের মধ্য থেকে।

এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেন, ‘এস আলমের আমলে অযোগ্য লোক নিয়োগ দিয়ে ব্যাংকটিকে ধ্বংস করা হয়েছে। এখন ব্যাংকের স্বার্থেই সবাইকে যোগ্যতা যাচাই পরীক্ষার আওতায় আনা হচ্ছে।’

ওএসডি হওয়া কর্মকর্তারা দাবি করে বলেন, এক মাস আগে তাদের রিট আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্ট নিয়মিত প্রমোশনাল পরীক্ষা চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল। তারা আবারও আদালতের শরণাপন্ন হবেন বলে জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ছাঁটাইয়ের উদ্দেশ্যে পরীক্ষা নেওয়ার ঘটনা দেশে এই প্রথম। সাধারণত পদোন্নতির জন্য ভাইভা হয়। তবে কর্মীদের মান যাচাই পরীক্ষার বিষয়টি নতুন অভিজ্ঞতা। ইসলামী ব্যাংক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। তাই কর্মী নিয়োগ বা যোগ্যতা যাচাই তাদের এখতিয়ারভুক্ত, তবে আইন ও নীতিমালার মধ্যে থেকেই তা করতে হবে।’

প্রসঙ্গত, এস আলম গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর বিভিন্ন কৌশলে প্রায় ১ লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা ইসলামী ব্যাংক থেকে তুলে নেয়। এতে ব্যাংকটি গভীর সংকটে পড়ে। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক এস আলমের প্রভাবমুক্ত করে ব্যাংকটিতে নতুন পর্ষদ নিয়োগ দেয়। এরপর থেকেই অযোগ্য নিয়োগ পাওয়া কর্মীদের বাছাই করতে যোগ্যতা যাচাই পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নাশকতা মামলায় আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধে প্রতিশ্রুতি আমিনুল হকের

শেখ হাসিনা ও কামালের আপিল করার সুযোগ নিয়ে যা জানা গেল

যুবদলের এক নেতা বহিষ্কার

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হবে : খন্দকার মোশাররফ

রাজধানীর ২ স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ দুর্বৃত্তদের

ভয়াবহ আগুনে পুড়ল ৭ দোকান

শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুনের ধোঁয়া, যাত্রীরা আতঙ্কিত

চট্টগ্রাম বন্দরে রুশ যুদ্ধজাহাজ

১০

রায় ঘোষণার পর আ.লীগ অফিসে আগুন

১১

আখাউড়ায় শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেপ্তার

১২

‘ভুডু’ বিতর্কে থামল নাইজেরিয়ার বিশ্বকাপ স্বপ্ন

১৩

‘দুই প্রক্রিয়ায় ভারতকে চিঠি পাঠাবে বাংলাদেশ’

১৪

রায় মনে করিয়ে দিয়েছে, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় : রব

১৫

ধানের শীষের বিজয় মানেই মানুষের মুক্তি : মান্নান

১৬

টাকার বিনিময়ে মিছিল করতে গিয়ে ধরা

১৭

এসএমসি এন্টারপ্রাইজকে ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সেবা দেবে প্রাইম ব্যাংক

১৮

ব্যাংকক ম্যারাথনে চ্যালেঞ্জ জয় করে বাংলাদেশের পতাকা উড়ালো নাহিদ

১৯

শাওনকে ‘ভারতীয় গুপ্তচর’ আখ্যা দিয়ে কঠোর শাস্তির দাবি

২০
X