কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৩, ০৮:২০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
বিদায়ী অর্থবছর

মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ শতাংশ বেশি

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বিদায়ী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। অর্থবছর শেষে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ শতাংশ। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ বেশি হয়েছে মূল্যস্ফীতি।

সোমবার (৩ জুলাই) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০২২-২৩ অর্থবছরের সর্বশেষ মাস জুনের ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। বিবিএসের তথ্য পর্যালোচনা করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

চলতি অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশে বেঁধে রাখার লক্ষ্য ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। পরে তা সংশোধন করে ৬ শতাংশ করা হয়। তবে সেই লক্ষ্যও পূরণ হয়নি। এদিকে, অর্থবছরের ব্যবধানে দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ১৫ শতাংশ। আর ২০২০-২১ অর্থবছরে ছিল ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, বিদায়ী অর্থবছরের শেষ মাসে সামান্য কমছে মূল্যস্ফীতি। জুন মাসে মূল্যস্ফতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এর আগের মাসে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ হয়েছিল, যা ১১ বছরের মধ্যে ছিল সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১১ সালের মে মাসে ছিল ১০ দশমিক ২ শতাংশ মূল্যস্ফীতি।

চলতি অর্থবছরের সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার কমলেও বেড়েছে খাদ্যপণ্যের দাম। জুন মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ হয়েছে। যা মে মাসে ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। বিবিএসের তথ্যে দেখা গেছে, মে মাসে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ ছিল, এপ্রিল মাসে যা ছিল ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ। ফলে এপ্রিল থেকে বেড়ে জুন মাসে খাদ্যপণ্য বৃদ্ধির রেকর্ড গড়েছে। চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাকজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ায় খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিবিএস।

তবে কমেছে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি। বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দাম কিছুটা কমেছে। মে মাসে এ খাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ, জুন মাসে কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ হয়েছে।

আগস্টে দেশে সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি ছিল। ওই মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়ে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে উঠেছিল। পরে কিছুটা কমলেও ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। মার্চ মাসে আবারও মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ হয়। এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও তা আশাব্যঞ্জক ছিল না। তখন সার্বিক বা সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। সর্বশেষ বাড়তে বাড়তে ক্রেতার নাগালের বাইরে গেছে সব নিত্যপণ্য।

বিবিএসের সর্বশেষ হিসাব তথ্য অনুযায়ী, দেশে মূল্যস্ফীতির চাপ শহরের তুলনায় এখন গ্রামের মানুষের ওপর বেশি। মে মাসে গ্রামের তুলনায় শহরের মূল্যস্ফীতি বেশি ছিল। কিন্তু জুনে এসে শহরের মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। জুন মাসে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ। গ্রামে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। এর আগের মাসে শহরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৯৮। আর গ্রামে ছিল ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কেবিন ক্রুদের আসল কাজ কী

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের বড় সুখবর দিল সরকার

জাতীয় দলের কোচিং স্টাফে এবার আইপিএলে কাজ করা অ্যানালিস্ট

আমরা লক্ষ্য অর্জনের দ্বারপ্রান্তে : নেতানিয়াহু

৩ প্যাকেট কাঁচা নুডলস খেয়ে ১৩ বছরের কিশোরের করুণ পরিণতি

তিস্তার বন্যায় কৃষকের স্বপ্ন ভাসছে অনিশ্চয়তার অথৈ জলে

ব্যাংকিং টিপস / ব্যাংকের সুদের হার ও চার্জ সম্পর্কে সচেতন থাকুন

শতভাগ লুটপাটমুক্ত দল জামায়াতে ইসলামী : ড. মোবারক

মায়ের মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে এসে মারা গেলেন ছেলেও

১০

ঢাকায় বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের বার্তা

১১

সিঙ্গারে চাকরির সুযোগ, দ্রুত আবেদন করুন

১২

মেসিহীন মায়ামিকে বাঁচাল রদ্রিগেজের দুর্দান্ত গোল

১৩

গাজায় যেভাবে দুর্ভিক্ষ নেমে এলো

১৪

লেভান্তের মাঠে বার্সার রোমাঞ্চকর জয়

১৫

যুবদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

১৬

আকিজ গ্রুপে চাকরি, বেতন ছাড়াও থাকবে নানা সুবিধা 

১৭

বাগেরহাটে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল

১৮

যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরি করছে ভারত

১৯

২৪ আগস্ট : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

২০
X